ক্লাউড কম্পিউটিং কত প্রকার ও কি কি- ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা ও অসুবিধা
ক্লাউড অর্থ মেঘ। কিন্তু এক্ষেত্রে ক্লাউড ইন্টারনেটের রূপক হিসেবে ব্যবহৃত
হয়েছে। আকাশে সর্বত্র যেভাবে মেঘ ছড়িয়ে আছে, ইন্টারনেটও ঠিক সেভাবে জালের মত
ছড়িয়ে আছে। ইন্টারনেটের এই মেঘ থেকে সর্বনিম্ন খরচে সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার
উপায় বের করতে গিয়েই জনা হয় ক্লাউড কম্পিউটিং এর।
সূচিপত্রঃ- ক্লাউড কম্পিউটিং কত প্রকার ও কি কি- ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা ও অসুবিধা
ক্লাউড কম্পিউটিং এর মূল বিষয়টি হলো নিজের ব্যবহৃত কম্পিউটারে হার্ড ড্রাইভের
পরিবর্তে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে সার্ভিস বা
হার্ডওয়্যার জ নেওয়া। যুক্তরাষ্ট্রের National Institute of Standard and
Testing (NIST) এর মতে ক্লাউড কম্পিউটিং হলো ক্রেতার তথ্য ও বিভিন্ন
অ্যাপ্লিকেশনকে কোন সেবাদাতার সিস্টেমে আউটসোর্স করার এমন একটি মডেল যাতে
নিম্নোক্ত ৩টি বৈশিষ্ট্য থাকবে।
ক্লাউড কম্পিউটিং এর বৈশিষ্ট্য
(১) রিসোর্স স্কেলেবিলিটিঃ ক্রেতা যত চাইবে, সেবাদাতা ততোই অধিক পরিমানে সেবা
দিতে পারবে।
(২) অন ডিমান্ডঃ ক্রেতা যখন চাইবে, তখনই সেবা দিতে পারবে। ক্রেতা তার
ইচ্ছানুযায়ী চাহিদা বাড়াতে বা কমাতে পারবে।
(৩) পে অ্যাজ ইউ গোঃ এটি একটি পেমেন্ট মডেল। ক্রেতাকে আগে থেকে কোন সার্ভিস
রিজার্ভ করতে হবে না। ক্রেতা যা ব্যবহার করবে কেলমাত্র তার জন্যই পেমেন্ট দিতে
হবে।
২০০৬ সালে বিশ্ববিখ্যাত অ্যামাজোন ওয়েব সার্ভিস বাণিজ্যিকভাবে ক্লাউড কম্পিউটিং
এর ব্যবহার শুরু করে। ২০১০ সালে The Rackspace Cloud এবং NASA মুক্ত অ্যাপ্লিকেশন
প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস শুরু করে।
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের প্রধান সার্ভিস মডেল
সেবার ধরণ অনুসারে ক্লাউড কম্পিউটিংকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
(১) অবকাঠামোগত সেবা (Infrastructure as a Service-laaS):
ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান তাদের নেটওয়ার্ক, সিপিইউ, স্টোরেজ ও অন্যান্য
মৌলিক কম্পিউটিং রিসোর্স ভাড়া দেয়, যেখানে ব্যবহারকারী তার প্রয়োজনীয়
অপারেটিং সিস্টেম ও সফট্ওয়্যার চালাতে পারেন।
(২) প্ল্যাটফর্ম ভিত্তিক সেবা ( Platform as a Service Paas):
এই ব্যবস্থায় ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার,
অপারেটিং সিস্টেম, ওয়েব সার্ভার, ডেটাবেজ, প্রোগ্রাম এক্সিকিউশন পরিবেশ ইত্যাদি
থাকে।
(৩) সফটওয়্যার সেবা (Software/application as a Service-SanS):
এই ব্যবস্থায় ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করা অ্যাপ্লিকেশন
সফটওয়্যার ব্যবহারকারীগণ ইন্টারনেটের মাধ্যমে চালাতে পারেন।
ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা
(১) সার্বক্ষণিক ব্যবহার করা যায়।
(২) যে কোন স্থান হতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য আপলোড এবং ডাউনলোড করা যায়।
(৩) নিজস্ব কোন হার্ডওয়্যারের প্রয়োজন নেই।
(৪) অপারেটিং খরচ তুলনামূলক কম।
(৫) স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফট্ওয়্যার আপডেট করা হয়ে থাকে।
ক্লাউড কম্পিউটিং এর অসুবিধা
(১) ডেটা, প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশনের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
(২) একবার ক্লাউডে তথ্য পাঠিয়ে দেয়ার পর তা কোথায় সংরক্ষণ হচ্ছে বা কিভাবে
প্রসেস হচ্ছে তা ব্যবহারকারীদের জানার উপায় নেই।
(৩) ক্লাউডে তথ্যের গোপনীয়তা ভঙ্গের সম্ভাবনা থাকে এবং তথ্য পাল্টে যাওয়ারও
সম্ভাবনা থাকে।
Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url