নেটওয়ার্ক কি - নেটওয়ার্ক কত প্রকার ও কী কী
নেটওয়ার্ক কি এই প্রশ্নটা অনেকেই করে থাকি। নেটওয়ার্ক কি, বলতে আসলে, একটি
ডিভাইসের সাথে অন্য আরেকটি ডিভাইসের কানেকশন কে বোঝানো হয়। এই নেটওয়ার্কের
মাধ্যমে আমরা একে অপরের সাথে, কাছের অথবা দূরের, এমনকি দেশের বাইরের মানুষের
সাথেও যোগাযোগ করতে পারি।
বর্তমানে আমরা প্রতিটা মুহূর্তই এই নেটওয়ার্কের সাথে সম্পৃক্ত। আমাদের আজকের
বিষয় নেটওয়ার্ক কি বা কাকে বলে। নেটওয়ার্ক কত প্রকার ও কি কি। এছাড়াও আমরা
নেটওয়ার্কের ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করব।
সূচিপত্রঃ- নেটওয়ার্ক কাকে বলে(Network Ki) -নেটওয়ার্ক কত প্রকার ও কীকী
- প্রাথমিক কথা
- নেটওয়ার্ক কি
- নেটওয়ার্ক কাকে বলে
- কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি
- নেটওয়ার্ক প্রটোকল কি | What is network protocol
- নেটওয়ার্কের ব্যবহার
- নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ (Types of Network)
- লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা (LAN)
- ক্যাম্পাস এরিয়া নেটওয়ার্ক বা (CAN)
- মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (MAN)
- ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (WAN)
- সার্ভার ভিত্তিক নেটওয়ার্ক (Server-Based Network)
- ক্লায়েন্ট/সার্ভার নেটওয়ার্ক (Client / Server Network)
- পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক (Peer-to-Peer Network)
- শেষ কথা
প্রাথমিক কথাঃ
কম্পিউটার যখন ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম প্রবেশ করেছিল তখন কম্পিউটারের
সফটওয়্যার প্রোগ্রামগুলো একজন ব্যবহারকারীর ব্যবহার উপযোগী করে তৈরি করা হতো।
তাই ব্যবহারের সুবিধার জন্য বিভিন্ন কম্পিউটার কে একত্রে সংযুক্ত করা অনিবার্য
হয়ে পড়েছিল। কিন্তু সেই সময় কম্পিউটারকে যুক্ত করার জন্য এত আধুনিক এবং
পর্যাপ্ত প্রযুক্তি ছিল না।
যখন ব্যবসা ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে কম্পিউটারের ব্যবহার ছড়িয়ে পড়ল তখন সফটওয়্যার
ডেভলপাররা ব্যবহারকারীর ব্যবহার উপযোগী
সফটওয়্যার
তৈরি করা শুরু করলেন। এবং বিভিন্ন সংস্থার কম্পিউটারগুলোকে একে অপরের সাথে যুক্ত
করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হলো। ডাটা কমিউনিকেশন বা কম্পিউটার সময়ের মধ্যে
তথ্যের ইলেকট্রনিক আদান-প্রদান কম্পিউটারশিল্পের প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
পরিণত হয়েছিল।
এবং সমগ্র কম্পিউটারশিল্পে নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তির দ্রুত বিস্তার লাভ করেছিল।
যখন ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কম্পিউটার গুলোর মধ্যে
নেটওয়ার্কিং করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল তখন অপেক্ষাকৃত বৃহৎ, দ্রুত এবং উচ্চ
ক্ষমতা সম্পন্ন নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তির চাহিদা বৃদ্ধি পেতে লাগলো।
নেটওয়ার্ক কিঃ
নেটওয়ার্ক সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাবার আগে নেটওয়ার্ক কি এই সম্পর্কে
পরিষ্কার হওয়া উচিত। নেটওয়ার্ক কি বা নেটওয়ার্ক কাকে বলে এই প্রশ্নের উত্তরে
বলা যায়, যে মাধ্যমের দ্বারা একটি কম্পিউটার অন্যান্য কম্পিউটারের সাথে সংযোগ
