বিশ্বগ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজ কি-বিশ্বগ্রামের সুবিধা ও অসুবিধা

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উন্নতির ফলে সময় ও দূরত্ব সংকুচিত হয়ে সমস্ত পৃথিবী ক্রমশই ছোট হয়ে একটি গ্রামের দিকে ধাবিত হচ্ছে। গ্লোবাল ভিলেজ এমন একটি শব্দ যেখানে গোটা পৃথিবীকে একটি গ্রাম হিসাবে কল্পনা করা হয়।

পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই গ্রাম রয়েছে। একটি গ্রামের সকল মানুষ যেমন খুব সহজেই তাদের বিভিন্ন দৈনন্দিন প্রয়োজনে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে তেমনি এখন পৃথিবীর সকল মানুষ খুব সহজেই প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মূল লক্ষ্যই হচ্ছে এমন একটি বিশ্ব গঠন করা যেখানে যেকোন ব্যক্তি বিশ্বের যেকোন স্থান হতে যেকোন সময় উপযুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্য আদান প্রদান করতে পারে। প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে গ্লোবাল ভিলেজ কথাটিকে যোগাযোগ প্রযুক্তি তথা ইন্টারনেট বা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর বর্ণনায় ব্যবহার করা হচ্ছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আজ নতুন এক পৃথিবী গড়ে উঠেছে যেখানে সারা পৃথিবীর মানুষের মধ্যে যোগাযোগ কার্যক্রম অনেক সহজ হয়েছে। পৃথিবীর এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্তে যোগাযোগের জন্য বাস্তবে অনেক দূরত্ব থাকলেও ইন্টারনেট সেই দূরত্বকে একেবারেই কমিয়ে দিয়েছে। আজকাল মানুষ অন-লাই মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ বা তথ্য আদান প্রদানের জন্য অন-লাইন সমাজ ব্যবস্থা বা ইনফরমেশন সোনাইটি গড়ে তুলেছে। এই দ্রুতগতির প্রযুক্তি নির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থার ফলেই মানুষ বিশ্বের যেকোন প্রান্তের খবর মুহুর্তের মধ্যেই জানতে পারছে এবং তাদের মতামত বা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে পারছে। এতে করে মানুষের মধ্যে সামাজিক অস্তিত্ববোধও বাড়ছে।





বিশ্বগ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজের সংজ্ঞা

গ্লোবাল ভিলেজকে নিম্নোক্তভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়-



গ্লোবাল ভিলেজ হচ্ছে এমন একটি পরিবেশ যেখানে পৃথিবীর সকল মানুষই একটি একক সমাজে বসবাস করে এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে একে অপরকে সেবা প্রদান করে থাকে।

অক্সফোর্ড আমেরিকান ডিকশনারী অনুযায়ী গ্লোবাল ভিলেজ হচ্ছে "The world considered a single community linked by telecommunications

উইকিপিডিয়ার একটি উদ্ধৃতি অনুযায়ী গ্লোবাল ভিলেজ হচ্ছে 

"The global village is the sociological and cultural structure

উপরের সকল সংজ্ঞা অনুযায়ী বলা যায় গ্লোবাল ভিলেজ হচ্ছে এমন একটি সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ব্যবস্থা যার আনুষাঙ্গিক সকল কিছুই ইন্টারনেট তথা যোগাযোগ প্রযুক্তির মধ্যে বিদ্যমান।



বিশ্বগ্রামের সুবিধা ও অসুবিধা

বিশ্বগ্রামের সুবিধা

যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন এবং আধুনিক সভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে সাথে মানুষ গ্লোবাল ভিলেজে প্রবেশ করছে। গ্লোবাল ভিলেজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু সুবিধা নিম্নরূপ-

সারা পৃথিবী মানুষের মুঠোয় এসেছে। মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়েছে।

মানুষের কাজের দক্ষতা এবং গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে এবং লেনদেন সহজ ও দ্রুততর হচ্ছে। অন-লাইন লাইব্রেরি, অন-লাইন ইউনিভার্সিটি, ভিডিও টিউটোরিয়াল বা বিভিন্ন প্রকার ই-বুক ব্যবহারের ফলে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে।

ঘরে বসেই সহজে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছবি, ভিডিও, অডিও, তথ্যাদি শেয়ার করা সহজ হচ্ছে। এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি ও যোগাযোগ তৈরি করা যাচ্ছে।

AAA গবেষণার উপাত্ত ও তথ্য প্রাপ্তি সহজতর হচ্ছে এবং সহজেই বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল জানা যাচ্ছে। বিশ্বগ্রাম বাস্তবায়নের ফলে সৃষ্ট কিছু নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। যেমন- তবে

> অনলাইনে পত্র-পত্রিকা পড়া ও ব্লগে লেখালেখি করার মাধ্যমে মতামত প্রদান ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা যাচ্ছেন সকল ধরনের ব্যবস্থাপনার খরচ কমে আসছে। ফলে ই-গভানেন্স বাস্তবায়ন সহজ হয়েছে।





