দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটারের ব্যবহার-কম্পিউটারের পারঙ্গমতা

আধুনিক বিজ্ঞানের যাত্রা শুরু হয় শিল্প বিপ্লব (Industrial Revolution) এর পর থেকে। বিশেষ করে বাষ্পশক্তি, বিদ্যুৎশক্তি ও আণবিকশিক্তি যন্ত্রবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার মূলে রয়েছে কম্পিউটার।
দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটারের ব্যবহার-কম্পিউটারের পারঙ্গমতা
বর্তমানে সভ্যতা কম্পিউটার নির্ভর হয়ে পড়েছে। কম্পিউটার বিজ্ঞানের এক যুগান্তকারী বিস্ময় ও আধুনিকতম আবিষ্কার।

সূচিপত্রঃ- দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটারের ব্যবহার-কম্পিউটারের পারঙ্গমতা

ভূমিকা

বিজ্ঞানের আশীর্বাদে মানব সভ্যতার পরিবর্তনে বিশ্বে অনেক কিছুই আবিষ্কৃত হয়েছে। এ পর্যন্ত যে সকল যন্ত্র প্রকৌশল ও প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয়েছে সে সকল বিস্ময়কর আবিষ্কার এর মধ্যে মহাবিস্ময় হলো কম্পিউটার। কম্পিউটার আবিষ্কারের পর থেকে মানব সভ্যতা ধীরে ধীরে প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে।
কম্পিউটার একটি মহা পরাক্রমশালী এবং অনুগত যন্ত্র যে যন্ত্র মানব জাতির প্রতিটি কর্ম ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
বর্তমানে কম্পিউটার ব্যতীত মানব জীবন অর্থহীন। বর্তমান বিশ্বসম্পন্ন রূপে কম্পিউটার নির্ভর হয়েছে। এই কম্পিউটারের কারণে মানুষের কর্মক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণশক্তি বেড়ে গিয়েছে বহু গুণ, বৃদ্ধি পেয়েছে উৎপাদন ক্ষমতা। গবেষণা, প্রশাসনিক কাজকর্ম ও হিসাব নিকাশের জটিলতা দূর করতে সাহায্য করেছে এই কম্পিউটার।

কম্পিউটার কী

কম্পিউটারের আভিধানিক অর্থ হল গণনাকারী যন্ত্র। কিন্তু বর্তমানে কম্পিউটার শুধু গণনাকারী যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় না। বর্তমানে কম্পিউটারের সাহায্যে যেকোনো ধরনের কাজ করা যায়। কম্পিউটারের সাহায্যে প্রচুর তথ্য এবং উপাত্ত খুব অল্প সময়ের মধ্যে এবং নির্ভুলভাবে গণনা করা, বিশ্লেষণ করা এবং সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়।

উদ্ভাবন ও ক্রমোন্নতি

গণনার কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রাচীনকালে আবিষ্কৃত যন্ত্র যান্ত্রিক বিবর্তনের মাধ্যমে বর্তমানে কম্পিউটারে রূপ নিয়েছে। তবে ১৮৩৩ সালে ব্রিটিশ গণিতবিদ চার্লস ব্যাবেজ কর্তৃক আবিষ্কৃত গণনাকারী যন্ত্র “এনালাইটিকাল ইঞ্জিন” এর মাধ্যমে আধুনিক কম্পিউটার যাত্রা শুরু করে। ১৯৭১ সালে প্রথম ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর বা অণুপ্রক্রিয়াজাতকরণ যন্ত্রটি আবিষ্কৃত হয় এবং বাজারে আসে। 
এই ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর এর নাম ছিল ইন্টেল ৪০০৪। ১৯৮০-র দশকের শুরুর দিকে VLSI (very large-scale integration) নামে একটি প্রযুক্তির উদ্ভব ঘটে। এই প্রযুক্তি আবিষ্কারের মাধ্যমে মাইক্রোপ্রসেসর এর চিপসের ভেতর বর্তনীর ঘনত্ব বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। মাইক্রোপ্রসেসর আবিষ্কারের মাধ্যমে কম্পিউটারের ইতিহাসের বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে।