স্থাপন করে তাকে নেটওয়ার্ক বলে। অন্যভাবে বললে, একটি কম্পিউটার অন্য একটি
কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকার ফলে যে কানেকশন তৈরি হয় এবং সেই কানেকশনের মাধ্যমে
তথ্যের আদান প্রদান হয় তাকে নেটওয়ার্ক বলে।
এবং সেই কম্পিউটারগুলোকে নোড বলা হয়। এবং সংযুক্ত কম্পিউটারের মধ্যে যে সকল
তথ্যের আদান-প্রদান হয় সেগুলো ডাটা আকারে একটি সার্ভারে জমা থাকে। যে স্থানে সকল
তথ্য জমা থাকে তাকে সার্ভার বলে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক হলো ইন্টারনেট।
এবং পৃথিবীর সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যারা তথ্য ব্যবহার করে সকল তথ্য একটি
নির্দিষ্ট সার্ভারে স্টোর থাকে।
নেটওয়ার্ক কাকে বলেঃ
নেটওয়ার্ক হলো একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে কম্পিউটার, সার্ভার, মেইনফ্রেম,
নেটওয়ার্ক ডিভাইস সহ অন্যান্য ডিভাইসের মাধ্যমে তথ্যের আদান-প্রদানের অনুমতি
প্রদান করা হয়ে থাকে। ইন্টারনেট হল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক। কারণ এটিতে,
রাউটার, সুইট, টেলিফোন লাইন এবং অন্যান্য যোগাযোগ যন্ত্র এবং বিভিন্ন চ্যানেল এর
মাধ্যমে বিশ্বের সকল কম্পিউটার এবং সার্ভারগুলোকে একত্রে সংযুক্ত করে এই
নেটওয়ার্কটি তৈরি করা হয়েছে।
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কিঃ
আমরা যেহেতু নেটওয়ার্ক কি বা নেটওয়ার্ক কাকে বলে এ সম্পর্কে ধারণা লাভ করেছেন
সেহেতু কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি এ সম্পর্কে জানা সহজ হবে। যখন দুই বা ততোধিক
কম্পিউটারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা হয় এবং সেই যোগাযোগের মাধ্যমে
কম্পিউটারগুলোর মধ্যে তথ্যের আদান প্রদান করা হয় তখন সেই নেটওয়ার্কে কম্পিউটার
নেটওয়ার্ক বলে। নেটওয়ার্কের এই সংযোগ তার বিহীন বা তার যুক্ত হতে পারে।
যেমনঃ রেডিও ওয়েভ, মাইক্রোওয়েভের, স্যাটেলাইট ইত্যাদি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে
কম্পিউটারের এই নেটওয়ার্কের সিস্টেমটি পরিচালনা করা হয়। তথ্য আদান-প্রদানের
ক্ষেত্রে যে কম্পিউটারটি প্রধান ভূমিকা রাখে তাকে সার্ভার কম্পিউটার বলা হয়।
সার্ভার কম্পিউটারটি শুধু শেয়ারিং সুবিধা প্রদান করে থাকে কিন্তু সার্ভার
কম্পিউটারটি কোন শেয়ারিং সুবিধা গ্রহণ করে না।
নেটওয়ার্ক প্রটোকল কি | What is network protocol
একটি কম্পিউটারের সাথে অন্য একটি কম্পিউটারের যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে যে সংযোগ
তৈরি করা হয় সে সংযুক্তিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য যে সকল নিয়ম-নীতি
প্রণয়ন করা হয়েছে নেটওয়ার্কিং এর ভাষায় সে সকল নিয়ম এবং নীতিমালাকে
নেটওয়ার্ক প্রটোকল বলা হয়।
নিম্নে কিছু নেটওয়ার্ক প্রটোকল দেয়া হলোঃ-- TCP
- IP
- IPX/SPX
- NetBEUI
- HTTP
- FTP
নেটওয়ার্কের ব্যবহারঃ
নেটওয়ার্ক হচ্ছে বিভিন্ন টেকনোলোজীর (যেমনঃ হার্ডওয়্যার,সফটওয়্যার
এবং ক্যাবল বা তার বা অন্যান্য মাধ্যমের) একটি সেট বা বিভিন্ন কম্পিউটারকে
সংযুক্ত করতে, তাদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করতে, যোগাযোগ করতে এবং রিয়েল টাইমে
অর্থাৎ প্রকৃত সময়ে রিসোর্স শেয়ার করতে সক্ষম করে। আপনি নেটওয়ার্ককে চিন্তা