বিশ্বগ্রামের অসুবিধা

ইন্টারনেট প্রযুক্তির ফলে অনেক ক্ষেত্রে তথ্যের গোপনীয়তা বজায় থাকছেনা অর্থাৎ তথ্য চুরি হয়ে যাচ্ছে। সাইবার আক্রমণ বাড়ছে। ই-বিজনেস, ই-কমার্স, ই-ব্যাংকিং ইত্যাদি হুমকির মুখে পড়ছে।

ইন্টারনেটের ফলে বিভিন্ন ধরনের তথ্য যেমন- পর্ণোগ্রাফি সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায় যুব সমাজে সামাজিক অবক্ষয় সৃষ্টি হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রবাহ ব্যক্তিগত জীবনকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। যেমন-আশংকাজনকভাবে বিবাহ-বিচ্ছেদ বৃদ্ধি পাচ্ছে, পরকীয়া প্রেমের বলি হয়ে মানুষের জীবনহানির মতো ঘটনাও ঘটছে।

ডিজিটাল ডিভাইড দ্রুত বাড়ছে। ফলে প্রযুক্তিগত ভাবে অদক্ষ জনগণ কর্মহীন হয়ে যাওয়ার আশংকা বাড়ছে। বিশ্বায়নের অবাধ প্রতিযোগিতায় পড়ে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ অনেকটাই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় শিল্প-কারখানা হুমকীর মধ্যে পড়েছে। তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সহজেই গুজব, অসত্য বা মিথ্যা এবং বানোয়াট সংবাদ ছড়িয়ে সামাজিক বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে দাঙ্গা-ফ্যাসাদ তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে।







বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় উপাদান

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রামের ধারণা বাস্তবায়ন ও এর প্রতিষ্ঠা সম্ভব হচ্ছে। নিচে বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠার প্রধান উপাদানসমূহ উল্লেখ করা হলো। যথা-

"The Internet is becoming the town square for the global village of tomorrow"

১। হার্ডওয়্যার (Hardware)

২। সফট্ওয়্যার (Software)



। নেটওয়ার্ক সংযুক্ততা বা কানেকটিভিটি (Connectivity)

৪। ডেটা (Data) এবং

৫। মানুষের সক্ষমতা (Capacity ) ও সচেতনা (Awareness)।







হার্ডওয়্যার (Hardware)

হার্ডওয়্যার বিশ্বগ্রামে যে কোন ধরনের যোগাযোগ ও তথ্য আদান-প্রদানের জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত হার্ডওয়্যার সামগ্রীর। হার্ডওয়্যারের মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার এবং এর সাথে সংযুক্ত পেরিফেরাল যন্ত্রপাতি, ল্যান্ড বা মোবাইল ফোন, স্মার্ট ফোন, অডিও-ভিডিও রেকর্ডার, স্যাটেলাইট, রেডিও, টেলিভিশন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর বিভিন্ন ডিভাইস।



সফট্ওয়্যার (Software)

সফটওয়্যার : বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠার জন্য হার্ডওয়্যারের পাশাপাশি সফট্ওয়্যার প্রয়োজন। সফট্ওয়্যারের মধ্যে রয়েছে বিভন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম, ব্রাউজিং সফটওয়্যার, কমিউনিকেটিং সফটওয়্যার, প্রোগ্রামিং ভাষা ইত্যাদি ।



নেটওয়ার্ক সংযুক্ততা বা কানেকটিভিটি (Connectivity)

সংযুক্ততা বা কানেকটিভিটি : বিশ্বগ্রামের মেরুদন্ড হলো নিরাপদভাবে রিসোর্স শেয়ার করার নেটওয়ার্ক বা কানেকটিভিটি যার মাধ্যমে বিভিন্ন উপাত্ত ও তথ্য এই গ্রামের প্রতিটি মানুষের নিকট পৌঁছাতে পারে। নিরাপদ তথ্য আদান প্রদানই হচ্ছে বিশ্বগ্রামের মূল ভিত্তি। নিরাপদ তথ্য প্রদানের জন্য প্রয়োজন নিরাপদ নেটওয়ার্ক বা কানেকটিভিটি। যেহেতু বিশ্বগ্রামের মেরুদন্ডই হচ্ছে কানেকটিভিটি সে কারনেই মানুষ যখন যেখানেই অবস্থান করুকনা কেন সবসময়ই মোবাইল বা কম্পিউটারে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকতে পারছে। বিশ্বের তথ্য ভান্ডারের সাথে সার্বক্ষনিকভাবে বা প্রয়োজনে সংযুক্ত থেকে তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য কানেকটিভিটি মূল ভূমিকা পালন করে। ব্রড কাষ্টিং, টেলিকমিউনিকেশন এবং ইন্টারনেট কানেকটিভিটির মূল নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে।





