মাইক্রোপ্রসেসরের গঠন-মাইক্রোপ্রসেসর এর কয়টি অংশ ও কি কি?
সিপিইউ অর্গানাইজেশনের জন্য ফেচ ইনস্ট্রাকশন, ইন্টারন্ট ইনস্ট্রাকশন, যোগ ভাটা, প্রসেন ডাঁটা এবং বাহিত স্বাম ইত্যাদি কিছু প্রয়োজনীয় খাবার প্রয়োজন। আর কার্ডসমূহের জন্য সিপিইউকে কিছু ডাটা অস্থায়ীভাবে জমা রাখতে হয়। তাই সিপিইউ-র একটি ছোট ইন্টারনাল মেমোরি থাকে। সিপিইউ সিস্টেমের অন্যান্য অংশের সাথে সিস্টেম বাসের মাধ্যমে যুক্ত থাকে সিপিইউ-র প্রতিটি অংশই ইন্টারনাল সিপিইউ বাসের সাথে যুক্ত থাকে। ফলে ডাটা ট্রান্সফার সম্ভব হয়। ALU এবং রেজিস্টারের মাঝে। ফলে মাইক্রোপ্রসেসরের আভ্যন্তরীণ সংগঠনকে তিনটি প্রধান অংশে বিভাজন করা যায়।
১. গাণিতিক যুক্তি অংশ বা ALU
২. নিয়ন্ত্রন অংশ (Control Unit)
৩. রেজিস্টারসমূহ (Register set)
ALU আসল গণনাকার্য বা ডাটা প্রসেসিং এর কাজ সম্পাদন করে। কন্ট্রোল ইউনিট বা নিয়ন্ত্রণ অংশ ডাটার চলাচল এবং সিপিইউ (CPU)-এর সাথে ইন্সট্রাকশন আদান-প্রদান নিয়ন্ত্রণ করে। ডাটা ট্রান্সফার এবং লজিক কন্ট্রোল পথগুলো নির্দেশিত। আভ্যন্তরীণ সিপিইউ বাসকে বিভিন্ন রেজিস্টার এবং ALU এর মধ্যে ডাটা স্থানান্তর করতে হয়। ALU কেবলমাত্র অভ্যন্তরীণ সিপিইউ মেমোরির ডাটার উপর কাজ করে। চিত্রে ALU এর প্রধান উপাদানও চিত্রিত হয়েছে।
গাণিতিক যুক্তিমূলক অংশ (ALU)
এ্যারিথমেটিক এবং লজিক ইউনিট বা ALU হলো কম্পিউটারেরই একটি অংশ যার মাধ্যমে ডাটার লজিক্যাল এবং মাইক্রোপ্রসেসর যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগের মতো অ্যারেথমেটিক অপারেশনগুলো পরিচালিত করে। আধুনিক মাইক্রো- প্রসেসরে স্বয়ংক্রিয় Floating point processor থাকে যার মাধ্যমে অত্যন্ত জটিল ও দীর্ঘ দশমিক সংখ্যার অপারেশনগুলো সম্পন্ন হয়। কন্ট্রোল ইউনিট, রেজিস্টার, মেমরি এবং ইনপুট/আউটপুট ডাটা প্রসেস করার জন্য ALL- তে নিয়ে আসে এবং এখান থেকেই আউটপুট পরিচালিত হয়। কম্পিউটারের সবচেয়ে গভীর অংশটিই হলো ALU গাণিতিক যুক্তিমূলক অংশ বা ALL হলো মাইক্রোপ্রসেসরের ডাটা প্রক্রিয়াকরণ অংশ। ALU-এর কার্যাবলীগুলো হলো
গাণিতিক কাজ (যোগ, বিয়োগ, গুণ এবং ভাগ)
যুক্তিমূলক কাজ (OR, AND, NOT ইত্যাদি) সিদ্ধান্ত গ্রহণ। গাণিতিক যুক্তি অংশ বা ALL হলো কম্পিউটারের ক্যালকুলেটর স্বরূপ । আধুনিক প্রসেসরে প্রক্রিয়াকরণে গতি বাড়ানোর জন্য একাধিক গাণিতিক/মুক্তি অংশ ব্যবহার করা হয়। তথাপি বিভাগ প্রসেসরই একটি ALLU বিদ্যমান।
যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ গাণিতিক কাজের অন্তর্ভুক। প্রক্রিয়াজাত ডাটা বাইনারী (Binary), বিসিডি (BCD). ইবিসিডিআইসি (EBCDIC) এবং আসকি (ASCII) রূপে সংরক্ষিত হতে পারে।