করবেন টেকনোলোজি সমূহের একটি সেট বা গ্রুপ হিসাবে, কারণ প্রায় সকল নেটওয়ার্কেই
হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং কম্পিউটারসমূহকে যুক্ত করার জন্য কোন মাধ্যম
যেমন-তার (cable) প্রয়োজন হয়।
নেটওয়ার্ক অনেকজন ব্যবহারকারীকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো-ডাটা বা প্রোগ্রামে প্রবেশ
করার সুযোগ দেয়। যখন কোনো ডাটা বা প্রোগ্রাম নেটওয়ার্কে সংরক্ষণ করা হয় তখন
একক কোন ব্যবহারকারীর সেই ডাটা বা প্রোগ্রামের পৃথক কোনো কপি তার নিজের
কম্পিউটারে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হয় না । বর্তমানে খুব কম প্রতিষ্ঠানেই ডাটা
আদান-প্রদানের জন্য কোনো কেন্দ্রীয় সিস্টেম যেমন, মেইনফ্রেইম বা টার্মিনাল
ব্যবহা করা হয়।
ইতিমধ্যেই অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং স্কুল-কলেজ কেন্দ্রীয় কম্পিউটিং সিস্টেম
থেকে PC ভিত্তিক নেটওয়ারে পরিবর্তিত হয়েছে। যদিও আপনি একটি মেইনফ্রেইম সিস্টেম
এবং এর টার্মিনালগুলোকে একটি নেটওয়ার্ক মনে করতে পারেন, তবুও এই ধরণের সিস্টেম
বিভিন্ন PC-এর সমন্বয়ে তৈরী নেটওয়ার্কের মত সুবিধা দেয় না ।
নেটওয়ার্ক অনেক সুবিধা প্রদান করে । তন্মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ চারটি
হচ্ছে-
- একই সময়ে অনেকজন ব্যবহারকারীকে কোন ডাটা বা প্রোগ্রামে প্রবেশের সুযোগ দেয়।
- ব্যবহারকারীকে কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত ডিভাইসসমূহ যেমন-প্রিন্টার, স্ক্যানার ইত্যাদি ব্যবহার করার সুযোগ দেয়।
- ব্যক্তিগত কমিউনিকেশন বা যোগাযোগকে সহজতর করে ।
- ব্যবহারকারী বা নিয়ন্ত্রককে (Administrator) গুরুত্বপূর্ণ ডাটা ব্যাক আপ (Back up) করার সুযোগ দেয় ।
নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ (Types of Network):
নেটওয়ার্ক বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। আমরা অনেকেই যখন নেটওয়ার্কের কথা চিন্তা করি
তখন আমাদের কল্পনায় একটা স্থানের কিছু কম্পিউটার যেগুলো কোন ডকুমেন্ট বা ডিভাইস
যেমন প্রিন্টার, স্ক্যানার, ক্যামেরা ইত্যাদি ডিভাইস গুলো ভেসে ওঠে।
কিন্তু নেটওয়ার্ক শুধুমাত্র কোন ডিপার্টমেন্ট বা বিল্ডিং কে সংযুক্ত করেনা।
এটি বিভিন্ন দূরবর্তী স্থান যেমন-ভিন্ন কোন শহর বা দেশ এ অবস্থিত বিল্ডিংগুলোর
সমস্ত কম্পিউটারকে অন্তর্ভুক্ত করে।
পৃথক পৃথক এবং ছোট ছোট অনেকগুলো নেটওয়ার্ক যখন একটি বৃহৎ নেটওয়ারকের সাথে যুক্ত
হয়ে সারা পৃথিবীর ব্যাপী মানুষ তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে তখন তাকে ইন্টারনেট
বলে। তথ্যের আদান-প্রদান যে শুধু টেক্সট ভিত্তিক হয়ে থাকে তা নয়। অনেক
নেটওয়ার্কের মাধ্যমে, ভয়েস, অডিও এবং ভিডিও আদান প্রদান করা হয়।
এমনকি ভিডিও কনফারেন্স সহ বিভিন্ন ধরনের পারস্পরিক অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থা প্রদান
করে থাকে। এই ব্যবস্থাগুলো কয়েক বছর আগেও সম্ভব ছিল না। আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের
নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জানতে চান বা বুঝতে চান তার আগে আপনাকে জানতে হবে নেটওয়ার্ক
গুলো কিভাবে কাজ করে, নেটওয়ার্ক গুলো কিভাবে গঠিত এবং তাদের কাঠামো কেমন।
