বন্ধ্যাত্ব রোগ কি - বন্ধ্যাত্বের প্রধান কারণসমূহ ও প্রতিরোধ
বন্ধ্যাত্ব হলো গর্ভধারণ এবং প্রজনন করার অক্ষমতা। বন্ধ্যাত্বের ইংরেজি
হলো Infertility. জন্মনিয়ন্ত্রন ব্যতিত অন্য সময়ে নিয়মিত সহবাসের এক বছর পর
গর্ভধারণ করতে ব্যর্থ হওয়া বা একজন মহিলার গর্ভাবস্থায় জীবিত সন্তান জন্ম দেওয়ার
পূর্ব পর্যন্ত বহন করতে পারার অক্ষমতা হিসাবে বন্ধ্যাত্বকে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
বন্ধ্যাত্ব পুরুষ বা মহিলা উভয়কেই প্রভাবিত করতে পারে এবং এটি বিভিন্ন কারণে হতে
পারে।
সূচিপত্রঃ- বন্ধ্যাত্ব কি - বন্ধ্যাত্বের প্রধান কারণসমূহ ও প্রতিরোধ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে বিভিন্ন ধরণের বন্ধ্যাত্ব নিচে বর্ণিত উপায়ে
সংজ্ঞায়িত করা হয়।
প্রাইমারী বা প্রাথমিক বন্ধ্যাত্ব (Primary Infertility):
যখন কোন দম্পতি কোন ধরনের জন্মনিরোধক ব্যবহার ছাড়া এক বছর এক সাথে দাম্পত্যজীবন
যাপন করার পরও কোন সন্তান লাভে সক্ষম নয়।
সেকেন্ডারী বা অর্জিত বন্ধ্যাত্ব (Secondary Infertility):
কোন দম্পতি দাম্পত্যজীবনের কোন এক সময় গর্ভসঞ্চার করেছিল বা পরবর্তী কোন সময়
সন্তান ধারণ করেছিল কিন্তু পরবর্তীতে কোন জন্মনিরোধক ব্যবহার না করে দাম্পত্যজীবন
যাপন করার ১২ মাসের মধ্যে গর্ভধারণে সক্ষম নয়।
মেয়েদের বন্ধ্যাত্বের কারণ
মহিলাদের বন্ধ্যাত্বের প্রধান কারণ হলো Tubal obstruction (pelvic adhesions) যা
মূলত যৌন রোগের জন্যই হয়ে থাকে। অনেক মহিলা যাদের Tubal obstruction হয়েছে তারা
তাদের পূর্বেকার তলপেটের অসুস্থতার কথা মনে করতে পারেন না, যা কিনা তাদের তলপেটে
সংক্রমণকে নির্দেশ করে। অনেক ক্ষেত্রে উপসর্গবিহীন তলপেটের সংক্রমনের কারণেও
বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।
যৌন রোগের ফলে (Tubal obstruction) এর সাথে সংশি-ষ্ট প্রধান দু'টি জীবাণু হলো
গনোকক্কাস (Gonococcus) ও ক্লামাইডিয়া (Chlamydia) এই সকল সংক্রামক ব্যধির জন্যে
১০-৯০ শতাংশ বন্ধ্যাত্ব হতে পারে, যা ভৌগলিক অঞ্চল এবং ঐ এলাকার মানুষের জীবন
যাত্রার উপর নির্ভরশীল।
পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ
পুরুষের ক্ষেত্রে বেশীর ভাগ সময় বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয় শুক্রনালী (Ejaculatory
duct) বন্ধ হয়ে গেলে বা শুক্রাণু উৎপাদনে বিপর্যয় ঘটলে। এক্ষেত্রে বীর্য (Semen)
নিঃসরণের দরুন সৃষ্ট যৌন অক্ষমতা খুব বেশী পরিলক্ষিত হয় না। বন্ধ্যাত্বজনিত
চিকিৎসা নিয়ে যে সকল পুরুষ চিকিৎসকের নিকট আসেন তাদের অধিকাংশই এজোস্পার্মিক
(Azoospermic) অর্থাৎ যাদের বীর্যে শুক্রাণু একেবারেই থাকে না বা অলিগোস্পার্মিক
(Oligospermic) অর্থাৎ বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ কম থাকে। উন্নয়শীল দেশে বীর্যের
গুনগত মান কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে যৌন রোগের সংক্রমণকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সকল
সংক্রমণ শুক্রনালীকে বন্ধ করে দিতে পারে।
বীর্যের পরিমাণ কম হলে, শুক্রাণুর আকৃতিগত ত্রুটি থাকলে।
বীর্যের পরিমাণ কম হলে, শুক্রাণুর আকৃতিগত ত্রুটি থাকলে।
(খ) মহিলার ক্ষেত্রেঃ
নিয়মিতভাবে বা নিষেক ক্ষমতাসম্পূর্ণ ডিম্বানু উৎপাদনে ব্যর্থতা
পেলভিক এডহেশন (Pelvic adhesion) এর ফলে ডিম্বানু ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বানালীতে
যেতে না পারলে।
আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে দুই দিকে ডিম্বনালী বন্ধ থাকলে।
শুক্রাণুর বা সদ্য নিষিক্ত ডিম্বানুর প্রতি জরায়ুর অসহনীয়তা।
তলপেটে টিউমার (Uterine myoma, Endometriosis etc.)