ALU প্রক্রিয়াকরণের সময় অস্থায়ীভাবে ডাটা সংরক্ষণের জন্য রেজিস্টার ব্যবহার করে। গাণিতিকভাবে সঞ্চালিত ডাটাগুলো মেমোরি থেকে কপি করা হয় এবং প্রক্রিয়াকরণের জন্য রেজিস্টারে স্থানান্তরিত হয়। গাণিতিক কাজ শেষ হওয়ার পর ফলাফল অ্যাকিউমুলেটর থেকে মেমোরিতে স্থানান্তরিত হয়। ALU এর একাধিক এডার (Adder) ব্যবহার করে যা মূলত বাইনারী অংকের যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগে সমর্থ
যদি প্রথম সংখ্যাটি দ্বিতীয় সংখ্যা থেকে ছোট বা বড় কিংবা দ্বিতীয় সংখ্যাটির সমান হয় তবে গণনা কার্যে দুইটি সংখ্যার তুলনা করা এবং তুলনার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে সঠিক কার্যক্রম গ্রহণ করার সামর্থ্যই হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণ । উদাহরণস্বরূপ, যদি প্রশ্ন করা হয় x এর মান কি 150 থেকে বড় অর্থাৎ x > 150 তবে ALU x-এর মানের উপর ভিত্তি করে হয় সত্য বা মিথ্যা (True or False) উত্তর প্রদান করে। একটি এপ্লিকেশনের প্রক্রিয়াকরণ চলাকালীন অবস্থা যাচাই করতে এবং নির্দেশনা অনুসারে পর্যায়ক্রম পরিবর্তন করতেও এটি সম্ভব। প্রসেসর কর্তৃক ডাটা প্রক্রিয়াকরণ নির্দেশনা নির্বাহে ব্যবহৃত বিভিন্ন সার্কিটগুলো সাধারণত ALL বা গাণিতিক যুক্তি অংশে একত্রিত থাকে । একটি ALU এর দুর্বোধ্যতা এর আচরণ দ্বারা পরিমাপ করা যায় যেখানে এর গাণিতিক নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়। ফিক্সড পয়েন্ট (Fixed Point) কাজের জন্য সার্কিটকে ঘিরে সরল ALLU গঠিত হয় যা গুণ এবং ভাগের জন্য উন্নয়ন করা হয়। হার্ডওয়্যার ফুটিং- পয়েন্ট অ্যারেথমেটিক (Floting Point Arighmetic) প্রয়োগ করতে আরও ব্যয়বহুল ডাটা প্রক্রিয়াকরণ এবং নিয়ন্ত্রণ যুক্তি (Control Logic) প্রয়োজন হয়। ফিক্সড পয়েন্ট (Fixed Point) ALU সমৃদ্ধ গণনার অনেক মাইক্রোপ্রসেসর ফ্লটিং পয়েন্ট (Floating Point) এবং অন্যান্য জটিল সাংখ্যিক কাজ (Numerical Function) সম্পাদন করতে বিশেষ উদ্দেশ্যভিত্তিক ইউনিট কাজে লাগায় একে গাণিতিক কো-প্রসেসর বলে ।
Control Unit
কিন্ট্রোল ইউনিট হলো প্রসেসরেরই একটি অংশ যা কম্পিউটারের বিভিন্ন তত্ত্ব বা থিওরি বাস্তবায়ন করে থাকে । একটি কম্পিউটারের প্রতিটি ছোট ছোট বা বিচ্ছিন্ন অপারেশনগুলো কীভাবে পরিচালিত হবে, সেই কার্যক্রম পরিচালনা করার দায়িত্বই হলো কন্ট্রোল ইউনিটের। অর্থাৎ বলা যায় যে, নিয়ন্ত্রণ ইউনিট কম্পিউটারে প্রদত্ত উপাত্তসমূহের নির্দেশ (Information and Communication Technology BCT) মোতাবেক