ডেটা (Data)

ডেটা : ডেটা হলো সাজানো নয় এমন কিছু বিশৃঙ্খল ফ্যাক্ট (Raw Fact)। ডেটাকে প্রসেসিং বা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমেই ব্যবহারযোগ্য ইনফরমেশন বা তথ্যে পরিণত করা হয়। বিশ্বগ্রামে বসবাস করতে প্রয়োজন বিভিন্ন তথ্য যা ডেটা থেকে কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রসেসিং করে পাওয়া যায়। বিশ্বগ্রামে ডেটা ও তথ্যকে মানুষের প্রয়োজনে একে অপরের সাথে বিনামূল্যে বা অর্থের বিনিময়ে শেয়ার করতে হয়।

মানুষের সক্ষমতা (Capacity ) ও সচেতনা (Awareness)

মানুষের সক্ষমতা :

বিশ্বগ্রামের উপাদনগুলোর মধ্যে মানুষের সক্ষমতা অন্যতম। যেহেতু বিশ্বগ্রাম মূলত তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর তাই তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে মানুষের সচেতনতা, স্বাক্ষরতা ও সক্ষমতা ইত্যাদির উপর এর প্রয়োগ নির্ভর করছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবকাঠামো ব্যবহার করার জ্ঞান না থাকলে এর সুফল পাওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া যে কোন বিষয়ে জ্ঞান আহরণ বা বিতরণের জন্য এই প্রযুক্তিতে মানুষের সক্ষমতা, দক্ষতা ও সচেতনতা প্রয়োজন।



বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় উপাদান

বিশ্বগ্রামের ধারণা সংশ্লিষ্ট প্রধান উপাদানসমূহ বর্তমান বিশ্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রামে পরিবর্তিত হচ্ছে। গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রাম ধারণার সাথে অনেক উপাদান ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। প্রধান প্রধান উপাদানগুলো হলো-



যোগাযোগ (Communication), কর্মসংস্থান (Employment), শিক্ষা (Education), স্বাস্থ্যসেবা চিকিৎসা (Health care and Treatment), গবেষণা (Research), অফিস (Office), বাসস্থান (Residence), ব্যবসা- বাণিজ্য (Business), সংবাদ (News), বিনোদন ও সামাজিক যোগাযোগ (Entertainment and social communication), সাংস্কৃতিক বিনিময় (Cultural exchange) ইত্যাদি।



বিশ্বগ্রাম ধারণার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন

ইন্টারনেট অফ থিংস (Internet of Thinks = IOT)

সাম্প্রতিক সময়ে ‘ইন্টারনেট অফ থিংস' বা 'আইওটি' নিয়ে। বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আলোচনা চলছে। গুগলসহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনসমূহে আইওটি সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে জানতে সার্চের পরিমাণ বেশ বেড়েছে। 'ইন্টারনেট অফ থিংস' বা 'আইওটি' " এর কল্যাণে মারশাল ম্যাকলুহানের বিশ্বগ্রাম ধারণার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন সম্ভব হতে যাচ্ছে।

ইন্টারনেট অফ থিংস বা আইওটি হল এমন একটি নেটওয়ার্ক যাতে বাহ্যিক বিভিন্ন ডিভাইস বা যন্ত্রপাঠি, গাড়ি, বাড়ি ইত্যাদি সামগ্রী পরস্পর ডেটা সংগ্রহ ও বিনিময় করার জন্য ইলেকট্রনিক্স, সফট্ওয়্যার, সেন্সর ও নেটওয়ার্ক কানেকটিভিটি অনুবিদ্ধ (embedded) থাকে। এটি একটি বিশাল নেটওয়ার্ক যা বিভিন্ন বস্তুকে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য সংযুক্ত করে

Don't forget buy milk!

মানুষকে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করবে। এটা হল মূলতঃ নেটওয়ার্ক, প্রোগ্রাম, সেন্সর আর মেশিনের সমন্বয়ে গঠিত একটি সিস্টেম যেটা দিয়ে ডিভাইসগুলো একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে এবং ডেটা বিনিমিয় করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে স্মার্ট ফ্রিজের কথা বলা যেতে পারে। আইওটি প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করা গেলে স্মার্ট ফ্রিজ হবে এমন একটি যন্ত্র যা নিজ থেকেই ভেতরে প্রয়োজনীয় খাদ্য আছে কিনা তা শনাক্ত করতে সক্ষম হবে। এক্ষেত্রে ফ্রিজের ভেতরে ক্যামেরা স্থাপন করা হবে যা ফ্রিজের ভেতরের অবস্থা পরিদর্শন করে ব্যবহারকারীকে টেক্সটে বা এসএমএস এর মাধ্যমে সামগ্রিক অবস্থা জানাবে। প্রয়োজনে ব্যবহারকারীর পক্ষে সুপার মার্কেটে অর্ডার প্লেস করতে পারবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url