ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডায়াবেটিস এমন একটি রেগি যা
কখনও নিরাময় কারা যায় না। কিন্তু নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। ডায়াবেটিস শরীরের এমন
একটি গুরুতর অবস্থাকে বোঝায়, যখন একজন ব্যক্তির শরীর ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না
বা তৈরি হওয়া ইনসুলিন তার কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে।
শরীরে কোন কারণে ইনসুলিনের পরিমাণ কমে গেলে বা সম্পূর্ণ অভাবের কারণে রক্তের
গ্লুকোজের পরিমান কমে যাবার ফলে, যে অবস্থার বা রোগের সৃষ্টি হয়, তাকে বহুমূত্র
/ ডায়াবেটিস বলে। ইনসুলিন হরমোন অগ্নাশয় থেকে নিঃসৃত হয়। এই হরমোনের প্রধান
কার্য হচ্ছে আমাদের শরীরের বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা এবং রক্তে গ্লুকোজের
পরিমাণ সঠিক রাখা।
স্বাভাবিকভাবে না খাওয়া অবস্থায় রক্তের গ্লুকোজের (FBS) পরিমাণ হচ্ছে ৩.৬-৫.৮
mmol/1 সাধারণভাবে বহুমূত্র রোগীর ক্ষেত্রে রক্তের চিনির (Fasting Blood Sugar)
পরিমাণ 7m mol/ Lএর উর্দ্ধে থাকে। প্রস্রাবের সাথে প্রচুর শর্করা বা গ্লুকোজ শরীর
থেকে বের হয়ে যায় । এই রোগে ঘন ঘন প্রস্রাব হয় বলে এর নাম বাংলায় বহুমূত্র।
(ক) টাইপ 1
(খ) টাইপ 2
টাইপ 1 এবং টাইপ 2 হল ডায়াবেটিসের দুটি সাধারণ রূপ। এছাড়া অন্যান্য ধরণেরও
ডায়াবেটিস হতে পারে, যেমন-
১। ইনসুলিন নির্ভরশীল বহুমূত্র (IDDM)
২। ইনসুলিন অনির্ভরশীল বহুমূত্র (NIDDM)
৩। অপুষ্টি জনিত ডায়াবেটিস (MRDM)
৪ । গর্ভকালীন ডায়াবেটিস (GDM)
৫। শর্করা অসহিষ্ণুতা (IGT)
১। ইনসুলিন নির্ভরশীল বহুমূত্র (IDDM): বংশগত এবং অন্যন্য কারণে এই
ধরনের বহুমূত্র রোগ হয়। এই ধরনের রোগীদের ইনসুলিন (Insulin) নামক হরমোনের অভাব
দেখা দেয়। ফলে রক্তে গ্লুকোজ বৃদ্ধি পায়। সাধারণত অল্প বয়স থেকে (৪০ বছরের
এর নীচে) এই রোগ দেখা দেয়। এরা সাধারণত কৃশকায় হয় ।
২। ইনসুলিন অনির্ভরশীল বহুমূত্র (NIDDM): এ ধরনের রোগীদের লক্ষণ দেখা
দেয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৩৫ বৎসর বয়সে এবং কম শারীরিক পরিশ্রম করে এ ধরনের
মানুষের এই রোগ হয়। এদের ইনসুলিন নিঃসৃত হয়, কিন্তু পরিমাণ কম হয় অথবা
নিঃসৃত ইনসুলিন দেহে কাজ করবে না।
৩। অপুষ্টি জনিত ডায়াবেটিস (Malnutrition Related Diabetes Mellitus):
৩০ বছর বয়সের নীচে অপুষ্টির কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে। এদের শরীরে অপুষ্টির
লক্ষণ বিদ্যমান থাকবে।
৪। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস (Gestational Diabetes Mellitus): গর্ভবতী
মায়েদের অনেক সময় সাময়িকভাবে ডায়াবেটিস দেখা দিতে পারে। প্রসব হয়ে গেলে
ঠিক হয়ে যায়। এ সমস্ত মহিলাদের প্রসবে জটিলতা দেখা দিলে হাসপাতালে ডেলিভারী
করানো উচিত ।
৫। শর্করা অসহিষ্ণুতা (Impaired Glucose Tolerence): কোন রোগীর রক্তে
শর্করার (গ্লুকোজ) পরিমাণ সুস্থ মানুষের রক্তের শর্করার চেয়ে বেশী অথচ তা
ডায়াবেটিস রোগীর রক্তের গ্লুকোজের তুলনায় কম হতে পারে। গুকোজের পরিমাণ অভুক্ত
অবস্থায় (FBS) 7.8ml mol/L এর কম হবে এবং খাওয়ার পর রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ
১১.১ মিলি মোলের কম অথচ ৭.৮ মিলি মোলের বেশী থাকবে। ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা
থাকে। তাই সাবধানে থাকা উচিত ।
ডায়াবেটিস এর লক্ষণ
ইনসুলিন নির্ভরশীল বহুমূত্র
- ৪০ বৎসরের কম বয়স থেকে লক্ষণ দেখা দেয়।
- ঘন ঘন প্রস্রাব হবে। রাতে প্রস্রাব বেশি হবে।
- যথেষ্ট খাওয়ার পরেও শরীরের ওজন হ্রাস পেতে থাকবে।
- দুর্বল বোধ হবে, গা ম্যাজ ম্যাজ করবে।
- চামড়ার উজ্জ্বলতা ধীরে ধীরে নষ্ট হবে।
- হাত, পা ও আঙ্গুলে বেদনা বোধ কমে আসবে।
- ঘা হলে সহজে শুকাবে না এবং ইনফেকশন হবে সহজে।
- হাত পা চাবাবে (muscle cramp)
- চোখে কম দেখবে।
ইনসুলিন অনির্ভরশীল বহুমূত্র
-
দুর্বল বোধ হবে, হাত পা ব্যথা করবে (চাবাবে)। প্রস্রাব ঘন ঘন হতে পারে ।
- ৫০% রোগীর ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ থাকবে ।
- সাধারণত ৪৫ বছরের বয়সের পর এবং স্থূলদেহীদের বেশী হবে।
- চামড়াতে হলুদ গোটা (Xanthoma) দেখা দিতে পারে।
- হাত, পা অবশ বোধ হবে, জ্বালাপোড়া করতে পারে ।
- ঘা হলে সহজে শুকাবে না।
অনুসন্ধান ও রোগ নির্ণয় (Diagnosis & Investigation):
বহুমূত্র সন্দেহ হলে দ্রুত ডায়াবেটিসে অভিজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে। এটি
জটিল রোগ বিধায় সঠিক চিকিৎসার জন্য ডায়াবেটিস হাসপাতালে বা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বা
ডায়াবেটিসে অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে রোগ নির্ণয়ের পর চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
প্রস্রাবে (Urine) গুকোজঃ বেনেডিক্ট সলিউশনে ৮ ফোটা প্রস্রাব মিশ্রিত করার
পর দেখতে হবে নীল রংয়ের সলিউশন এর রং পরিবর্তিন হয় কিনা। ডায়াবেটিস এর মাত্রা
অনুযায়ী নীল (Blue) রং পরিবর্তিত হয় সবুজ, হলুদ কমলা, লাল বা ইট রং হতে পারে।
রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ
না খাওয় অবস্থায় (Fasting Blood Sugar) 07m mol/Lএর বেশী হবে।
যখন তখন রক্ত পরীক্ষা (Random Blood Sugar) 11 mmol/L এর বেশী হবে।
চিনি খাবার ২ ঘন্টা পর 7.8 mmol/Lএর বেশী ।
জটিলতা (Complication)
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে না রাখলে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়। ডায়াবেটিস কখনো
সম্পূর্ণ ভালো হয় না। তবে একে নিয়ন্ত্রণে রাখলে নীচের জটিলতাসমূহ থেকে রক্ষা
পাওয়া যায় ।
- হৃদরোগ
- পক্ষাঘাত (Stroke)
- পায়ে পচনশীল ক্ষত (Gangrene)
- চক্ষু রোগ (Retinopathy)
- ফোঁড়া ও ত্বকের রোগ
- মাড়ির প্রদাহ
- প্রস্রাবে আমিষ বের হওয়া
- যৌন ক্ষমতা কমে যাওয়া
- বেশী ওজনের শিশুর জন্য দেওয়া
- প্রস্রাবে জটিলতা হওয়া
- মৃত শিশুর জন্ম দেওয়া
- ঘন ঘন সংক্রমণ হওয়া(Infection) ইত্যাদি ।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ও পরিচর্যা
খাদ্য (Diabetic Diet):
কঠোরভাবে খাবারের নিয়ন মেনে চলতে হবে। নিষিদ্ধ খাবার খাওয়া যাবে না।
সকালে নাস্তা-৪টি পাতলা আটা রুটি, সবজি প্রয়োজন অনুযায়ী । পেয়ারা / আপেল/
কমলা-১টি অথবা কলা/ আম অর্ধেক অথবা লিচু/ বরই- ৬টি বা কাঠাঁল ওকোয়া বা অ্যারস /
