শিশুর সুস্থ জীবন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জন্মগ্রহণ এর সময় অত্যাবশ্যকীয়
প্রতিরোধমূলক ও নিরাপদ পদক্ষেপ গ্রহণ করাকে নবজাতকের যত্ন বলা হয়।
নবজাতকের অবস্থা পর্যবেক্ষণ
নবজাতক পরিণত, অপরিণত বা কম ওজনের হলেও পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
পরিণত শিশু (Full term)
স্বাভাবিক পরিণত সময়ের শিশুর ওজন প্রায় ৩ কেজি (২.৫ কেজি থেকে ৪ কেজি) এবং লম্বায়
প্রায় ৫০ সে.মি. (৪৫ সে. মি.- ৫৭.২ সে. মি.) হয়। মাথার মাপ (Circumference) প্রায়
৩৫ সে. মি. (৩২.৬ থেকে ৩৭.২ সে.মি.) এবং বুকের মাপ (Circumference) প্রায় ৩০ সে.
মি. থাকে। জন্মের সময় বুকের মাপ মাথার মাপের চেয়ে কম থাকে। বুক গোলাকার এবং পেট
সুস্পষ্ট থাকে।
অপরিণত শিশু (Preterm)
শিশু ৩৭ সপ্তাহের আগে জন্ম নিলে অপরিণত শিশু বলা হয়। আগে এরকম ক্ষেত্রে
(Prematurity) বলা হত।
জন্মকালীন স্বল্প ওজনের শিশু (Low birth weight)
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে শিশুর ওজন ২.৫ কেজি (২৫০০ গ্রাম) এর চেয়ে কম হলে
জনাকালীলীন স্বল্প ওজনের শিশু বলা হয়। খুব কম ওজনের শিশুর (Very low birth
weight) ওজন ১০০০ গ্রাম থেকে ১৫০০ গ্রাম হয় এবং অত্যন্ত কম ওজনের শিশুর
(Extremely low birth weight) ওজন ১০০০ গ্রামের নীচে থাকে।
কোন জন্মগত ত্রুটি আছে কিনা নিশ্চিত হবার জন্য শিশুর মুখ, চোখ, মুখের ভেতর, বুক,
পেট, হাত পা, মেরুদন্ড, মলদ্বার এবং যৌনাঙ্গ পরীক্ষা করা হয়। কোন অসুস্থতা আছে
কিনা পরীক্ষা করার জন্য শরীরের রং, মাংসপেশীর টান (Muscle tone) শ্বাসপ্রশ্বাসের
হার এবং হৃদস্পনের হার পরীক্ষা করা হয়।
নবজাত শিশুর যত্ন
১. পুনরুজ্জীবিত করা (Resuscitation)
জন্মের সাথে সাথে পরিস্কার কাপড় দিয়ে মুছে শুকনা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন। শিশু
না কাঁদলে শিশু কেঁদে ওঠার জন্য পায়ের পাতায় টোকা এবং পিঠ ঘষে দিন এর পরও
না কাঁদলে প্রয়োজনে মুখে মুখে শ্বাস দিন (Mouth to mouth respiration)
২. শিশুকে উষ্ণ রাখা
জন্মের সাথে সাথে শুকনো কাপড় দিয়ে জড়িয়ে দিন। শিশুকে কোলে বা মায়ের বুকের
কাছাকাছি উষ্ণ অবস্থায় রাখুন।
৩. নাভির যত্ন
নাভি কাটার জন্য জীবাণুমুক্ত বে-ড ও বাঁধার জন্য জীবাণুমুক্ত সূতা ব্যবহার
করুন। নাভি পড়ে না যাওয়া পর্যন্ত নাভির স্থান নরম ও পরিস্কার ও শুকনো রাখতে
বলুন।
চোখের যত্ন
নরম ও পরিস্কার কাপড় দিয়ে চোখ মুছে দিন।
৫. মায়ের দুধ খাওয়ানো
জন্মের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে বলুন। শাল দুধ
খাওয়ানোর পরামর্শ দিন। মায়ের দুধ ছাড়া অন্য কোন খাবার দেওয়া উচিত না। সঠিক
অবস্থানে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়াতে সাহায্য করুন। শিশুকে ঘন ঘন মায়ের দুধ
খাওয়াতে বিশেষতঃ শিশু যখনই খেতে চাইবে তখনই খাওয়াতে উৎসাহিত করুন।
৬. টিকা প্রদান
ইপিআই সময়সূচী অনুসারে শিশুকে টিকা দিতে বলুন।
নবজাতকের জটিলতা
জন্মগত ত্রুটি
নাভির সেপসিস বা সংক্রমণ
পুঁজযুক্ত নিঃসরণ
জন্মকালীন আঘাত
অপরিণত শিশু
নবজাতকের জটিলতার লক্ষণ
খিচুনি
তাপমাত্রা কমে যাওয়া (শিশু নির্জীব হয়ে যাওয়া)
তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া
অস্বাভাবিক বা প্যাথলজিক্যাল জন্ডিস (জন্মকালীন)
স্বাভাবিক (Physiological) জন্ডিস মারাত্মক অবস্থা ধারণ করলে দ্রুত চিকিৎসকের
পরামর্শ নিতে হবে।
নবজাত শিশুর সাধারণ সমস্যা এবং যথাযথ ব্যবস্থাপনা
সাধারণ সমস্যা
করণীয়
চোখে সংক্রমণ
