ইংরেজি শেখার গুরুত্ব - ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি

ইংরেজি ভাষার একটি সমৃদ্ধ এবং আকর্ষণীয় ইতিহাস রয়েছে। ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি ও ইতিহাস প্রায় ১৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত। বর্তমানে ইংরেজি এমন একটি ভাষায় বিকশিত হয়েছে এবং ইংরেজি শেখার গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে যা সারা বিশ্বের প্রায় ১.৫ বিলিয়নের বেশি মানুষ এই ভাষায় কথা বলে। ইংরেজি শেখার গুরুত্ব - ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি আজকে এই আঁটিকেলে ইংরেজি ভাষার ইতিহাস, আধুনিক ইংরেজি ভাষার জনক, ইংরেজিকে কেন আন্তর্জাতিক ভাষা বলা হয়, এবং ইংরেজি শেখার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করব। ইংরেজি পৃথিবীর (প্রায় ১.৫ বিলিয়ন স্পিকার), ৩৫০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের মাতৃভাষা এবং সবচেয়ে ব্যাপকভাবে শেখানো বিদেশী ভাষা।

সূচিপত্রঃ- ইংরেজি শেখার গুরুত্ব - ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি - ইংরেজিকে আন্তর্জাতিক ভাষা বলার কারণ

প্রাথমিক কথাঃ

ইংরেজি ভাষা হলো ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের জার্মানিক ভাষার শাখার অন্তর্গত একটি ভাষা। যে ভাষা সারা বিশ্বেই ব্যাপকভাবে কথ্য। বর্তমানে ইংরেজি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং বিভিন্ন ক্যারিবিয়ান এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলির প্রাথমিক ভাষা। এটি ভারত, ফিলিপাইন এবং অনেক সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশেরও একটি অফিসিয়াল ভাষা। এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যাপকভাবে কথ্য ভাষাগুলির মধ্যে একটি।

ইংরেজি ভাষার বয়সঃ

ইংরেজি ভাষার বয়স প্রায় ১৪০০ বছর। ইংরেজি ভাষা, পশ্চিম জার্মানিক ভাষা থেকে উৎপত্তি লাভ করে এবং ৫ম শতাব্দীর মাঝামাঝি অ্যাংলো স্যাক্সন (একটি অভিবাসনের সময়) দ্বারা বৃটেনে নিয়ে যাওয়া হয়।

ইংরেজির উপভাষা কয়টি ও কি কিঃ

ভাষাবিদগণ ইংরেজির প্রধান স্থানীয় উপভাষা গুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করেন। যেমন- ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের উপভাষাগুলি, উত্তর আমেরিকার উপভাষাগুলি এবং অস্ট্রেলিয়ার উপভাষাগুলি।

ইংরেজি ভাষা কয় ধরনেরঃ

উচ্চারণের উপর ভিত্তি করে ইংরেজি ভাষা দুই ধরনের। ইংরেজির প্রাচীনতম বৈচিত্র্য হলো ব্রিটিশ ইংরেজি এবং যুক্তরাজ্যে কথ্য। প্রায় ৬০ মিলিয়ন মানুষ স্থানীয় ব্রিটিশ ইংরেজি ভাষায় কথা বলে। এবং আমেরিকান ইংরেজিতে প্রায় ২২৫ মিলিয়ন নেটিভ স্পিকার রয়েছে।