১৯৪৬ সালে পেনসিলভিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জন মাউসলি এবং তার এক ছাত্র প্রেসপার একার্ট এনিয়াক “ENIAC” (ENIAC=Electronic Numerical Integrator and Calculator) নামক একটি গননা যন্ত্র তৈরী করেন। এটি পৃথিবীর প্রথম পূর্ণাঙ্গ বা সফল ইলেক্ট্রনিক কম্পিউটার। “এনিয়াক” নামের কম্পিউটারের ওজন ছিল ৩০ টন এবং আয়তনও ছিল বিশাল। ৪০ ফুট লম্বা ও ২০ ফুট চওড়া ঘরের সবগুলো দেয়াল জুড়ে ছিল এর যন্ত্রপাতি।

বাংলাদেশে কম্পিউটার

১৯৬৪ সালে বাংলাদেশের আণবিক শক্তি কেন্দ্রে IBM 1620 সিরিজের একটি কম্পিউটার স্থাপনের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ক্ষুদ্র পরিসরে বাংলাদেশে কম্পিউটারের যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশে ৮০-র দশকের পূর্বে কম্পিউটার বিষয়ে শিক্ষার কোনো সুযোগ সৃষ্টি ছিলো না। ১৯৯০ সাল থেকে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কম্পিউটার শিক্ষা শুরু হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে কম্পিউটাররের ব্যবহার দ্রুত ও ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে কম্পিউটার বিজ্ঞান অধ্যয়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীরা এখন আন্তর্জাতিক মানের সফ্টওয়্যার তৈরি করছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কম্পিউটার বিজ্ঞানে উন্নত প্রশিক্ষণ লাভকারীরা এবং ইঞ্জিনিয়াররা বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। এটা আমাদের দেশে কম্পিউটার প্রসারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ক্ষতির কারণ হচ্ছে।

দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটার (Computer in Practical Fields)

দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটার ব্যবহার বলে শেষ করা যাবেনা। জীবনের প্রায় প্রকতিটি ক্ষেত্রেই কম্পিউটারের ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহান নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ-

কৃষিক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহারঃ

  • নিত্য-নতুন কৃষিজ যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন এবং গবেষণায়।
  • সার, বীজ সংরক্ষণ এবং বীজের নতুন জাত উদ্ভাবন গবেষণায়।
  • কৃষি সম্পর্কিত বিভিন্ন জরিপ পরিচালনায়।
  • কৃষকদের আর্থিক লেনদেনের সুবিধার্তে অনলাইন ব্যাংকিং সেবা ইত্যাদি।

যোগাযোগ ব্যবস্থায় কম্পিউটারঃ

  • টিকেট বুকিং।
  • ট্রাফিক কন্ট্রোল।
  • ফ্লাইট সিডিউল নিয়ন্ত্রণ ।
  • মোটরযানের গতি ও জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ ।
  • রেল যাতায়াত ব্যবস্থায় রেল গাড়ির অবস্থান ও গতি নিয়ন্ত্রণ ।
  • নৌযানের গতি, অবস্থান ও দিক নির্ণয়।
  • বাস, ট্রেন, জাহাজ, বিমান এবং নভোযানের ডিজাইন তৈরি।
  • নভোযানের অবস্থান, নিয়ন্ত্রণ এবং নভো যোগাযোগ সম্পন্ন করা ইত্যাদি।

শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটারঃ

  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাদান।
  • ছাত্র-ছাত্রীদের তথ্য সংরক্ষণ।
  • পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন।
  • ফলাফল প্রস্তুতকরণ।
  • কোর্স নির্দেশনা, প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন।
  • গাণিতিক সমস্যা সমাধান।
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কর্মকাও সম্পাদন এবং নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি।

চিকিৎসাক্ষেত্রে কম্পিউটারঃ

  • রোগ নির্ণয় এবং গবেষণা।
  • নতুন নতুন ঔষধ উদ্ভাবন।
  • Electronic Health Record (EHR) প্রণয়ন এবং সংরক্ষণ করা। EHR কে Electronic Medical Record (EMR) বা Computerized Patient Record (CPR)ও বলা হয়।
  • টেলিমেডিসিন সেবায়।
  • রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন মেশিন যেমন CT Scanner, X-ray মেশিন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে।
  • হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় যেমন রোগী ভর্তি, বিলিং প্রসেস, পেশেন্ট রিলিজ ইত্যাদি ক্ষেত্রে।

খেলাধুলায় কম্পিউটারঃ

  • ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, সাঁতার ইত্যাদি খেলাধুলা পরিচালনা এবং সময় নিয়ন্ত্রণ।
  • বিভিন্ন খেলাধুলার ইভেন্ট, সিডিউল ইত্যাদি বণ্টন এবং নিয়ন্ত্রণ ।
  • ক্রিকেট, ফুটবল ইত্যাদি খেলায় ধারণকৃত ভিডিও চিত্রের রিপ্লের মাধ্যমে সূক্ষ্ম ত্রূটি বা সমস্যার
  • অনুসন্ধান এবং সমাধান ইত্যাদি।