(গ) যৌন মিলনে ত্রুটিজনিতঃ
আদৌ যৌন সঙ্গম ঘটেনি বা যৌন সঙ্গমে ব্যথাজনিত সমস্যা থাকলে
যৌন মিলনের হার এবং মাসিকের নির্দিষ্ট সময়ে মিলন না হলে
পিচ্ছিল পদার্থ (Lubricant) ব্যবহারের কারণে।
বন্ধ্যাত্বে প্রতিরোধ
চিকিৎসার তুলনায় প্রতিরোধ বরাবরই ভাল। আর বন্ধ্যাত্বের প্রতিরোধ দ্বিগুন ও
গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর চিকিৎসা যেমন ব্যয়বহুল, সাফল্য ও তেমনি অনিশ্চিত। পাশাপাশি
সংক্রমন যেখানে বন্ধ্যাত্বের মুখ্য কারণ, সে ক্ষেত্রে তা প্রতিরোধের মাধ্যমেই
সহজেই বন্ধ্যাত্বের সংখ্যা কমিয়ে আনা যেতে পারে।
যৌন রোগ যে বন্ধ্যাত্বের কারণ
হতে পারে তা প্রথমেই ব্যাপকভাবে প্রচার করা দরকার। একই সাথে যৌন রোগ যাতে এক দেহ
হতে অন্য দেহে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সবাইকে
উৎসাহিত করা প্রয়োজন।
প্রসবোত্তর সংক্রমণ কমানোর মাধ্যমে বন্ধ্যাত্ব হ্রাসের কার্যকরী পদক্ষেপ হিসেবে
নিরাপদ প্রসব ব্যবস্থা নিশ্চয়তা বিধান করাও অত্যন্ত জরুরী। বাংলাদেশের মত
উন্নয়নশীল দেশে যেখানে যক্ষ্মা রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষণীয়, সেখানে এই রোগ
প্রজননতন্ত্রে বিস্তার লাভ করার পূর্বেই যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করে প্রজননের
উপর যক্ষার প্রভাব কমিয়ে আনতে সচেষ্ট হতে হবে। অনেক বন্ধ্যা দম্পতি যাদের
ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়কারী সম্ভাব্য সকল পরীক্ষা শেষ করার পর শুধুমাত্র ঔষধের
মাধ্যমে ব্যাপক চিকিৎসার দ্বারা গর্ভধারণ সংখ্যার উন্নতি করা যেতে পারে। এই
চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অভিজ্ঞ ডাক্তার, বিশেষ যন্ত্রপাতি, সঠিক সময় এবং পর্যাপ্ত
অর্থ।
বন্ধ্যাত্ব থেকে মুক্তির উপায়
কাউন্সেলিং অর্থ মুখোমুখি আলাপ-আলোচনার দ্বারা যে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের
মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করা। ইনফার্টিলিটি ক্লিনিকে চিকিৎসার সুযোগ
সুবিধা যেমনই থাকুক না কেন, কাউন্সেলিং সবার জন্যই অপরিহার্য। স্বাস্থ্যকর্মীর
অন্যতম প্রধান কাজ হলো কাউন্সেলিং। বন্ধ্যা দম্পতির ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং এর
উদ্দেশ্য হলো বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করা। আলোচনার মাধ্যমে
দম্পতির বন্ধ্যাত্বের কারণ নির্ণয় করা, তার সহজ প্রতিকার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা
দেয়া এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা গ্রহণে উৎসাহিত করা।
যেখানে দম্পতির বন্ধ্যাত্বের জন্য শারীরিক কারণ খুঁজে পওয়া যায় না, সেখানে
পরামর্শদাতা তাদের মারাত্মক কোন অসুবিধা নেই বলে আশ্বস্ত করতে পারেন এবং
গর্ভধারণের সম্ভাবনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপদেশও দিতে পারেন। কারণ দেখা গেছে যে,