তরমুজ/ পেপে-১ ফলি ইত্যাদি। ১১-১২ টায় মুড়ি (২ কাপ) বা চিড়া (আধা কাপ )বা
মিষ্টি আলু ১টি বা কলা-১টি বা নোস্তা বিস্কুট-৪টি। ফল কালো জাম / আমড়া/ বাঙ্গী/
জাম্মুরা / পেপে/ আতা ইত্যাদি ।
দুপুরে-ভাত ৪-৫ কাপ, মাছ ২টি, (ছোট) বা মাংস ২ টুকরা, ডাল- ২ কাপ, সবজি (আলু ১টি,
মিষ্টি কুমড়া আধা ফালি, কচু-২ টুকরা, বিট-১টি, কাঁচা কলা অর্ধেক, শিম-৬টি,
গাজর-১টি, কাকড্রল-১টি, ঢ়েড়স-৮টি, বেগুন-১ট, কাঠালের বিচি ৭/৮টি ইত্যাদি)
পরিমান মত । শাক পরিমাণ মত খেতে পারবে।
বিকাল-দুধ কাপ বা দই-১ কাপ বা নোন্তা, বিস্কুট-৪টি বা নোডুলস-১ কাপ বা সুজি-১ কাপ
বা সেমাই ১ কাপ বা সিদ্ধ আলু-৩ বা মিষ্টি আলু-১টি বা মুড়ি-২ কাপ বা চিড়া আধা
কাপ। চিনি ছাড়া চা বা কফি খাওয়া যাবে।
রাত্রে-আটা রুটি-৪/৫টি, মাছ বা মাংস ১টুকরা, ডাল-২/৪ শাক-সবজি পরিমান মত (ফুল
কপি, কপি, মুলা, লাউ, করলা, টমেটো, পটল, চিচিংগা, ঝিঙ্গা ইত্যাদি ।
রোজার সময় ইফতার-বুট ভুনা-১কাপ, পেয়াজু-৩টি, বেগুনী-৩টি, কাবাব-১টি, ফল যে কোন
১টি/ ১ টুকরা।
খাওয়া নিষেধঃ
চিনি ও চিনি দিয়ে তৈরী খাবার, গুড়, গ্লুকোজ, রস, মিছরী, মধু বিস্কুট,
কোক-পেপসি, জেম-জেলী, অতিরিক্ত ভাত । ইচ্ছামত খাওয়া (ক্যালরীবিহীন ও স্বল্প
ক্যলরীযুক্ত খাদ্য) চা বা কফি (চিনি ছাড়া) মশলা (ধনে, জিরা, পেঁয়াজ, মরিচ,
রসুন, আদা ইত্যাদি) এসেন্স (ভ্যানিলা, স্ট্রবেরী ইত্যাদি), শাক সবজি, ফল,
আচার (মিষ্টি ছাড়া ) এসপারটেম (বেসডেৱাল, সুকরোল), পেপ-সুইট ইত্যাদি।
স্যাকারিন (স্যাকসুইট সুইটেক্স হার্মিসিটাস ইত্যাদি) জেরাটিন।
ঔষধঃ
ইনসুলিন নির্ভর রোগীদের রক্তের শর্করার পরিমাণ অনুযায়ী ডাক্তারের নির্দেশ
অনুযায়ী ইনসুলিন নিতে হবে। ঔষধ এবং ইনসুলিনের ডোজ নিয়মিত রক্তের শর্করার পরিমাণ
পরিমাপ করে কমাতে বাড়াতে হবে। ঔষধ বা ইনসুলিন ব্যবহারের পর রক্তে শর্করা হঠাৎ
করে কমে যেতে পারে। এ অবস্থার নাম হাইপোগ্লাইসেমিয়া। এটি একটি বিপদজনক অবস্থা।
তাৎক্ষনিকভাবে চিকিৎসা না দিলে রোগী মারা যেতে পারে। টেবলেট বা ইনসুলিনের পরিমাণ
বেশী হলে অথবা খাবার কম খেলে বা খালি পেটে ঔষধ খেলে বা অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে এ
অবস্থা হতে পারে।
লক্ষণঃ অসুস্থ বোধ করবে, বুক ধরফর করবে, বেশী ঘাম হবে, শরীর কাপতে থাকবে,
বেশী খিদে পাবে এ রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
ব্যায়ামঃ
ডায়াবেটিসের রোগীরা নিয়মিত ১ ঘন্টা হাটবে। হালকা ব্যায়াম করবে ১০-১৫ মিনিট,
খাবারের পরে।
পায়ের যত্নঃ
ডায়াবেটিস রোগীদের স্নায়ু দুর্বলতা ও রক্ত সরবরাহের অসুবিধার কারণে পায়ের
অনুভূতি কমে যায়। তাই সামান্য আঘাতের পর সহজে পায়ে সংক্রমণ হয়ে গ্যাংগ্রীন।
হতে পারে। এক্ষেত্রে পা কেটে ফেলতে হতে পারে। তাই নিম্নে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে
হবে।
১। খালি পায়ে হাটা যাবে না। নরম জুতা মোজাসহ পড়তে হবে। ময়লা, ছিড়া, ভিজা মোজা
ব্যবহার করা যাবে না।
২। পায়ের নোখ সাবধানে কাটতে হবে যাতে চামড়া না কেটে যায় ।
৩। অত্যাধিক গরম পানি পায়ে ঢালা যাবে না। প্রতিদিন পা ধোঁবার পর ভালো করে মুছে
শুকনা রাখতে হবে।
৪। পায়ে আঘাত লাগলে বা পায়ের রংয়ের পরিবর্তন হলে অবিলম্বে চিকিৎসককে দেখাতে
হবে।