ইংরেজি ভাষার উৎপত্তিঃ

ইংরেজি হল একটি পশ্চিম জার্মানিক ভাষা যা ৫ম থেকে ৭ম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ব্রিটেনে আসা ইঙ্গভায়োনিক (Ingvaeonic) ভাষা থেকে উৎপত্তি হয়েছিল। এখন উত্তর-পশ্চিম জার্মানি, দক্ষিণ ডেনমার্ক এবং নেদারল্যান্ডস থেকে অ্যাংলো-স্যাক্সন (Anglo-Saxon) অভিবাসীদের দ্বারা অ্যাংলো-স্যাক্সনরা (Anglo-Saxon) ৫ম শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জে বসতি স্থাপন করে এবং দক্ষিণ গ্রেটের বেশিরভাগ অংশে আধিপত্য বিস্তার করে।
তাদের ভাষার উদ্ভব হয়েছিল ইঙ্গভাইওনিক (Ingvaeonic) ভাষার একটি গ্রুপ হিসাবে যা ইংল্যান্ডে বসতি স্থাপনকারীদের কথ্য ভাষা ছিল এবং মধ্যযুগের প্রথম দিকে দক্ষিণ ও পূর্ব স্কটল্যান্ড, সেল্টিক ভাষাগুলিকে স্থানচ্যুত করে (এবং, সম্ভবত, ব্রিটিশ ল্যাটিন) যা আগে প্রভাবশালী ছিল। প্রাচীন ইংরেজিতে প্রতিষ্ঠিত অ্যাংলো-স্যাক্সন (Anglo-Saxon) রাজ্যগুলির বৈচিত্র্যময় উৎস প্রতিফলিত হয়েছিল ব্রিটেনের বিভিন্ন অংশ।
শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট স্যাক্সন (West-Saxon) উপভাষাটি প্রভাবশালী হয়ে ওঠে। একটি উল্লেখযোগ্য পরবর্তী প্রভাব স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ভাইকিংদের দ্বারা কথ্য উত্তর জার্মানিক ভাষাগুলির সংস্পর্শে থেকে পুরানো ইংরেজির আকার এসেছে ৮ম এবং ৯ম শতাব্দীতে ব্রিটেনের কিছু অংশ জয় করে এবং উপনিবেশ স্থাপন করে, যার ফলে অনেক আভিধানিক ঋণ নেওয়া হয় এবং ব্যাকরণগত সরলীকরণ। মধ্য ইংরেজিতে অ্যাংলিয়ান উপভাষাগুলির একটি বৃহত্তর প্রভাব ছিল।

আধুনিক ইংরেজি ভাষার প্রথম প্রতিষ্ঠাতা কেঃ

জিওফ্রে চসারকে (Geoffrey Chaucer) আধুনিক ইংরেজি ভাষার জনক বলা হয়। তিনি (আনু. ১৩৪৩ – ২৫শে অক্টোবর ১৪০০) সালের মধ্যে লন্ডনের একটি ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন ইংরেজ লেখক, কবি এবং দার্শনিক। তিনি কূটনীতিক, সংসদ সদস্য, আমলা এবং দরবারী হিসেবে সিভিল সার্ভিসে কর্মরত ছিলেন।

ইংরেজি কেন আন্তর্জাতিক ভাষাঃ

ইংরেজি ভাষা বিস্তারের প্রাথমিক এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো ব্রিটিশ সাম্রাজ্য। বিশ্বের প্রায় এক- চতুর্থাংশ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দ্বারা উপনিবেশিত হওয়ার পূর্বে শুধুমাত্র ব্রিটিশরাই ইংরেজি ভাষায় কথা বলতো। কিন্তু যখন তারা বাণিজ্য শুরু করে এবং এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন জায়গায় উপনিবেশ স্থাপন করে তখন তারা স্বাভাবিকভাবে ইংরেজির বিস্তার শুরু করে।