বন্ধ্যা বলে মনে করা হয় এমন দম্পতিদের অনেকেই গর্ভধারণে সক্ষম হয়েছে এবং অনেক
ক্ষেত্রে কোন চিকিৎসা ছাড়া শুধুমাত্র কাউন্সেলিং এর দ্বারা। বন্ধ্যাত্বের বিষয়ে
পরিবারের ও সমাজের সকল স্তরের মানুষকে তথ্য শিক্ষা দেয়া প্রয়োজন, যাতে বন্ধ্যা
দম্পতিরা সমাজে নিগৃহীত না হয়। বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধ, নিরাময় ও সামাজিকভাবে
দম্পতিকে জীবন যাপন নিশ্চিত করার জন্য নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের কাউন্সেলিং দেয়া
প্রয়োজন।
যে সকল দম্পতি আতঙ্কিত বা ভীত যে তারা সন্তান জন্মদানে সক্ষম নয়।
যে সকল দম্পতি আতঙ্কিত হচ্ছে না বলে কোন ধরনের চিকিৎসা নিচ্ছে না।
চিকিৎসার পর যে সকল দম্পতি এখনও সন্তান জন্মদানে অক্ষম।
যারা চিকিৎসা করাতে ভয় পায়।
যারা সামাজিক কিংবা পারিবারিকভাবে বন্ধ্যাত্বের জন্য চিকিৎসা করাতে পারে না।
পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের যেমন, শ্বশুর/ শ্বাশুড়ী।
যে সকল দম্পতি যৌন রোগে আক্রান্ত।
বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রে পুরুষদের দায়িত্ববোধ
আমাদের দেশসহ প্রায় সব দেশেই কোন দম্পতির বন্ধ্যাত্বের জন্য এককভাবে স্ত্রীকেই
দায়ী করা হয়। ফলে নারীর জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। এমনও দেখা গেছে কোন দম্পতি
সন্তান জন্মদানে অক্ষম হলেই কোন ডাক্তারী পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই স্ত্রীকে দায়ী
করে স্বামী পুনরায় বিয়ে করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। কিন্তু বর্তমান
আর্থসামাজিক পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতির সাথে
সাথে প্রজননে অক্ষমতার জন্য আর নারীকে এককভাবে দায়ী করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে
স্বামী স্ত্রী যে কেউ দায়ী হতে পারে অথবা উভয়েরই অসুবিধা থাকতে পারে।
আজ সারা বিশ্বে বন্ধ্যাত্ব নামক সমস্যা প্রকট। আর এর সমাধানের জন্য চাই ব্যাপক
সচেতনতা। এই সমস্যাকে কুসংস্কারের বেড়াজালে আটকিয়ে না রেখে সকলকেই সমাধানের পথ
খুঁজতে হবে। এর জন্য যেমন একজন চিকিৎসকের দায়িত্ব রয়েছে, তেমন রয়েছে একজন
স্বাস্থ্যকর্মী বা সমাজকর্মীর। আর সব থেকে বেশী দায়িত্ব পালন করতে পারে স্বামীরা
অথবা পরিবারের পুরুষ সদস্যরা। প্রয়োজনে স্বামীরা স্বাস্থ্যকর্মী বা ডাক্তারের
মাধ্যমে প্রজনন পদ্ধতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিবে এবং বাস্তব জীবনে তার যথাযথ
প্রয়োগ ঘটাতে চেষ্টা করবে। এর পরও সফল না হলে চিকিৎসার জন্য স্বামী স্ত্রী উভয়েই
ডাক্তারের পরামর্শ নিবে এবং বন্ধ্যাত্বর দায় দায়িত্ব দু'জনেই সমানভাবে ভাগ করে
নিবে।
তথ্যসুত্রঃ (পরিবার কল্যাণ সহকারী এবং পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক)
সহায়িকা
আপনার সচরাচর জিজ্ঞাসাঃ
পুরুষের বন্ধ্যত্বের কারণে কি কি?