নরম পরিস্কার কাপড় ও সেদ্ধ ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ পরিস্কার করুন। (চিকিৎসকের
পরামর্শে Chloramphenicol eye drop দিনে প্রতি চোখে ১ ফোঁটা ৪/৫ বার) অথবা
Tetracycline eye ointment)
স্বাভাবিক জন্ডিস (Physiological)
মায়ের দুধ খাওয়াতে বলুন চোখ ও অন্ডকোষ ঢেকে সকালে রোদে রাখতে হবে। যদি
মারাত্মক হয়- চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
জন্মকালীন স্বল্প ওজনের শিশু
শিশুকে উষ্ণ রাখুন, ঘন ঘন মায়ের দুধ খাওয়াতে বলুন, উন্নতি না হলে চিকিৎসকের
পরামর্শ নিন।
শিশুর জন্য মায়ের দুধ
মায়ের দুধ শিশুর জীবনধারণ এবং পুষ্টি ও বৃদ্ধির জন্য একটি উৎকৃষ্ট সুষম খাদ্য।
মায়ের বুকের দুধ পান শিশুর জীবনের শ্রেষ্ঠ সূচনা এবং অধিকার। সুরা বাকারায় ২৩৩ নং
আয়াতে বলা হয়েছে-
"মায়েরা শিশুদেরকে পূর্ণ ২ বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ পান করাবেন"।
হাদিসে আছে-
"যে মা সন্তানকে মায়ের দুধ খাওয়ান প্রতি ফোঁটা দুধের জন্য তার একটি করে 'নেকি'
জমা হয়"
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বুকের দুধ খাওয়ানোর বর্তমান অবস্থা
আমাদের দেশে আদিকাল থেকে মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান। কিন্তু প্রসবের পরে কোন
সময় বুকের দুধ দিলে শিশু ভাল করে দুধ পাবে, কোন নিয়মে কতক্ষণ খাওয়ালে শিশু
পর্যাপ্ত দুধ বেশীক্ষণ খেতে পারবে- এসব সঠিক জানেন না বলে শিশুরা বুকের দুধ
বেশীদিন খেতে পারে না।
কোন কোন মা শিশুকে জন্মের আধা ঘন্টার মধ্যে বুকের দুধ না দিয়ে হয়তো দেরী করে দেন,
কোন মা চিনির পানি, মিশ্রির পানি বা মধু দেন, কেউ কেউ শাল দুধ ফেলে দেন, কেউ কেউ
৬ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র বুকের দুধ না খাইয়ে ৩ মাসের সময় থেকে শিশুকে চালের গুড়া
বা সবজি খাওয়াতে শুরু করেন। বুকের দুধ খাওয়ানোর ব্যাপারে মায়েদের এইসব বিষয়গুলি
জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
শাল দুধের উপকারিতা
প্রসবের পরে মায়ের বুকে যে দুধ আসে তাকে শালদুধ বলে। শালদুধ ঘন, আঁঠালো এবং একটু
হলুদ রং এর হয়ে থাকে।
১) শাল দুধ শিশুর জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং শিশুর জীবনের প্রথম টিকা হিসাবে কাজ
করে।
২) শালদুধ আমিষ সমৃদ্ধ এবং এতে প্রচুর ভিটামিন 'এ' আছে।
৩) এতে আছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
৪) শালদুধ শিশুর পেট পরিস্কার করে এবং নিয়মিত পায়খানা হতে সাহায্য করে।
৫) শিশুর জন্ডিস হবার সম্ভাবনা কমে যায়। প্রসবের পরে প্রথম ২-৩ দিন যতটুকু শালদুধ
আসে তাই নবজাতকের জন্য যথেষ্ট। এসময় শিশুকে পানি, মধু বা চিনির পানি দেওয়া শিশুর
জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসব দিলে পাতলা পায়খানা হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অন্যদিকে
শিশুর বুকের দুধ খাবার আগ্রহ কমে যায়।
"জন্মের সাথে সাথে শিশুকে শালদুধ খাওয়াতে হবে। পানি, মধু, সরিষার তেল ইত্যাদি
খাওয়াবেন না'।
বুকের দুধের উপকারিতা
শিশুর উপকার
১. বুকের দুধে শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান সঠিক মাত্রায় থাকে। ৬ মাস
বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র বুকের দুধই শিশুর জন্য যথেষ্ট। বুকের দুধে পুষ্টি উপাদান
ছাড়াও আছে শতকরা ৯০ ভাগ পানি। সেইজন্য শিশুকে ৬ মাস পর্যন্ত আলাদা পানি দেবার
প্রয়োজন নেই।
২. বুকের বুকের দুধ পরিস্কার ও জীবাণুমুক্ত। বায়ু বা পানি বাহিত জীবাণু দ্বারা
সংক্রামিত হবার সুযোগ নেই। উপরন্তু বুকের দুধে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মায়