কম্পিউটারের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অংশের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে কম্পিউটারের সমস্ত কার্যকারীতা নিয়ন্ত্রণ করে । মস্তিষ্ক যেমন করে মানুষের শরীরকে নিয়ন্ত্রণ এবং সুসংহত করে নিয়ন্ত্রণ অংশ সিপিইউ (CPU) কে কন্ট্রোল ও সুসংহত করে । কন্ট্রোল ইউনিট/ নিয়ন্ত্রণ অংশ ইনপুট, আউটপুট, প্রক্রিয়াকরণ বা ডাটা সংরক্ষণ করে না বরং এই কার্যক্রমগুলো চালু ও নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়ন্ত্রণ অংশ ডাটা এবং নির্দেশমালা মেমোরিতে স্থানান্তর শুরু করতে ইনপুট ডিভাইসের সাথে এবং ফলাফল মেমোরি থেকে স্থানান্তর শুরু করতে আউটপুট সাথেও যোগাযোগ স্থাপন করে।
Instruction
Instruction
Resistor
Master Clock
Pulse Generator
Control Bogie Circuit
Memory
5 Block Diagrame of Control Unit
ডাটা স্থানান্তর ডাটা বা নির্দেশমালা একস্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরের সাথে জড়িত। যখন ডাটার কোন উপাদান নির্দেশিত কোন স্থানে সংরক্ষিত হয় তখন তা ঐ স্থানের পূর্ববর্তী উপাদানের স্থলাভিষিক্ত হয়। কিন্তু যখন ডাটার কোন উপাদান এক স্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয় তখন তা এর পূর্ব অবস্থান থেকে নিশ্চিহ্ন হয় না; মূলত ডাটা উপাদানটি নতুন স্থানে কপি হয় । কম্পিউটার প্রাইমারী মেমোরিতে ধারণকৃত কোন প্রোগ্রাম যখন নির্বাহ করে তখন নিয়ন্ত্রণ অংশ যেখানে নির্বাহ হচ্ছে পর্যায়ক্রমিকভাবে তার নির্দেশনা পায়। নির্দেশনাগুলোকে ইন্টারপ্রেট (Interpret) বা রূপান্তরিত করে এবং নির্বাহ করার জন্য সিগন্যাল সরবরাহ করে। কাজটি সুসম্পন্ন করতে নিয়ন্ত্রণ অংশকে অবশ্যই ALU এবং প্রাইমারী মেমোরির সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে হয়।
নির্দেশমালা নির্বাহের জন্য নিয়ন্ত্রণ অংশ সাধারণত নিম্নোক্ত সকল বা বেশীরভাগ কার্যক্রম সম্পন্ন করে :
নির্বাহের জন্য অপেক্ষমান নির্দেশনার উৎস নির্ণয় ।
সম্পন্নযোগ্য কাজ নির্ণয় করা।
কোথায় পরবর্তী নির্দেশনা স্থানান্তরিত হবে তা নিরূপণ করা । → কোন ডাটাগুলো প্রয়োজন এবং কোথায় এগুলো সংরক্ষিত হবে তা নির্ণয় করা ।
→ নির্বাহযোগ্য নির্দেশনা নির্ণয় করা। → ফলাফল নির্ণীত হলে তা কোথায় সংরক্ষিত হবে তা নিরূপণ করা।
পরবর্তী নির্দেশনায় নিয়ন্ত্রণ স্থানান্তর।
মেশিন সাইকেল (Machine Cycle)