প্রধানত দুই ধরণের নেটওয়ার্ক আছে। যেমন-(১) লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা LAN
(২) ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক বা WAN
কিছু কিছু নেটওয়ার্ক সার্ভার ব্যবহার করে। যেমন-সার্ভার ভিত্তিক নেটওয়ার্ক (Server Based Network)। আবার কিছু কিছু নেটওয়ার্ক সার্ভার ব্যবহার করে না। যেমন- পিয়ার টু পিয়ার (peer to peer) নেটওয়ার্ক।
লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা (LAN):
লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা (LAN) নেটওয়ার্ক এ কম্পিউটার গুলো তুলনামূলক একে
অন্যের কাছাকাছি অবস্থান করে। এক্ষেত্রে কম্পিউটারগুলো একে অন্যের সাথে তার বা
কেবল, ইনফ্রারেড লিংক কিংবা ছোট ওয়ারলেস ডিভাইস এর মাধ্যমে একে অন্যের সাথে
সংযুক্ত থাকে। পরস্পর সংযুক্ত দুইটি বা তিনটি কম্পিউটার নিয়ে একটি LAN গঠিত হয়।
আবার বিভিন্ন ধরনের শত শত কম্পিউটারও এর সাথে সংযুক্ত থাকতে পারে। যখন এরকম একটি
নেটওয়ার্ককে একটি ভবন বা পরস্পর সংলগ্ন কয়েকটি ভবনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে তখন
তাকে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা (LAN) বলা হয়। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এক
কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডাটা প্রেরণের পূর্বে ডাটা গুলোকে ক্ষুদ্র
ক্ষুদ্র ভাগে ভাগ করা হয়।
এই ভাগ কে প্যাকেট বলে। প্যাকেট হল ডাটার একটি খন্ড যার মধ্যে একটি হেডার
(Header), পেলোড (Payload} এবং নিয়ন্ত্রক উপাদান (Control Elements) থাকে যা
একসাথে প্রেরণ করা হয়। গ্রহণকারী কম্পিউটার প্যাকেটগুলোকে তাদের প্রকৃত কাঠামোতে
পুনরায় পরিবর্তিত করে।
পেলোড (payload):
প্যাকেটের যে অংশ প্রকৃত ডাটা ধারণ করে তাকে পেলোড (payload) বলে। কি ধরনের ডাটা
পেলোডে রয়েছে তার তথ্য, ডাটার উৎস এবং গন্তব্য স্থান এবং একটি ক্রমিক নম্বর এ
সকল তথ্য হেডারের (Header) মধ্যে থাকে। যেগুলো গ্রহণকারী কম্পিউটারকে প্রাপ্ত
ডাটা সঠিক ক্রম অনুযায়ী সাজাতে সাহায্য করে। প্রতিটি LAN একটি প্রটোকল
(protocol) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রটোকল হল ডাটা প্রেরণ ও গ্রহণের এক সেট
নিয়ম কানুন এবং ফরমেট। একটি একক LAN একাধিক প্রটোকল ব্যবহার করতে পারে ।
বর্তমানে ব্যবহৃত সবচেয়ে প্রচলিত কয়েকটি প্রোটকলের বর্ণনা নিচে দেয়া হলঃ-
TCP/IP:
এটি একটি ইন্টারনেট প্রটোকল যা মূলত UNIX হোস্টের সাথে সংশ্লিষ্ট। যে সকল
কম্পিউটার ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করবে তাদের জন্য এই প্রোটোকলটি
প্রয়োজন। TCP/IP বর্তমানে windows 2000/XP এবং অন্যান্য অনেক অপারেটিং
সফ্টওয়্যারের ডিফল্ট নেটওয়ার্কিং প্রটোকল ।
IPX/SPX:
এই প্রোটোকল টি Novell এর মালিকানাধীন প্রটোকল। বিশ্বব্যাপী অফিসগুলোকে
নেটওয়ার্কিং করার জন্য IPX / SPX Netware নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেমের অধিকাংশ
ভার্সনে এই প্রটোকলটি ব্যবহৃত হয়েছে। Netware এর অধিকতর নতুন ভার্সন অবশ্যই
TCP/IP সাপোর্ট করে।
NetBEUI:
এই প্রোটিকলটি অপেক্ষাকৃত সাধারণ প্রটোকল। কম্পিউটার যে সকল মেসেজ গ্রহণ করতে
সক্ষম, NetBen NetBEUI প্রত্যেক কম্পিউটারকে সে সকল ম্যাসেজ পাঠায়। ছোট ছোট অফিস
বা বাসা বাড়ির জন্য এই প্রোটকল টি খুব চমৎকার কিন্তু বৃহৎ পরিবেশের ক্ষেত্রে এটি