যার ফলে শিশুর অসুখ বিসুখ বিশেষ করে ডায়রিয়া, কানপাকা, নিউমোনিয়া, শ্বাসনালীর
রোগ, হাঁপানী, এলার্জি, চুলকানি ইত্যাদি কম হয়।
৩. বুকের দুধে শিশুর বুদ্ধি বাড়ে। স্বাভাবিক শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে।
৪. অসুখ হলেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশী থাকার কারণে বুকের দুধ পান করা শিশু
তাড়াতাড়ি ভাল হয়ে যায়।
৫. বুকের দুধ শিশু মৃত্যুর হার কমায়।
৬. বুকের দুধ সহজে হজম হয়।
৭. বুকের দুধে পূর্ণমাত্রায় ভিটামিন 'এ' থাকে বলে শিশুর রাতকানা হবার সম্ভাবনা
থাকে না।
৮. এছাড়া পরবর্তীতে শিশুর ক্যান্সার, ডায়বেটিস, উচ্চরক্তচাপ ইত্যাদি ভয়াবহ রোগ
হবার সম্ভাবনা কমে যায়।
মায়ের উপকার
১. জন্মের সাথে সাথে শিশুকে বুকের দুধ দিলে মায়ের প্রসবজনিত রক্তস্রাব বন্ধ হয়,
পরবর্তীতে রক্তস্বল্পতা হয় না। মায়ের গর্ভফুল পড়তে সাহায্য করে, জরায়ু তাড়াতাড়ি
স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
২. মায়ের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
৩. যে সব মা শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ান তাদের স্তনে, জরায়ু এবং ডিম্বকোষে
ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা কম থাকে।
৪. ৬ মাস বয়স পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ালে স্বাভাবিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রনে সাহায্য
করে এবং ২ বৎসর বয়স পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ালে ঘন ঘন গর্ভবতী হবার সম্ভাবনা কমে
যায়।
৫. বুকের দুধ খাওয়ালে মায়ের আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
৬. বুকের দুধ খাওয়ালে মা ও শিশুর মধ্যে সম্পর্ক নিবিড় হয়।
৭. বুকের দুধ নিরাপদ, ঝামেলামুক্ত এবং মায়ের বাড়তি খাটুনি ও সময় বাঁচায় এবং
অর্থের সাশ্রয় হয়।
৮. রাতে শিশু মায়ের কাছে শোয়া থাকে বলে মা শিশুকে যখন খুশী তখন শুয়ে শুয়ে খাওয়াতে
পারেন।
পরিবারের জন্য উপকার
১. বুকের দুধ খাওয়ালে শিশুর জন্য বাড়তি দুধ, দুধ খাওয়ার জন্য সরঞ্জাম যেমন, বোতল,
নিপল ইত্যাদি কেনার খরচ, পরিস্কার নিরাপদ পানি, এবং জ্বালানী ইত্যাদির খরচ বাঁচে।
২. শিশুর রোগ কম হয় বলে চিকিৎসা খরচ যেমন, ঔষধ, ডাক্তার এবং হাসপাতালের ভর্তির
খরচ বাঁচে।
শিশুকে বিকল্প দুধ খাওয়ানোর অপকারিতা
১. বিকল্প দুধ সবসময়ই রোগ জীবাণু বহন করার ভয় থাকে। দুধ, নিপল এবং বোতলের সাথে
অথবা বিকল্প দুধ তৈরীতে ব্যবহৃত পানির সাথে রোগ জীবাণু থাকার সম্ভাবনা রয়ে যায়।
তাই শিশুর ঘন ঘন অসুখ হয়।
৩. বিকল্প দুধে রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার কোন ক্ষমতা থাকে না। শিশুর
ডায়রিয়াসহ অন্যান্য রোগ-ব্যধির ঝুঁকি বেড়ে যায়। পরিণামে তারা অপুষ্টি ও মৃত্যুর
শিকার হয়।
৯. বোতলে দুধ খেলে শিশু ধীরে ধীরে বুকের দুধ খাওয়া কমিয়ে দেয়। বোতলের বোঁটায় অনেক
বড় ফুটো থাকে বলে শিশু অনায়াসে দুধ পায়। তাই শিশু কষ্ট করে মায়ের দুধ খেতে চায়
না। ফলে বুকের দুধ ক্রমে শুকিয়ে যায়।
১০. ঠিক নিয়মে টিনের দুধ খাওয়াতে গেলে মাসে প্রচুর টাকা লাগে। বাংলাদেশে খুব কম
পরিবারের পক্ষেই এই ব্যয় ভার বহন করা সম্ভব।
শিশুকে বারে বারে দিনে রাতে ৮-১২ বার বুকের দুধ খাওয়ান।
শিশুর চাহিদা অনুযায়ী তাকে বুকের দুধ খেতে দিন।
রাতে অবশ্যই বুকের দুধ খাওয়াবেন।
তথ্যসুত্রঃ (পরিবার কল্যাণ সহকারী এবং পরিবার পরিকল্পনা
পরিদর্শক)সহায়িকা
আপনার সচরাচর জিজ্ঞাসা
নবজাতক শিশুর যত্ন কিভাবে নেব?