ইংরেজি শেখার গুরুত্বঃ

ইংরেজি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। বর্তমান বিশ্বের বহু ভাষা বাদ বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সঠিক নিয়ম-কানুন ও ইংরেজি আদর্শ কথোপকথন রীতিনীতিতে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। ইংরেজি ভাষা কর্মসংস্থানের সুযোগ খোলার পাশাপাশি, একটি বিদেশী ভাষায় কথা বলতে সক্ষম হওয়া মানুষের সাথে সত্যিকারের সংযোগ তৈরি করতে এবং বিভিন্ন সংস্কৃতি,স্থান এবং জীবনধারা সম্পর্কে আরও জানতে সাহায্য করে।
নিজেকে ভালোভাবে উপস্থাপন করার জন্য দক্ষতা অর্জন অপরিহার্য। আপনি যত বেশি দক্ষ হবেন, ততই ভালোভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারবেন। আজ বিশ্বের ৬৫০০ টি কথ্য ভাষার মধ্যে, আপনি কেন ইংরেজি শিখবেন? বর্তমানে বিশ্বে ২য় ও ৩য় ভাষা হিসেবে ইংরেজি ১২৮ টিরও বেশি দেশে ব্যাপকভাবে কথ্য এবং শেখানো হচ্ছে।
একটি ভাষা বা কূটনৈতিক ভাষা সাধারণত সারা বিশ্বে একটি বাণিজ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে ইংরেজি একটি বিজ্ঞান, গবেষণা, তথ্যপ্রযুক্তি, বিমান চলাচল, কম্পিউটার, কূটনীতি এবং পর্যটনের ভাষায় পরিণত হয়েছে। ইংরেজি একটি আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ভাষা।
মিডিয়া এবং ইন্টারনেটে পেশাদার বা ব্যক্তিগত কারণেই হোক না কেন, ইংরেজির গুরুত্ব বোঝা আপনাকে আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে। আপনার ইংরেজি ভাষার দক্ষতা শেখা এবং অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য এখানে কয়েকটি কারণ দেখানো হলো।
১. ইংরেজি একটি আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ভাষাঃ
ইংরেজি বিশ্বের সবচেয়ে সাধারণভাবে কথ্য ভাষা হলেও সবচেয়ে বেশি কথ্য ভাষা নয়। ইংরেজি প্রায় ৫৩ টি দেশের সরকারি ভাষা এবং বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মানুষের একটি প্রাথমিক ভাষা। তবে বর্তমানে ইংরেজি ২য় ভাষা হিসেবে বহুল ব্যবহৃত।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটি তথ্য মতে- ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রায় ২ বিলিয়ন মানুষ ইংরেজি ভাষা শিখবে। তাই ইংরেজি ভাষা শেখা আপনাকে বিশ্বের জন্য একটি উন্মুক্ত দরজা দেয় এবং আপনাকে বিশ্বব্যাপী নাগরিকদের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করে।
২. বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগঃ
আপনি কি বিদেশে পড়াশোনা করার স্বপ্ন দেখেন? যেহেতু ইংরেজি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা তাই বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যারা ইংরেজিতে প্রোগ্রাম অফার করে থাকে। আপনি যদি বিশ্বের নামকরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ে
যেমন- হার্ভার্ড, ইয়েল, প্রিন্সটন, ক্যামব্রিজ বা অক্সফোর্ডে পড়ালেখা করতে চান কিংবা কোর্স করতে চান তাহলে আপনার জন্য ইংরেজি ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক। যেহেতু ইংরেজি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা তাই বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যারা ইংরেজিতে প্রোগ্রাম অফার করে।
৩. অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র ইংরেজিতে লেখা হয়ে থাকেঃ