ব্যাংক এবং ব্যবসাক্ষেত্রে কম্পিউটারঃ

  • ব্যাংক গ্রাহকের চেক বই এবং হিসাব নম্বর প্রণয়ন, জমাকৃত অর্থের পরিমাণ, ক্রেডিট কার্ড,
  • ডেবিট কার্ড ইত্যাদি প্রণয়ন এবং নিয়ন্ত্রণ।
  • ATM বুথের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন।
  • E-Commerce এর সাহায্যে কেনা-বেচা বা আর্থিক লেনদেন।
  • ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন ভাতার হিসাব-পত্র নিয়ন্ত্রণ এবং সংরক্ষণ।
  • দোকান বা ফার্মের মালামালের হিসাব এবং মজুদ নিয়ন্ত্রণ।
  • প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয়ের হিসাব নিয়ন্ত্রণ।
  • শিল্প কারখানায় পণ্যের গুণগত মান নির্ণয়
  • পত্র-পত্রিকা এবং প্রকাশনা শিল্পে ব্যবহার ইত্যাদি ।

সামরিক ক্ষেত্রে কম্পিউটারঃ

  • বিভিন্ন সমরাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ যেমন- মিসাইল, যুদ্ধ বিমান ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ ।
  • রাডার নিয়ন্ত্রণ।
  • সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ন্ত্রণ এবং সমর কৌশলের সুষ্ঠু বণ্টন।
  • যুদ্ধকালীন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সামরিক যোগাযোগ ইত্যাদি।
  • আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রদানের কাজে ইত্যাদি।

রোবোটিকস এবং প্রকৌশল কাজে কম্পিউটারঃ

  • রোবটের নকশা, গঠন ও কাজ নিয়ন্ত্রণ ।
  • প্রকৌশল কাজে নক্সা, ডিজাইন করা, ভিত তৈরি ইত্যাদিতে।

বিনোদনে কম্পিউটারঃ

  • কম্পিউটারে গেমস খেলা, ছবি দেখা বা গান শোনা ইত্যাদি ।
  • ব্যক্তিগত বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করা। যেমন: ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগ, অনলাইন পত্রিকা, ম্যাগাজিন বা বই পড়া ইত্যাদি ।
  • সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন সাইট, ব্লগ ইত্যাদির মাধ্যমে নিজস্ব মতামত বা চিন্তাভাবনার প্রকাশ করা ইত্যাদি।

কম্পিউটারের পারঙ্গমতা (Computer Performance)

কম্পিউটারের কর্মক্ষমতা বা Computer Performance হচ্ছে কম্পিউটার সিস্টেমে সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজের সমষ্টি যা নির্দিষ্ট সময় এবং ব্যবহৃত রিসোর্সের উপর নির্ভরশীল।

একটি ভাল Computer Performance এর মধ্যে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো থাকেঃ

  • কোন প্রদত্ত কাজের জন্য স্বল্প প্রতিক্রিয়া সময় (Less Response Time)।
  • অধিক গ্রপুট (Throughput) বা কাজ প্রক্রিয়াকরণের উচ্চ হার।
  • কম্পিউটিং রিসোর্সের স্বল্প ব্যবহার।
  • কম্পিউটিং সিস্টেম বা অ্যাপ্লিকেশনের অধিক সহজলভাতা (High Availability)।
  • অত্যন্ত দ্রুত ডাটা কম্প্রেশন (Data compression) এবং ডিকম্প্রেশন (Decompression)।
  • উচ্চ ব্যান্ড উইথ বা ডাটা ট্রান্সমিশনে স্বল্প সময়।