ভালো কাজ করে না। নেটওয়ার্ক প্রটোকল গুলো সফটওয়্যার এর মত নেটওয়ার্কের প্রতিটি
কম্পিউটারে অবশ্যই ইন্সটল করতে হয়। এটি হলো কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম বা
নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেমের একটি অংশ।
যা কম্পিউটারগুলোকে উপযুক্ত নির্দেশনা দেয় যে ডাটা গুলোকে কিভাবে ভাঙতে হবে, তার
রূপ কি হবে, কিভাবে পাঠাতে হবে, কিভাবে গ্রহণ করতে হবে এবং কিভাবে সাজাতে হবে। এই
ধরণের
সফটওয়্যার
ইনস্টল করা ছাড়া একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কে অংশ গ্রহণ করতে পারে না। যদি দুটি
LAN এরকম কমিউনিকেশন নিয়ম-কানুনের আওতায় গঠিত হয়, তাহলে তারা পরস্পর
নিম্নলিখিত তিনটি ডিজাইনের যে কোনো একটির মাধ্যমে সংযুক্ত হতে পারেঃ
হাব (Hub) : হাব হল নেটওয়ার্কের বিভিন্ন ধরণের ডিভাইসের মধ্যে সাধারণ সংযোগ
ক্ষেত্র।
ব্রীজ (Bridge) : ব্রীজ হল এমন একটি ডিভাইস যা প্রতিটি প্যাকেটের হেডারের
তলের দিকে লক্ষ্য করে এবং সেই হিসাবে ডাটা প্রেরণ করে।
রাউটার (Router): রাউটার হচ্ছে অপেক্ষাকৃত
জটিল ধরণের ডিভাইস যা নেটওয়ার্কের জন্য পথ নির্দেশক তথ্য সংরক্ষণ করে। ব্রীজের
মত রাউটার প্রতিটি প্যাকেটের হেডারে লক্ষ্য করে নির্ধারণ করে যে সেই প্যাকেটটির
কোথায় যাওয়া উচিৎ এবং তখন সাথে সাথে সে ঐ প্যাকেটটির জন্য তার গন্তব্যে
পৌঁছানোর একটি রুট বা পথ নির্ধারণ করে দেয়। আপনি যদি ভিন্ন ধরনের দুটি
নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে চান তাহলে আপনার একটি গেটওয়ে(gateway)
প্রয়োজন হবে।
গেটওয়ে হলো একটি কম্পিউটার সিস্টেম যা দুটি নেটওয়ার্ক কে সংযুক্ত করে এবং একটি
কম্পিউটারের তথ্য অন্য একটি কম্পিউটারের নিকট অনুবাদ করে বা বোধগম্য করতে সাহায্য
করে। বিভিন্ন নেটওয়ার্ক থেকে আসা বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটে বিভিন্ন ধরনের তথ্য
থাকে এবং তাদের ফরমেট ও একটি অন্যটির চেয়ে আলাদা। গেটওয়ে গুলো অন্য একটি
কম্পিউটারের নিকট বা অন্য একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কের নিকট ডাটাগুলো বোধগম্য করে
তোলার জন্য প্রতিটি প্যাকেটে একটি হেডার যুক্ত থাকে।
ক্যাম্পাস এরিয়া নেটওয়ার্ক বা (CAN):
ক্যাম্পাস এরিয়া নেটওয়ার্ক (Campus Area Network) এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো (CAN)।
ক্যাম্পাস এরিয়া নেটওয়ার্ক বা (CAN) নেটওয়ার্কগুলো LAN এর নীতি বৃহৎ এবং সু
পরিসর মাত্রায় অনুসরণ করে। CAN এর মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাম্পাস, অফিস এবং
প্রতিষ্ঠানে পরস্পর সংযুক্ত হতে পারে। যেমন- কোনো ইউনিভার্সিটির ক্ষেত্রে, এর
অর্থ আদায় বিভাগ রেজিস্ট্রারের অফিসের সাথে সংযুক্ত হতে পারে।
এ ক্ষেত্রে, যখন কোনো ছাত্র অর্থ আদায় বিভাগে তার বেতন জমা দেয়, তখন সেই তথ্য
রেজিস্ট্রারের অফিসে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পাঠানো হতে পারে যাতে রেজিষ্ট্রার সেই
ছাত্রকে কোনো ক্লাসে ভর্তি করার অনুমোদন দিতে পারে। কোনো কোনো ভার্সিটি বা
প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগে আলাদা আলাদা LAN থাকা সত্ত্বেও তারা CAN এর মাধ্যমে
পরস্পর সংযুক্ত হতে পারে
মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (MAN):
মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (Metropoliton Area Network) এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো
(MAN)। নেটওয়ার্কের ধারণায় মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক হলো অপেক্ষাকৃত নতুন
ধারণা। মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক এর মালিক কোন এক এক প্রতিষ্ঠান হতে পারে
না। এই নেটওয়ার্কের যোগাযোগের যন্ত্রসমূহ এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি কোন গ্রুপ বা
একক নেটওয়ার্ক প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং পরিচালিত হয়।
যারা তাদের নেটওয়ার্ক সার্ভিস গুলো কর্পোরেট কাস্টমারের কাছে বিক্রি করে থাকে।
প্রায়ই MAN হাই-স্পীড নেটওয়ার্কের ভূমিকা নিয়ে থাকে যা কোনো অঞ্চলে রিসোর্স
(Regional Resource) শেয়ার করার অনুমোদন বা সুযোগ দেয়। MAN এছাড়াও WAN লিংকের
মাধ্যমে অন্য নেটওয়ার্কের সাথে শেয়ারড় কানেকশান বা সংযোগ ও প্রদান করে থাকে ।
ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (WAN):
ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (Wide Area Network) এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো (WAN)। যখন
দুই বা ততোধিক লোকাল এরিয়ার নেটওয়ার্ক যুক্ত হয়ে একটি নেটওয়ার্ক গঠন করে তখন
তাকে হোয়াইট এরিয়া নেটওয়ার্ক বলে। ওয়াইট এরিয়া নেটওয়ার্কের ব্যাপারটি একটি
বৃহৎ ভৌগোলিক অঞ্চল জুড়ে হয়ে থাকে।
উদাহরণস্বরূপ, কোনো কোম্পানীর কর্পোরেট হেডঅফিস আর প্রোডাকশন কেন্দ্র হয়তো এক
শহরে অবস্থিত আর এর মার্কেটিং অফিস অন্য শহরে প্রতিটি বিভাগে অবস্থিত। এক্ষেত্রে
সে স্থানের রিসোর্স, ডাটা এবং প্রোগ্রাম প্রয়োজন, কিন্তু এক বিভাগের হয়তো অন্য
বিভাগের সাথে ডাটা শেয়ার করা প্রয়োজন হতে পারে। এই কাজটি সম্পাদন করার জন্য
তারা WAN তৈরি করতে পারে (উদাহরণ স্বরূপ, রাউটার এবং টেলিফোন লাইনের সাহায্যে) ।
অবশ্যই WAN এর মধ্যে LAN থাকতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। দূরবর্তী দুটি মেইনফ্রেইম
কম্পিউটার WAN এর মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে যার কোনোটিই হয়তো কোনো LAN এর
অংশ নয়। ভৌগলিক দূরত্ব ছাড়াও WAN আর LAN এর মধ্যে মূল পার্থক্য হচ্ছে ডাটা
আদান-প্রদানের খরচ। LAN এর ক্ষেত্রে, নেটওয়ার্কের সমস্ত কিছুর মালিকানা সাধারণত
ঐ LAN ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের হয়ে থাকে।
যেমন- যদি কোনো কোম্পানী তার নেটওয়ার্ককৃত PC গুলি ক্যাবল বা তারের মাধ্যমে
সংযুক্ত করে তাহলে ঐ কোম্পানী নেটওয়ার্কের জন্য বা ডাটা আদান-প্রদানের জন্য কেবল
একটি নির্দিষ্ট খরচ বহন করে (তারের মূল্য, ইত্যাদি)। কিন্তু বহু দুরবর্তী স্থানে
ডাটা আদান-প্রদান করার জন্য WAN ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সমূহের অনেক বেশি খরচ করতে
হয়। যেমন-টেলিফোন লাইন বা ওয়্যারলেস প্রযুক্তি যেমন-স্যাটেলাইট ইত্যাদির লীজ
নেয়ার খরচ।
সার্ভার ভিত্তিক নেটওয়ার্ক (Server-Based Network):
এখন পর্যন্ত আমরা LAN, WAN বা MAN সম্পর্কে আলোচনা কর যা নেটওয়ার্ক এর আকার
এবং ব্যক্তি সম্পর্কে ধারণা দিয়েছে। কিন্তু একটি নেটওয়ার্কের সাথে
সম্পৃক্ত প্রতিটি কম্পিউটার যাদেরকে নোট বলা হয় তারা কিভাবে একে অন্যের সাথে কাজ