জাতীয় কিডনি ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ফজল নাসের বলছেন, সাধারণত পুরুষরা দেরিতে চিকিৎসকের কাছে বন্ধ্যত্বের সমস্যা নিয়ে আসেন। এর কারণ হলো সন্তান না হলে সাধারণত
প্রথমে স্ত্রীকেই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুরুষদের বন্ধ্যত্বের মূল কারণগুলো কি তিনি জানিয়েছেনঃ
একটা কারণ এজোস্পার্মিয়া, অর্থাৎ বীর্যের মধ্যে শুক্রাণু না থাকলে। তার নালির কোথাও বাধা সৃষ্টি হেওয়ার ফলে শুক্রাণু একত্রিত হতে না পারলে।
শুক্রাণু তৈরি হওয়ার যে স্থান অণ্ডকোষ, কোন কারণে সেটি তৈরিই হয়নি।
শুক্রাণু থাকলেও পরিমাণে কম হলে বন্ধ্যাত্ব হয়।
আবার শুক্রাণুর পরিমান ঠিক আছে কিন্তু মান ঠিক নেই। যার ফলে সে ডিম ফার্টিলাইজ করতে পারে না।
এছাড়া টেস্টোস্টেরন হরমোনও 'সিক্রেশন' হতে হবে।
প্রজনন অঙ্গে কোন ধরনের আঘাত
অস্ত্রোপচারের কারণে সৃষ্ট বাধা
প্রজনন অঙ্গে যক্ষ্মা।
ডায়াবেটিস।
ছোটবেলায় মাম্পস।
এমনকি মাথায় চুল গজানোর ঔষধও পুরুষদের সন্তান ধারণের অক্ষমতার উৎস।
পুরুষের কি কি সমস্যার জন্য বাচ্চা হয় না?
পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের প্রধান কারণ হলো পর্যাপ্ত মানসম্পন্ন শুক্রাণু তৈরি না হওয়া। ৩০-৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে শুক্রাশয়ের গুণগত ত্রুটি, ১০-২০ শতাংশ ক্ষেত্রে শুক্রাণু বেরোনোর পথে প্রতিবন্ধকতার কারণে এ
সমস্যা দেখা দিতে পারে। ১-৫ শতাংশ ক্ষেত্রে হরমোনজনিত সমস্যার কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পুরুষের শুক্রানু কাউন্ট কত?
এমনিতে একটি ভ্রূণের জন্য একটি শুক্রাণু ও ডিম্বাণু যথেষ্ট। পুরুষদের বীর্যরসে শুক্রাণুর সংখ্যা প্রতি মিলিলিটারে ১৬ মিলিয়নের কম হলে তা প্রজননে অক্ষমতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সাধারণত, পুরুষের প্রতি মিলিলিটার বীর্যরসে ৪০-৩০০ মিলিয়ন শুক্রাণু থাকে। তবে,সর্বনিম্ন, ২০ মিলিয়ন শুক্রাণু থাকলেই সন্তানলাভ সম্ভব।
বীর্য কত ঘন্টা বাঁচে?
শুক্রাণু মহিলাদের প্রজনন ট্র্যাক্টের মধ্যে বেশ কয়েক দিন ধরে কার্যকর থাকে। যতক্ষণ শুক্রাণু জীবিত থাকে - পাঁচ দিন পর্যন্ত নিষিক্তকরণ সম্ভব।
পুরুষের বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা?
সাধারণ চিকিৎসার মধ্যে রয়েছেঃ
ওষুধঃ শুক্রাণু উৎপাদনের উন্নতি, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সঠিক করতে, শুক্রাণুকে প্রভাবিত করে এমন সংক্রমণের চিকিৎসা বা টেস্টোস্টেরনকে শক্তিশালী করতে ওষুধের একটি নিয়ম।
ভেরিকোসেলের মেরামতঃ একটি শারীরিক অবস্থা সংশোধন করার জন্য একটি ছোট পদ্ধতি যা অণ্ডকোষকে উত্তপ্ত করতে পারে এবং শুক্রাণুর গুণমানকে প্রভাবিত করতে পারে।
Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url