নিয়ন্ত্রণ অংশের কার্যক্রম হাজার হাজার স্বতন্ত্র পদক্ষেপে রচিত যেগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর স্থলাভিষিক্ত হয়ে অংশগ্রহণ করে। এই ব্যবধান (সময়ের) একটি অভ্যন্তরীণ ইলেকট্রনিক ক্লক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় যা প্রতি সেকেন্ডে মিলিয়নসম রেগুলার ইলেকট্রনিক পালস (Regular Electronic Pulse) প্রেরণ করে। ক্লক স্পিড সাধারণত মেগাহার্জ (Megahertz / MHz) এ অথবা প্রতি সেকেন্ডে মিলিয়ন পালস্ এর ভিত্তিতে পরিমাপ করা হয়। সাধারণত কম্পিউটারের সিপিইউ এর মধ্যকার কাজগুলো নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্লক পালস এর ভিত্তিতে অংশগ্রহণ করে। এই সংখ্যা কম্পিউটারের জন
CPU and Microprocessor
মেশিন সাইকেল নিরূপণ করে। একটি মেশিন সাইকেলের মধ্যে, কম্পিউটার একটি মেশিন অপারেশন চলনা করে।।
একটি একক নির্দেশনা নির্বাহ করতে যে সংখ্যক মেশিন অপারেশন প্রয়োজন তা নির্দেশনা । র্দেশনার নির্বাহ নিয়ন্ত্রণ অংশের সরাসরি তত্ত্বাবধানে অংশগ্রহণ করে ।
নির্দেশনার ধরণ (Instruction Format) প্রোগ্রামের নির্দেশনাগুলো মেশিনে পঠনযোগ্য (Machine Readable) রূপে মেমোরিতে সংরক্ষিত হয়। সাধারণভাবে
নির্দেশনাগুলো দুটি পৃথক অংশ নিয়ে গঠিত। যথা-
→ একটি অপারেশন কোড এবং → এক (বা একাধিক) অপারেন্ড
অপকোড বা অপারেশন কোড (Opcode) মেশিনত্বক কি কাজ করতে হবে তা বলে দেয়, অপারেন্ড (operand) কাজটি করতে হলে কি ব্যবহার করতে হবে তা নির্দিষ্ট করে দেয়। অপারেন্ড এর উদাহরণগুলো হলো :
* প্রাইমারি মেমোরিতে ডাটা আইটেম/ উপাদান অথবা নির্দেশনার ঠিকানা/ এড্রেস। → সিপিইউর বাইরে কোন সেকেন্ডারী (সহায়ক মেমোরিতে ডাটা আইটেম অথবা প্রোগ্রামের ঠিকানা/ এড্রেস।
* ইনপুট অথবা আউটপুট ডিভাইসের ঠিকানা/ এড্রেস। রেজিস্টার অথবা বিশেষ উদ্দেশ্যভিত্তিক ক্ষণস্থায়ী/ অস্থায়ী মেমোরি এরিয়ার ঠিকানা/ এড্রেস।
উদাহরণস্বরূপ, নির্দেশনা বা ইন্সট্রাকশন MOV ৬০০০, ০০০
MOV অপারেশন কোড এবং অপারেন্ড ৬০০০ এবং ৭০০০ ধারণ করে। এটি বুঝায় যে, মেশিনকে ৬০০০ লোকেশনে অবস্থিত / সংরক্ষিত উপাদান ৭০০০ লোকেশনে স্থানান্তর করতে হবে। প্রাইমারী মেমোরিতে সংরক্ষিত ডাটা উপাদানের এড্রেস সংযোজনে রেজিস্টারের এড্রেস, সেকেন্ডারী মেমোরিতে সংরক্ষিত ডাটার এড্রেস অথবা ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসের ঠিকানা চিহ্নিত করতেও অপারেন্ড ব্যবহৃত হতে পারে ইনস্ট্রাকশন নির্বাহ (Instruction Execution)
কোন প্রোগ্রাম নির্বাহ করতে হলে প্রোগ্রামের অধীনস্থ নির্দেশসমূহ নির্বাহ করতে হবে। নির্দেশ নির্বাহ করতে হলে সিপিইউকে ধাপে ধাপে ধারাবাহিকভাবে কতকগুলো কাজ করতে হয়। এই কাজের ধাপ সিপিইউভেদে কিছু পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় । তবে কোন নির্দেশ নির্বাহ করতে হলে ন্যূনতম ৪ (চার) টি ধাপ প্রয়োজন যথা-১) ইনস্ট্রাকশন ফেস, ২) ইনস্ট্রাকশন ডিকোড করা, ৩) ইনস্ট্রাকশন এক্সিকিউট বা নির্বাহ করা এবং ৪) স্টোর বা ফলাফল সংরক্ষণ করা ।