করে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। অনেক নেটওয়ার্ক এ কয়েকটি নোট বা কম্পিউটার থাকে
এবং একটি কেন্দ্রীয় কম্পিউটার থাকে যার মধ্যে এক বা একাধিক হার্ডডিস্ক ব্যবহার
করা হয়।
এই কেন্দ্রীয় কম্পিউটার কে ক্ষেত্র ভেদে, ফাইল সার্ভার, নেটওয়ার্ক সার্ভার,
অ্যাপ্লিকেশন সার্ভার অথবা শুধু সার্ভার বলা হয়। একাধিক নোড কর্তৃক ব্যবহৃত ফাইল
এবং প্রোগ্রাম সাধারণত ঐ সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে । এ ধরনের সার্ভারে প্রতিটি নোট
সার্ভারে সংরক্ষিত ফাইলে প্রবেশ করতে পারে কিন্তু অন্য নোট এ প্রবেশ করার সুযোগ
নাও দিতে পারে।
ক্লায়েন্ট/সার্ভার নেটওয়ার্ক (Client / Server Network):
সার্ভারভিত্তিক যতগুলো নেটওয়ার্ক রয়েছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো
ক্লায়েন্ট/সার্ভার নেটওয়ার্ক। যার মধ্যে প্রতিটি কম্পিউটার প্রসেসিং এবং
স্টোরেজ সুবিধা কেন্দ্রীয় সার্ভারের সাথে শেয়ার করে। এ ধরনের নেটওয়ার্ক এ নোড
এবং সার্ভারের জন্য বিশেষ ধরনের সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়।ক্লায়েন্ট সার্ভার
সফটওয়্যার
গুলো LAN বা WAN এর মধ্যেও ব্যবহৃত হতে পারে। ক্লায়েন্ট/সার্ভার কম্পিউটিং এর
সবচেয়ে সাধারণ উদাহরণ হলো- ডাটাবেজ (Database) যাতে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে
অনেকগুলো কম্পিউটার প্রবেশ (access) করতে পারে। ডাটাবেজ নেটওয়ার্ক সার্ভারে
সংরক্ষিত থাকে।
সাথে থাকে ডাটাবেজ ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেমের (বা DBMS) একটি অংশ। Database
Management System (DBMS) হলো একটি প্রোগ্রাম যা ব্যবহারকারী বা user কে ডাটাবেজ
নিয়ে কাজ করার সুযোগ দেয়। ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে (যাকে নোড বা ওয়ার্কস্টেশন
বা ক্লায়েন্ট বলে) DBMS এর ক্লায়েন্টের অংশ সংরক্ষিত থাকে। ক্লায়েন্ট সোর্ভার
সফটওয়্যার
আধুনিক বৃহৎ প্রতিষ্ঠানসমূহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তা প্রসেসিং এবং স্টোরেজ
অর্থাৎ তথ্য সংরক্ষণের কাজ বিভিন্ন রিসোর্স (যেমন- হার্ডডিস্কসমূহ) এর মধ্যে দক্ষ
ভাবে বণ্টন করে।
যাতে ব্যবহারকারীগণ যে সমস্ত তথ্য চায় তা দ্রুত পেতে পারে ক্লায়েন্ট/সার্ভার
কম্পিউটিং মডেলটি ইন্টারনেটের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। ব্যবহারকারীগণ সাধারণত
ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করে যা WAN এর সাথে কাজ করার জন্য সহজে
ব্যবহারযোগ্য ক্ষেত্র (Easy to-use interface) তৈরী করে অন্যান্য ধরণের প্রসেসিং
(যেমন- ইমেইল ম্যাসেজ গ্রহণ, সংরক্ষণ বা প্রেরণ) দূরবর্তী কম্পিউটার যেগুলো
সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যারের সার্ভার অংশটি পরিচালনা করে সে সকল কম্পিউটার দ্বারা
পরিচালিত হয় ।
পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক (Peer-to-Peer Network):
পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক কে ওয়ার্কগ্রুপ নেটওয়ার্কও বলা হয়। এই
নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযুক্ত সকল নোট বা কম্পিউটার একে অপরের সাথে সমানভাবে
সংযুক্ত থাকে এবং সকলের মধ্যে একই ধরনের সফটওয়্যার থাকে যার মাধ্যমে রিসোর্স
