সামাজিক বনায়ন কি-বাংলাদেশের সামাজিক বনায়ন

সামাজিক বনায়ন কি-বাংলাদেশের সামাজিক বনায়ন

সামাজিক বনায়ন কি

বনবিভাগ ১৯৬০ দশকের শুরুর দিকে বন সম্প্রসারণ কার্যক্রমের মাধ্যমে সর্বপ্রথম বনায়ন কর্মসূচি বনাঞ্চলের বাহিরে জনগণের কাছে নিয়ে যায়। বৃক্ষরোপণ উৎসাহিত করার জন্য ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক 'বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার' প্রবর্তন করা হয়। ১৯৯৪ সালে বৃক্ষমেলা চালু হয়। সামাজিক বনায়নকে শক্তিশালী করার জন্য সরকার ২০০৪ সালে সামাজিক বনায়ন বিধিমালা প্রবর্তন করে। যা আরও কার্যকরী ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে ২০১০ সালে সংশোধিত হয়। সামাজিক বনায়ন হলো স্থানীয় দরিদ্র জনগণকে উপকারভোগী হিসেবে সম্পৃক্ত করে পরিচালিত বনায়ন কার্যক্রম যারা প্রত্যক্ষ সুফলভোগী ও উপকারভোগী হয়ে থাকেন। বনায়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যা, বনজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা, লভ্যাংশ বণ্টন সবকাজেই তারা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

সংরক্ষিত এলাকা

(১) জাতীয় উদ্যান (১৭টি)
  • ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান, গাজীপুর: ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • মধুপুর জাতীয় উদ্যান, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ
  • রামসাগর জাতীয় উদ্যান, দিনাজপুর
  • হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান, কক্সবাজার
  • লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মৌলভীবাজার
  • কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, রাঙামাটি
  • নিঝুমদ্বীপ জাতীয় উদ্যান, নোয়াখালী
  • মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান, কক্সবাজার
  • সাতছরি জাতীয় উদ্যান, হবিগঞ্জ
  • খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান, সিলেট
  • বারৈয়াঢালা জাতীয় উদ্যান, চট্টগ্রাম
  • কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান, পটুয়াখালী
  • নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান, দিনাজপুর
  • সিংড়া জাতীয় উদ্যান, দিনাজপুর
  • কাদিগড় জাতীয় উদ্যান, ময়মনসিংহ
  • আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান, নওগাঁ
  • বীরগঞ্জ জাতীয় উদ্যান, দিনাজপুর
(২) উদ্ভিদ উদ্যান
  • জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, মিরপুর, ঢাকা (বোটানিক্যাল গার্ডেন নামেও পরিচিত)
  • বলধা গার্ডেন ঢাকার ওয়ারী এলাকায় অবস্থিত। ভাওয়াল জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে বলধা গার্ডেনের সূচনা করেন।
(৩) বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য (Wildlife Sanctuary):
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আদেশ (১৯৭৩) প্রণীত হয়েছে।
  • বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্র করমজল, সুন্দরবন।
  • রেমাকালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, হবিগঞ্জ
  • ফাঁসিয়াখালী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, কক্সবাজার।
  • হরিণ প্রজনন কেন্দ্র ডুলাহাজরা, কক্সবাজার।
  • হাজারীখিল বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, চট্টগ্রাম।
  • চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, চট্টগ্রাম।
  • কুমির প্রজনন কেন্দ্র ভালুকা, ময়মনসিংহ।
  • টেকনাফ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, কক্সবাজার।
  • দুধপুকুর-ধোপাছড়ি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, চট্টগ্রাম।
  • পাবলাখালী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম।
  • সাংও বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, বান্দরবান।
  • টেংরাগিরি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, বরগুনা।
  • সোনারচর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, পটুয়াখালী।
  • চর কুকরি-মুকরি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, ভোলা।
  • সুন্দরবন পূর্ব বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, বাগেরহাট।
  • সুন্দরবন পশ্চিম বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, সাতক্ষীরা।
  • সুন্দরবন দক্ষিণ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, খুলনা।
  • চাঁন্দপাই বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, বাগেরহাট।
  • দুধমুখী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, বাগেরহাট।
  • ঢাংমারী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, বাগেরহাট।
  • নগরবাড়ী-মোহনগঞ্জ ডলফিন অভয়ারণ্য, পাবনা।
  • শিলন্দা নাগডেমড়া বন্যপ্রাণী (ডলফিন) অভয়ারণ্য, পাবনা।
  • নাজিরগঞ্জ বন্যপ্রাণী (ডলফিন) অভয়ারণ্য, পাবনা।
(৪) বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা
  • বিশেষ জীববৈচিত্রত্র্য সংরক্ষণ এলাকা (রাতারগুল), সিলেট 
  • আলতাদিঘী বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা, নওগাঁ
(৫) সাফারি পার্কঃ
পার্ক তৈরি হবে বন্যপ্রাণীদের প্রকৃত বাসস্থানের আদলে তাদের মনে হবে যেন তারা জঙ্গলেই আছে। নিজেদের অভয়ারণ্যেই আছে। মানুষ থাকবে সুরক্ষিত খাঁচা বা যানবাহনের মধ্যে- চিড়িয়াখানার বিপরীত অবস্থা।
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। কক্সবাজার জেলার ডুলহাজরায় অবস্থিত। পূর্বনাম ছিল 'ডুলাহাজরা সাফরি পার্ক'। 'ডুলাহাজরা' শব্দের অর্থ 'হাজার পালকি'।
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, শ্রীপুর, গাজীপুর
(৬) ইকোপার্কঃ
Ecopark (Ecological Park) প্রাকৃতিক পরিবেশে সৃষ্ট বিনোদন উদ্যান যা জীববৈচিত্র্যের উপর কোনোরূপ প্রভাব সৃষ্টি করে না। বনাঞ্চলের একটি নির্দিষ্ট এলাকাকে ইকোপার্ক হিসেবে চিহ্নিত করে একটি নিবিড় ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা হয়।
  • মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক, বড়লেখা, মৌলভীবাজার
  • সীতাকুণ্ড বোটনিক্যাল গার্ডেন এবং ইকো পার্ক, চট্টগ্রাম: বাংলাদেশের প্রথম ইকোপার্ক।
  • বাঁশখালী ইকোপার্ক, চট্টগ্রাম
  • মধুটিলা ইকোপার্ক, নলিতাবাড়ী, শেরপুর
  • কুয়াকাটা ইকোপার্ক, কলাপাড়া, পটুয়াখালী
  • টিলাগড় ইকোপার্ক, সিলেট
  • বড়শীজোড়া ইকোপার্ক, মৌলভীবাজার
  • রাজেশপুর ইকোপার্ক, কুমিল্লা
  • মুরাইছড়া ইকোপার্ক, বড়লেখা, মৌলভীবাজার (৭) অ্যাভিয়ারি পার্ক (১টি)
  • শেখ রাসেল এ্যাভিয়ারী এন্ড ইকোপার্ক-এর বন্যপ্রাণী ও গাছ-গাছড়া, রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম
(৭) সামুদ্রিক রক্ষিত এলাকা
  • সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর
(৮) শকুনের নিরাপদ এলাকা

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url