ইনস্ট্রাকশন ফেস ঃ প্রোগ্রাম নির্বাহের আগেই সিপিইউ এর নিয়ন্ত্রণে ইনপুটের মাধ্যমে প্রোগ্রাম ও ডাটাকে প্রধান স্মৃতিতে নিয়ে আসা হয়। নির্দেশ নির্বাহের শুরুতে কন্ট্রোল ইউনিটের তত্ত্বাবধানে প্রোগ্রামের নির্দেশ প্রধান স্মৃতি হতে সিপিইউ'র
রেজিস্টারে নিয়ে আসা হয়। এটিই ইনস্ট্রাকশন ফেস।
ইনস্ট্রাকশন ডিকোড করা ঃ নির্দেশ সিপিইউ'র রেজিস্টারে আনার পর কন্ট্রোল ইউনিট নির্দেশকে ডিকোড করে এবং গাণিতিক / যুক্তি ইউনিটকে কাজের নির্দেশ দেয় ও ডাটা সরবরাহ করে ।। ইনস্ট্রাকশন এক্সিকিউট বা নির্বাহ করা ঃ গাণিতিক /যুক্তি ইউনিট ডাটাকে প্রয়োজনীয় গাণিতিক ও লজিক্যাল অপারেশন
করে ফলাফল তৈরি করে। স্টোর বা ফলাঙ্ক সংরক্ষণ করা ও গাণিতিক /যুক্তি ইউনিটের অপারেশনের ফলাফলকে এ্যাকুমিউলেটর কিংবা প্রধান স্মৃতিতে সংরক্ষণ করে।
Register Set
সিপিইউতে রেজিস্টারসমূহ কিছু ক্ষেত্রে মেমোরি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত দুই ধরণের রেজিস্টার সিপিইউতে ব্যবহৃত হয়। ইউজার ভিজিবল রেজিস্টার যা মেশিন বা এসেম্বলি ল্যাঙ্গুয়েজকে পরিচালনা করে এবং মেইন মেমোরির রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একে জেনারেল পারপাস, ডাটা, কোডস বা কন্ডিশন কোডস-এর ক্যাটাগরিতে নির্ণয় করা যায়। এসব রেজিস্টার মাইক্রোপ্রসেসরের ভিতর বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সার্কিট দিয়ে গঠিত। গাণিতিক/যুক্তি অংশে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য রেজিস্টারগুলো ব্যবহৃত হয়।
Please send the data in slot number. 10011101100001001111101100101
CPU
Lo
7 গাণিতিক/যুক্তি অংশের রেজিস্টারগুলো
রেজিস্টারগুলোকে দু'ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১) সাধারণ রেজিস্টার (General Register) এবং ২) বিশেষ রেজিস্টার
(Special Register)। সাধারণ রেজিস্টার (General Register): এটি এক ধরণের অস্থায়ী মেমোরি। এতে মোট আটটি রেজিস্টার (RO, R1. R2, R3, R4, R5 R6, R7) থাকে। এ ধরণের একটি রেজিস্টারকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়। প্রোগ্রাম নির্বাহের সময় উপাত্ত এবং তাৎক্ষনিক ফলাফল এ রেজিস্টারে জমা থাকে। সাধারণ রেজিস্টারকে গণক হিসাবে ব্যবহার করা যায় আবার প্রয়োজনে মেমোরি স্থানের ঠিকানা অথবা উপাত্তকে এ ধরণের রেজিস্টারে সংরক্ষণ করা হয়।
বশেষ রেজিস্টার (Special Register) : কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটে বিভিন্ন রকম বিশেষ রেজিস্টার থাকে যা কতকগুলো বিশেষ কাজ সম্পাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরণের বিশেষ রেজিস্টার রয়েছে । নিম্নে কতকগুলি বিশেষ রেজিস্টার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