নিয়মিত ও সর্কতার সাথে নবজাতক শিশুর যত্ন নেওয়া উচিত। নবজাতক শিশুর যত্ন
নেওয়ার সময় নিম্নে বর্নিত বিষয় গুলো খেয়াল রাখা প্রয়োজন। নিজের হাত ভালোভাবে
ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। শিশুকে খাওয়ানোর সময় খাবারের বাটি ভালোভাবে
জীবানু মুক্ত করে নিতে হবে। শিশুর জিহ্বা সব সময় পরিষ্কার রাখুন। সাবধানতার
সাথে নিয়মিত নবজাতকের নখ কাটুন। শিশুর চোখে যেন ময়লা না জমে সে দিকে খেয়াল
রাখুন। নিয়মিত শিশুর কান ও নাক পরিষ্কার করুন।
শিশুদের ঠান্ডা লাগলে কি করতে হবে?
প্রতিটি শিশু জন্মের পর একটি নতুন পরিবেশ পেয়ে থাকে। সে পরিবেশে খাপ খায়ানোর
জন্য সময় প্রয়োজন। শিশুকে ঠান্ডা, সর্দি-কাশি থেকেনিরাপদে রাখতে ঘরোয়া
চিকিৎসা মেনে চলতে পারেন। যেমনঃ শরীরকে উষ্ণ রাখার চেষ্টা করুন। শরীরকে উষ্ণ
রাখতে গরম কাপড় ব্যবহার করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রামের ব্যবস্থা করুন।
প্রয়োজনে হালকা গরম পানি দিয়ে শরীর স্পঞ্জ করান। নিয়মিত বুকের দুধ এবং তরল
পানীয় পান করান। ১ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের স্যুপ খাওয়াতে পারেন। ২ বছরের
বেশি বয়সী বাচ্চাদের ১ থেকে ২ গ্লাস ফলের কাওয়াতে পারেন।
নবজাতকের চুল কখন ফেলতে হয়?
বাচ্চা একটু স্থিতিশীল হলে ১০-১৫ দিন পর চুল ফেলতে পারেন। জন্মের ৭২ ঘণ্টা
মানে তিন দিন পর নবজাতককে গোসল করাতে হবে। প্রথম তিন দিন শিশুকে গোসল করাতে
বলা হয় না।
কত দিনের বাচ্চাকে নবজাতক বলে?
ল্যাটিন শব্দ নিওনেটাস এর অর্থ নবজাতক। একটি নবজাতক , কথার ব্যবহারে, একটি
শিশু যার বয়স মাত্র ঘন্টা, দিন বা এক মাস পর্যন্ত। চিকিৎসা প্রসঙ্গে জন্মের
প্রথম 28 দিনের মধ্যে একটি শিশুকে এবং প্রসবোত্তর শিশুদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
সন্তান জন্মের পর কি কি করতে হয়?
১. আল্লাহর প্রশংসা করা। সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে আল্লাহর প্রশংসা করা, শুকরিয়া
আদায় করা ও সন্তানের জন্য দোয়া করা উচিত।
২. প্রিয়জনদের সুসংবাদ দেওয়া সন্তান ভূমিষ্ঠের সুসংবাদ প্রিয়জনদের
জানানো নবীদের সুন্নত। ৩. আজান–একামত দেওয়া।
৪. তাহনিক করা। ৫. মাথা মোড়ানো ও সদকা করা। ৬. আকিকা করা। ৭.
অর্থবাচক ধর্মীয় নাম রাখা। ৮. ধর্মীয়রীতি অনুযায়ী খতনা করানো।
Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url