শেয়ারিং করা হয়। সাধারণত পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রতিটি নোডের
মধ্যে সামান্য কিছু রিসোর্সে প্রবেশাধিকার থাকে। এই নেটওয়ার্ক কে সঠিকভাবে সেটআপ
করা হলে একত্রে অনেকজন ইউজার বা ব্যবহারকারী সেটি ব্যবহার করতে পারবেন।
ব্যবহারকারীরা নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত অন্য কম্পিউটারের হার্ডডিস্ককে রক্ষিত
ফাইল এবং অন্য কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত প্রিন্টারের এক্সেস পেতে পারেন। অনেক
অপারেটিং সিস্টেমে (যেমন-Windos9x বা এর পরবর্তী ভার্সনে এবং Macintosh অপারেটিং
সিস্টেমে) পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক বিল্টইন থাকে অর্থাৎ সফ্টওয়্যারের ভিতরেই
বিদ্যমান থাকে। এই ব্যবস্থা ব্যবহারকারীকে তাদের কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম
ছাড়া অন্য কোনো
সফটওয়্যার
ব্যবহার না করেই সরল পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক সেটআপ করার সুযোগ দেয় ।
কিছু উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং
(Distributed Computing) অনুমোদন করে থাকে। ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং ব্যবস্থা
ব্যবহারকারীকে নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত অন্য কম্পিউটারের প্রসেসিং ক্যাপাসিটি
ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। যেমন-অনেক CPU ক্ষমতা প্রয়োজন এমন কাজ সম্পদানের জন্য
কোন ব্যবহারকারী তার কাজের কিছু অংশ অন্য কম্পিউটারের কাছে হস্তান্তর করতে পারে।
এভাবে সে তার কম্পিউটারকে অন্যান্য কাজের জন্য মুক্ত (Free) রাখতে পারে।
সাধারণত কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরী বা 3D এ্যানিমেশনের জন্য অনেক CPU Power
প্রয়োজন হয়। পিয়ার টু পিয়ার LAN সাধারণত ছোট প্রতিষ্ঠানে (তাদের নোডের সংখ্যা
২৫ এর কম) সেট আপ করা হয়। পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক স্কুলে বেশ জনপ্রিয়।
এখানে নেটওয়ার্কের প্রধান সুবিধা হলো শেয়ারড স্টোরেজ এবং প্রিন্টার শেয়ারিং
এবং বর্ধিত যোগাযোগের ব্যবস্থা। একটি পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্কে, একটি
নেটওয়ার্ক সার্ভারও অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। এক্ষেত্রে পিয়ার টু পিয়ার LAN
স্টাইল সার্ভার নেটওয়ার্কের অনুরূপ। তাদের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য হলো এই যে,
ফাইল সার্ভার নেটওয়ার্কের চেয়ে পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক অন্য নোডে অধিক
Access বা প্রবেশের সুযোগ দেয়।
শেষ কথাঃ
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা নেটওয়ার্ক কি বা নেটওয়ার্ক কাকে বলে
এর সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। পাশাপাশি নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ, নেটওয়ার্ক কত
প্রকার ও কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনাদের উপকারে
আসলে আপনারা সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করতে পারেন। প্রয়োজনে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে
কমেন্ট করুন।
Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url