প্রোগ্রাম কাউন্টার রেজিস্টার (Program Counter Register) মেমোরি স্থানের ঠিকানা সংরক্ষণের জন্য প্রোগ্রাম রেজিস্টার ব্যবহৃত হয় এটি একটি ১৬-বিট রেজিস্টার । এই রেজিস্টার অপারেশন বা ইনস্ট্রাকশনের এ্যাড্রেস ধারণ করে। ফলে ইনস্ট্রাকশান লোকেশান এখান থেকে সহজেই নিরূপণ করা যায়। এই কারণে একে ইনস্ট্রাকশান পয়েন্টার হিসাবেও চিহ্নিত করা হয় এটি কন্ট্রোল ইউনিটের তত্ত্বাবধানে কাজ করে থাকে ।
এ্যাকিউমুলেটর (Accumulator) : এ্যাকুমুলেটর হচ্ছে এক ধরণের বিশেষ রেজিস্টার। মাইক্রোপ্রসেসরের গাণিতিক কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর তা কোন নির্দিষ্ট রেজিস্টারে সংরক্ষিত হয়। পরে ওই তথ্য ব্যবহৃত হয়। এই বিশেষ ধরণের রেজিস্টারগুলোকেই বলা হয় এ্যাকুমুলেটর। মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে প্রোগ্রাম নির্বাহের ক্ষেত্রে এ্যাকুমুলেটর ব্যবহৃত হয়। ইন্টেল ৮০৮৫ ও মটোরোলা ৬৮০৯ প্রসেসরে প্রথম এ্যাকুমুলেটর যুক্ত করা হয়েছিল। ৮ বিট মাইক্রোপ্রসেসরের সবগুলোতেই এ্যাকুমুলেটরের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
Information and Communication Technology (ICT)
স্ট্যাক পয়েন্টার (Stack Pointer) : স্ট্যাক অর্থ হলো স্তুপ আকারে সাজানো। স্ট্যাক পয়েন্টার পদ্ধতিতে উপাত্ত আকারে সাজানো হয় এটিও একটি ১৬ বিট রেজিস্টার, যা মেমোরি পয়েন্টার হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। স্টোক বা স্তুপ পয়েন্টার রেজিস্টারে একটি ১৬ বিট এ্যাড্রেস স্থাপন করা হয় স্টোক সনাক্ত করার জন্য স্তুপের শুধু একদিক থেকেই ডাটা সরানো বা যুক্ত করা যায়। স্তুপের উপরের ডাটাকে টপ বলা হয়। স্তুপে উপাত্ত যোগ করাকে পুশ (Push) বলা হয়। স্তুপ থেকে ডাটা সরিয়ে নেওয়াকে পপ (Pop) বলা হয় এ পদ্ধতিতে সিপিইউ সবচেয়ে উপরের ডাটা এবং ঠিক পরের ডাটা পপ করার পর ডাটা দুইটি যোগ করে এবং যোগফলটি আবার পুশ করে রেজিস্টার স্তুপের উপরে টপ হিসাবে জমা রাখে।
ফ্লাগ রেজিস্টার (Flag Register) : ফ্লাগ রেজিস্টারকে সংক্ষেপে এফ রেজিস্টারও বলা হয়। কোন গাণিতিক/ যুক্তিমূলক নির্দেশ অথবা অন্য কোন নির্দেশ নির্বাহের পর একিউমুলেটর ও অন্যান্য রেজিস্টারসমূহের অবস্থা সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত রেজিস্টারকে ফ্লাগ রেজিস্টার বলা হয়। এটি জিরো ফ্ল্যাগ এবং ক্যারি ফ্ল্যাগ ধারণ করে। ফলে এর সাহায্যে এএলইউ-তে ডাটা প্রসেসিং এর সময় ক্যারি থাকলে কিংবা শূন্য হলে অথবা প্যারিটি বিট সমূহের এ্যাড্রেস এর মধ্যে সংক্ষিত করা হয়। সাধারণত দুইটি সংখ্যার পরম মান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এ রেজিস্টার লক্ষ্য করা যায়।