গত ১ শতাব্দীতে, ইংরেজিতে লেখা বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রের সংখ্যা কাগজপত্রের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। বৈজ্ঞানিক বা যেকোনো গবেষণা ক্ষেত্রে যারা কাজ করতে চান তাদের জন্য ইংরেজির জ্ঞান থাকা অপরিহার্য।
৪. দেশে এবং বিদেশে ভালো চাকরি পেতেঃ
আপনি যদি ভালো ইংরেজি জানেন বা ইংরেজিতে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য দেশে এবং বিদেশে চাকরি পাওয়া সহজ হবে। ইংরেজিতে দক্ষতা আপনার চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।
৫. নিজেকে 'স্মার্ট' করে তুলতেঃ
আপনার জ্ঞান এবং বিশ্লেষণময়ী ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ইংরেজি শেখা গুরুত্বপূর্ণ। একটি নতুন ভাষা শেখা কঠিন এবং হতে পারে এটার সাথে আপনার মানসিক ব্যায়াম জড়িত। ২০১২ সালের গবেষণা দেখায় যে একটি নতুন ভাষা শেখা মস্তিষ্কের গঠন, স্মৃতির এবং মস্তিষ্কের অংশগুলিকে প্রভাবিত করে, আপনাকে সচেতন চিন্তাভাবনা করতে সাহায্য করে।
দ্বিভাষাবাদ মস্তিষ্ককে বৃদ্ধ বয়সে শক্তিশালী ও সুস্থ রাখতে পারে। ইংরেজির দক্ষতা আপনার স্বতন্ত্র স্তরে ব্যক্তিত্বকে উন্নত করে এবং স্ব-মূল্যবোধ বৃদ্ধি করে। সহজ কথায়, ইংরেজি শেখা আপনার মস্তিষ্ককে শক্তিশালী এবং বহুমুখী করে তোলে। ইংরেজি শেখা শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় নয়, এটি অনেক তৃপ্তিও দেয় এবং আপনার সামনে এগিয়ে যাওয়াকে ত্বরান্বিত করে।
৬. ইংরেজি মিডিয়া শিল্পের ভাষা এবং একাধিক সংস্কৃতিতে অ্যাক্সেসঃ
বর্তমানে, অনেক চলচ্চিত্র, টিভি শো, বই এবং সঙ্গীত ইংরেজিতে প্রকাশিত এবং নির্মিত হয়। বিশ্ব মিডিয়ায় বিশেষ করে হলিউডের প্রচুর পরিমাণে চলচ্চিত্র টিভি শো এবং জনপ্রিয় গান ইংরেজীতে লেখা হয় যা হলিউডের বিশিষ্ট তার অন্যতম কারণ।
আপনি যদি ইংরেজিতে দক্ষ হন বা কথা বলতে পারেন তাহলে আপনার পছন্দের মুভি, টিভি শো, গান,বই ইত্যাদি উপভোগ করার জন্য আপনাকে অনুবাদ বা সাবটাইটেল এর ওপর নির্ভরশীল হতে হবে না। এই মিডিয়া অ্যাক্সেস করে, আপনি আপনার ইংরেজি শোনা এবং পড়ার দক্ষতা কে বাড়াতে পারে। তাছাড়া ইংরেজির ভালো জ্ঞান আপনাকে বিশ্বের শত শত দেশের চলচ্চিত্র, সঙ্গীত এবং সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অ্যাক্সেস করার অনুমতি দেবে।
উল্লেখ্য যে সারা বিশ্ব থেকে অসংখ্য বই ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে। ইংরেজি শেখার মাধ্যমে আপনি আপনার থেকে আলাদা শিল্প ও সংস্কৃতি, মূল্যবোধ, অভ্যাস এবং জীবনযাপনের ধরন শেখার চেয়ে একজন আদর্শ, স্মার্ট ব্যক্তি হিসাবে গড়ে উঠতে পারেন।
৭. ইংরেজি শেখা আপনাকে নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে সাহায্য করেঃ
বর্তমানে ইংরেজি প্রায় ৫৩ টি দেশের সরকারী ভাষা এবং ইংরেজি সমগ্র পৃথিবীতে Lingua Franca ( আন্তর্জাতিক মিশ্রিত ভাষা) হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আপনি পৃথিবীর যেখানে কাজ করেন, চাকরি করেন, অথবা ভ্রমণে যান ইংরেজির দক্ষতা আপনাকে সারা বিশ্বের মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করবে।
৮. ব্যবসার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাষা ইংরেজিঃ
আপনি ছাত্র বা কর্মচারী অথবা একজন ব্যবসার মালিক যাই হোন না কেন ব্যবসার জগতে ইংরেজি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইংরেজি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত ভাষা এবং আন্তর্জাতিক ভাষা হওয়ার কারণে এটিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক ভাষা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া যুক্তরাজ্য, কানাডা, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সহ বিভিন্ন দেশের সরকারী ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয় ইংরেজি।