এছাড়াও আরো কিছু বিষয় Computer Performance এর সাথে সম্পর্কিত।

  • প্রসেসিং স্পিড (Processing Speed) : স্বল্প সময়ে অধিক কাজ করার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ এবং
  • বন্টন করে।
  • চ্যানেল ক্যাপাসিটি (Channel Capacity) : যা কোন নির্দিষ্ট চ্যানেলে তথ্য প্রেরণের হার নির্ভুলভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং সম্পাদন করে।
  • সুপ্ততা বা Latency : Latency হল কম্পিউটারের কোন কাজ Process করার নির্দেশ দেওয়া এবং সেটি শুরু হওয়ার মধ্যবর্তী সময়ের সুপ্ত অবস্থা।
  • স্কেলেবিলিটি (Scalability) : স্কেলেবিলিটি হচ্ছে কোন নির্দিষ্ট সিস্টেম বা প্রসেসে ক্রমবর্ধমান কাজের পরিমাণের সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ এবং সে অনুযায়ী কাজ সম্পাদন।
  • Power Consumption বা বিদ্যুৎ ব্যবহার কোন কম্পিউটার কতটুকু বিদ্যুৎ গ্রহণ করছে তা নিয়ন্ত্রণ করে Power Consumption.
  • পরিবেশের উপর প্রভাব বা Environmental Impact : একটি কম্পিউটার তৈরি করা থেকে শুরু করে ব্যবহার এবং রিসাইক্লিং পর্যন্ত পরিবেশের উপর এর কি প্রভাব পড়ে তাও Computer Performance এর একটি অংশ।

উপসংহার

বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য উপাদান হলো কম্পিউটার।দেশের উন্নয়নে কম্পিউটার যেমন ভুমকিা রাখছে তেমনই এর ব্যাপক ব্যবহারে বিপুল সংখ্যক বেকারত্বের আশঙ্কাও আমাদের শঙ্কিত করে তুলছে। এই আশঙ্কা দূর করতে হলে কম্পিউটারের পরিকল্পিত, ভারসাম্যমূলক ব্যবহার ও দেশে কম্পিউটার প্রযুক্তির উন্নয়ন দরকার। এর ব্যত্বয় ঘটলে, একুশ শতকে এসে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা সম্ভব হবেনা এবং অতিরিক্ত গতি নিতে গিয়ে তাল হারিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এক্ষেত্রে পরিণামদর্শী পদক্ষেপই হবে আমাদের অগ্রযাত্রার রক্ষাকবচ।

আপনার সচরাচর জিজ্ঞাসা

কম্পিউটার কি?

(Computer) শব্দটি ‘Compute’ শব্দ থেকে এসেছে। ‘Compute’ শব্দের অর্থ হিসাব বা গণনা করা। অর্থাত- (Computer) শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। কিন্তু বর্তমানে কম্পিউটারকে শুধু গণনাকারী যন্ত্র বলা যায় না। এটি এমন একটি যন্ত্র যার মাধ্যমে তথ্য গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বিশ্লেষণের মাধ্যমে উপস্থাপন করে।

কম্পিউটারে কি কি কাজ করা যায়?

কম্পিউটার বিভিন্ন ধরণের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা যায়। কম্পিউটারে মাধমে গবেষণা, ই-মেইল গ্রহন, ই-মেইল প্রেরণ, তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ, ভিডিও কনফারেন্সিং সহ যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা হয়। যার মাধ্যমে মানুষকে সারা বিশ্বে অন্যদের সাথে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটারের গুরুত্ব।

কম্পিউটারে মাধ্যমে আপনি মজার গেম খেলতে পারেন, গান শুনতে পারেন, সিনেমা এবং ভিডিও দেখতে পারেন। এছাড়াও বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয় সজনদের সাথে চ্যাট করতে পারেন। কম্পিউটারের সাহায্যে ব্যাঙ্ক, বাণিজ্যিক কেন্দ্র এবং দোকানগুলিতে লেন-দেনের হিসাব, ডেটা স্টোরেজ এবং বিশ্লেষণের কাজেও ব্যবহৃত হয়।

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটারের নাম কি?

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটারের নাম “সানওয়ে তাইহুলাইট সুপার কম্পিউটার।” এই কম্পিউটারটি চীনের গুয়াংঝু ন্যাশনাল সুপার কম্পিউটার সেন্টারে অবস্থিত। এই সুপার কম্পিউটারটি ১২৫ পেটাফ্লপ গতি সম্পন্ন। এই কম্পিউটারে এক কোটির বেশি প্রসেসিং কোর এবং ৪০ হাজার ৯৬০টি নোড রয়েছে।

ইন্টারনেট কি?

ইন্টারকানেক্টেড নেট্ওয়ার্ক (Interconnected Network) এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ইন্টারনেট। একটি বিশেষ ধরণের গেটওয়ে বা রাউটারের মাধ্যমে সকল কম্পিউটার একটি অন্যটির সাথে সংযোহ স্থাপনের মাধ্যমে ইন্টারনেট তৈরী হয়। ইন্টারনেটকে সংক্ষেপে ‘নেট’ বলা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url