মেমোরি এ্যাড্রেস রেজিস্টার মেমোরি এ্যাড্রেস রেজিস্টারকে সংক্ষেপে শুধু এ্যাড্রেস রেজিস্টারও বলা হয় । মেমোরি এ্যাড্রেস রেজিস্টার বা ডাটা কাউন্টার ডাটার এ্যাড্রেসকে ধারণ করে মাইক্রোপ্রসেসর এই সংরক্ষিত এ্যাড্রেসকে প্রয়োজনে ব্যবহার করে। যে মেমোরি অবস্থান থেকে কোন ডাটা বা নির্দেশ আনতে অথবা রাখতে হবে সেই মেমোরি অবস্থানের এ্যাড্রেস মেমোরি রেজিস্টারে থাকে। কোন একটি নির্দেশকে কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য মেমোরির যে অবস্থানে জমা থাকে, সেই স্থানের বাইনারী এ্যাড্রেস এই রেজিস্টারে পাওয়া যায়। মেমোরি এ্যাড্রেস রেজিস্টারের সাহায্যে মেমোরি থেকে ডাটাসমূহ পড়া যায়। প্রোগ্রাম কাউন্টার থেকে পরবর্তী নির্দেশের এ্যাড্রেস মেমোরি এ্যাড্রেস রেজিস্টারে প্রেরণ করা হয়। এই নির্দেশ মেমোরি এ্যাড্রেস বাসের মাধ্যমে মেমোরি এ্যাড্রেস রেজিস্টার হতে মেমোরিতে যায়। মেমোরি এ্যাড্রেস লাইন মেমোরি এ্যাড্রেস রেজিস্টারের আউটপুটের সংগে সংযুক্ত থাকে।
নির্দেশ রেজিস্টার ও কোন নির্দেশ ডিকোড না হওয়া পর্যন্ত নির্দেশ রেজিস্টারে জমা থাকে। কোন কোন কম্পিউটারে দুইটি নির্দেশ রেজিস্টার থাকে। এখানে একটি নির্দেশ ডিকোড হতে থাকা অবস্থায় পরবর্তী নির্দেশটি চলে আসে এবং ডিকোড হওয়ার অপেক্ষায় থাকে। এটি মূলত ৮বিট রেজিস্টার ।
ইনডেক্স রেজিস্টার । এক বা একাধিক রেজিস্টারের সমন্বয়ে ইনডেক্স রেজিস্টার গঠিত হতে পারে। কোন একটি সংখ্যা
এ্যাড্রেস হচ্ছে ইনডেক্স রেজিস্টারের উপাত্ত এবং ধ্রুবকের যোগফল। এই ধ্রুবক ইনডেক্স রেজিস্টারের উপাত্তের সাথে যোগ হয়ে কার্যকর হয়ে এ্যাড্রেস গঠন করে। মেমোরি ইনফরমেশন রেজিস্টার একে মেমোরি বাফার রেজিস্টারও বলা হয়ে থাকে। এতে প্রাথমিক স্মৃতি ও ইনপুট রেজিস্টার থেকে ডাটা ও নির্দেশ এনে জমা রাখা হয়। এই রেজিস্টারটি ডাটা বাসের সাথে সংযুক্ত থাকে। কখনও কখনও এই রেজিস্টারকে ডাটা রেজিস্টারও বলা হয়। মেমোরিতে ডাটা লেখার কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই রেজিস্টারে জমা থাকে । প্রাথমিক স্মৃতির ডাটা নিয়ে কাজ করার সময় ডাটা অনেকটা পরিবর্তিত হয়ে যায় । কাজের জন্য আবার মূল ডাটার প্রয়োজন হলে মেমোরি বাফার রেজিস্টার থেকে তা পাওয়া যায়। এ রেজিস্টারটি অন্তবর্তী বা মধ্যবর্তী মেমোরি রেজিস্টার, হিসাবে কাজ করে।
Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url