৯. ইংরেজি হল ইন্টারনেটের ভাষাঃ
বর্তমানেইংরেজি ইন্টারনেটের ভাষায় পরিণত হয়েছে। কারণ অনলাইনের অধিকাংশ বিষয় বস্তু ইংরেজিতে লেখা। এ ছাড়া বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তির কোম্পানিগুলো ইংরেজি ভাষাভাষী দেশগুলোতে অবস্থিত। বর্তমানে প্রতিদিন আনুমানিক ৬৬৫ মিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
বিশ্বের সর্বাধিক ভিজিট করা ওয়েবসাইট গুলির ৫২ % ইংরেজিতে প্রদর্শিত হয়। তাই ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার এবং সুযোগ-সুবিধা পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি জানতে হবে।
১০. ফ্রিল্যান্সিং অর্থনীতির প্রসারঃ
বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলি যেমন- আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডট কম, পিপলস পার আওয়ার, ফাইবার ইত্যাদিতে পরিষেবা সরবরাহকারীরা বিভিন্ন প্রজেক্ট পেয়ে থাকেন।
এই প্লাটফর্মের ক্লায়েন্ট গুলি সারা বিশ্ব থেকে আসে এবং এ জাতীয় প্লাটফর্মে যোগাযোগের জন্য বা কাজ করে অর্থ উপার্জন করার জন্য ইংরেজিতে দক্ষতা থাকা অপরিহার্য। আপনি যদি মাতৃভাষার পাশাপাশি ইংরেজিতে দক্ষ হন তাহলে এই সকল অনলাইনে বাড়ি বসে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
১১. ইংরেজিতে ভালো জ্ঞান ভ্রমণকে সহজ করেঃ
মনে করুন যে, আপনি ব্যাংককে ছুটিতে থাকা একজন স্প্যানিশ ব্যক্তি, আপনি যদি আপনার হোটেলের অভ্যার্থনা কারিকে স্প্যানিশ ভাষায় প্রশ্ন করেন তাহলে স্বাভাবিকভাবে সে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে না। কিন্তু সম্ভবত তারা ইংরেজিতে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হবে। ভাষা শেখার ফলে যেকোনো দেশ ভ্রমণ করা অনেক সহজ হয়ে যায়।
বিশেষ করে বিমানবন্দরে ফ্লাইটের ঘোষণা, ষ্টেশনের ট্রেনের সময়সূচী, যে কোন জরুরী তথ্য এবং রাস্তার পাশে ট্রাফিক সিগন্যালগুলো প্রায় ইংরেজিতে লেখা হয়ে থাকে এবং সেখানে দেশগুলোর স্থানীয় ভাষাসহ একটি ভিন্ন ধরনের বর্ণমালা ব্যবহার করা হয়। একথা বলা বাহুল্য যে এমন একটি দেশে আপনার ভ্রমণের সময় আপনি অন্তত কিছু ইংরেজি বুঝেন এমন কাউকে খুঁজে পাওয়ার নিশ্চয়তা রয়েছে।

শেষকথাঃ

সে অনেক কর্মক্ষেত্র রয়েছে যেখানে ইংরেজি জানা অপরিহার্য। বর্তমানে গোটা বিশ্ব মানুষের হাতের মুঠোয় এসেছে। এবং দ্রুতগামী পরিবহনের মাধ্যমে বিশাল দূরত্ব সংক্ষিপ্ত হয়ে এসেছে। মোবাইল এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা সহজে দেশে-বিদেশে খবর নিতে পারি এবং যোগাযোগ রাখতে পারি। এবং ইংরেজি ভাষা এ সকল যোগাযোগকে সহজতর করেছে।

বর্তমানে পৃথিবীর ৮০% এর বেশি কম্পিউটারের যাবতীয় তথ্যাদি ইংরেজি ভাষায় সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ধারাভাষ্য বর্ণনা এবং আন্তর্জাতিক সমাবেশ বা কনফারেন্সে ইংরেজি ভাষায় ব্যবহৃত হয়। তাই আমাদের সবারই ইংরেজি শেখা প্রয়োজন। তাই এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে বিশ্বায়নের এই পৃথিবীতে প্রবেশ করতে হলে ইংরেজি শেখার কোন বিকল্প নেই।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url