ডায়াবেটিস রোগ নিরাময় হয় না, একে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়।
হাইপোগ্লোইসেমিয়ার চিকিৎসা
সমস্ত ডায়াবেটিসের রোগীদের হাইপোগ্লাইসেমিয়া এবং চিকিৎসা সম্পর্কে ধারনা থাকতে
হবে। হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে রোগীকে ৪-৮ চামুচ চিনি বা
গ্লুকোজ খাওয়াতে হবে। রোগী অজ্ঞান হয়ে গেলে শিরায় ৫% DA (Dextrose) 500 ml @
30 drop per min সেলাইন দিতে হবে।
বি.দ্র. এই পোষ্টের সকল তথ্য শুধুমাত্র ডায়াবেটিস সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান
আরহনের জন্য। ডায়াবেটিস এর লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে
হবে।
আপনার জিজ্ঞাসা
ডায়াবেটিস কি?
শরীরে কোন কারণে ইনসুলিনের পরিমাণ কমে গেলে বা সম্পূর্ণ অভাবের কারণে রক্তের
গ্লুকোজের পরিমান কমে যাবার ফলে, যে অবস্থার বা রোগের সৃষ্টি হয়, তাকে
বহুমূত্র / ডায়াবেটিস বলে।
ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে?
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা কখনও নিরামন করা সম্ভব নয়। তবে, অবশ্যই
ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। একজন ডায়াবেটিস রোগী হওয়ার সত্বেও সেই
রোগী ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে রাখার ফলে সুস্থ মানুষের মতো জীবন যাপন করতে
সক্ষম।
ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়?
(১) চোখের সমস্যা (রেটিনোপ্যাথি)/ ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি (২) ডায়াবেটিক
ম্যাকুলার ইডিমা , যা দৃষ্টি সমস্যা বা অন্ধত্বের কারণ হতে পারে। (৩)
গ্লুকোমা / Glucoma (৪) পায়ের সমস্যা (হাতে-পায়ে ঝি ঝি করা, জ্বালাপোড়া
করা, ব্যথা করা, অলটার সেন্সেশন বা হেঁটে যাচ্ছেন পায়ের তলায় নরমাল একটা
সেনসেশন হচ্ছে) (৫) ইউরোলজিক্যাল বা ইউরিনারি ব্লাডারের সমস্যা হলে-
প্রস্রাবের কিছু সমস্যা হতে পারে। (রিটেনশন হয়ে যাওয়া, প্রস্রাব আটকে থাকা,
কন্ট্রোলে না থাকা) (৬) হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক (৭) কিডনির সমস্যা
(নেফ্রোপ্যাথি) (৮) স্নায়ুর ক্ষতি (নিউরোপ্যাথি) (৯) মাড়ির রোগ এবং মুখের
অন্যান্য সমস্যা (১০) যৌন সমস্যা (১১) ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস
ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়?
সাধারণত একজন রোগীর ডায়াবেটিস 40 mg/dl এর নিচে কিংবা 400 mg/dl এর চেয়ে বেশী
হলে রোগীর স্ট্রোক হতে পারে।
ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ?
স্বাভাবিকভাবে না খাওয়া অবস্থায় রক্তের গ্লুকোজের (FBS) পরিমাণ হচ্ছে
৩.৬-৫.৮ mmol/1। সাধারণভাবে বহুমূত্র রোগীর ক্ষেত্রে রক্তের চিনির (Fasting
Blood Sugar) পরিমাণ 7m mol/ Lএর উর্দ্ধে থাকে। গুকোজের পরিমাণ অভুক্ত
অবস্থায় (FBS) 7.8ml mol/L এর কম হবে এবং খাওয়ার পর রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ
১১.১ মিলি মোলের কম অথচ ৭.৮ মিলি মোলের বেশী থাকবে। ডায়াবেটিস হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে। তাই সাবধানে থাকা উচিত ।
Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url