ভূমিকম্পের কারণ ও ফলাফল || বাংলাদেশে ভূমিকম্পের কারণ ও উৎস

ভূমিকম্প ভয়াবহ প্রাকৃতিক দূর্যোগ গুলোর মধ্যে একটি। পৃথিবী সব সময় ফুলশয্যা হয় না। এটি কখনো কখনো কণ্টক শয্যা হয়ে যায় এবং সাময়িকভাবে সকল ধরণের প্রাণীর জন্য ডাইনোসরের আবাস ভুমিতে পরিণত হয়। প্রাচীনকাল থেকেই ভূমিকম্প পাহাড়, মালভূমি, মহাসাগর এবং স্তরগুলোর প্রাকৃতিক আকৃতির পুনর্নির্মাণের জন্য একটি ধ্বংসাত্মক ভূমিকা পালন করে আসছে।

সূচিপত্রঃ- ভূমিকম্পের কারণ ও ফলাফল || বাংলাদেশে ভূমিকম্পের কারণ ও উৎস

ভূমিকম্প এতটাই বিধ্বংসী যে চোখের পলকেই, সুন্দর সুন্দর সুউচ্চ ভবন, রাস্তা-ঘাট, শহর ভেঙ্গে ফেলতে পারে। এটি অনেক সমতল ভূমিকে হ্রদ বা সমুদ্রে এবং অনেক সমুদ্রকে দ্বীপ বা পাহাড়ে পরিণত করেছে। যুগের পর যুগ, এটি কেড়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষেন মূল্যবান জীবন এবং কোটি কোটি মানুষকে করেছে গৃহহীন। এই কারণেই এটি মানুষের জন্য একটি বড় বিপদ বলে মনে করা হয় এবং তাই অনেকে এটিকে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসাবে আখ্যায়িত করে।

ভূমিকম্প কি

কখনো কখনো, প্রাকৃতিক কারণে পৃথিবী হঠাৎ কেঁপে ওঠে। আকস্মিক, ভূপৃষ্ঠের এই ভয়াবহ কম্পনকেই ভূমিকম্প বলা হয়।
এটি পৃথিবীর ভূত্বকের একটি কম্পন যা ভূপৃষ্ঠের নীচে প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলকে বলা হয় এপিসেন্টার যেখান থেকে প্রচণ্ড কম্পন ঢেউয়ের মতো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

ভূমিকম্পের কারণ

ভূপৃষ্ঠে ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার অনকে কারণ রয়েছে। সাধারণত প্রাকৃতিক কারণেই ভুমিকম্প হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় মানুষের কারনেও ভুমিকম্প দেখা দেয়। ভূমিকম্পের কারণ গুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ

আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতঃ

ভূমিকম্পের সাথে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। অনেক সময় দেখা যায়, ম্যাগমের আগ্নেয়গিরির নির্গমন যখন প্রচন্ড শক্তি নিয়ে বের হয়, তখন এর আশে পাশের স্থান গুলো কেঁপে ওঠে।

তাপ বিচ্ছুরণঃ

প্রাচীনকাল থেকেই পৃথিবীর তার নিজেস্ব পৃষ্ঠকে শীতল করতে তাপ বিচ্ছুরণ করে থাকে। কিন্তু পৃথিবীর অভ্যান্তরীন অংশ গরম থাকে এবং এইভাবে ফাটল দিয়ে গরম তরঙ্গ বেরিয়ে আসার ফলে অনেক সময় ভুমিকম্পর সৃষ্টি হয়।

পৃথিবীর চাপ বৃদ্ধিঃ

বিভিন্ন কারণে পৃথিবী পৃষ্টে চাপ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়ে থাকে।

ভুমি ধসঃ

ভূমিকম্প সৃষ্টির অন্যতম কারণ হলো ল্যান্ড স্লাইড বা ভুমি ধস।

পৃথিবীর ভিতরে পানি প্রবেশঃ

ভুপৃষ্টের অনেক জায়গায় ফাটল বা সরু গর্ত থাকে। কখনো কখনো এ সকল ফাটল বা সরু গর্ত দিয়ে ভূপৃষ্ঠ থেকে পানি প্রবেশ করলে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। তারপর সেই পানি বাষ্পে পরিণত হয়ে প্রবল শক্তিতে বেরিয়ে আসে।

পৃথিবীর অভ্যন্তরে আগ্নেয়গিরির পদার্থঃ

পৃথিবী বিভিন্ন পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত। পৃথিবীর অভ্যন্তরে এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে আগ্নেয়গিরির পদার্থের উপস্থিতি অনেক বেশি। এ সকল আগ্নেয়গিরির পদার্থের কারণেও ভূমিকম্প হয়।আদিকাল থেকেই মানুষ ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়ে আসছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে, পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছে বিশাল বিস্ফোরণের মাধ্যমে। যাকে বিগ ব্যাং তত্ব (Big Bang theory) বলে। সুতরাং স্বাভাবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, ভূমিকম্প একটি খুব স্বাভাবিক ঘটনা এবং বিস্ফোরণের একটি অংশ মাত্র।

টেকটোনিক প্লেটঃ

ইউরেশিয়ান এবং ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সীমান্ত বরাবর অবস্থিত হওয়ায় বাংলাদেশ একটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। সে কারণে বাংলাদেশে নির্দিষ্ট সময় পর পর তুলনামূলকভাবে সমান আকারের ভূমিকম্প উৎপন্ন হয়। ২০০১ সালের আগস্টে,  একটি আন্তর্জাতিক জার্নাল অফ সায়েন্সে কলোরাডো ইউনিভার্সিটির ড. রজার বিলহ্যাম এর একটি প্রযুক্তিগত গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। তিনি তার গবেষণাপত্রে বর্ণনা করেছেন যে, হিমালয়ের ২০১০ কিমি পরিসীমার মধ্যে রিখটার স্কেলে ৮.১ থেকে ৮.৩ মাত্রার এক বা একাধিক ভূমিকম্প হয়েছে।
যদি এই এলাকায় ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়, তাহলে নেপাল, ভারত, ভুটান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই পাঁচটি দেশের অনেক বড় শহর ও শহর ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষ এই বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যার মধ্যে ০.২ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। হিমালয় পর্বতের ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ ড. রজার বিলহ্যাম এর প্রযুক্তিগত গবেষণাপত্রকে সমর্থন করেছে। সাম্প্রতিক অতীতে, বাংলাদেশে যে চারটি ভূমিকম্প হয়েছিল তা বেশ উল্লেখযোগ্য এবং এগুলো ড. রজার বিলহ্যামের জরিপের কথা স্বারণ করিয়ে দেয়।

বাংলাদেশের ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল

এই সিসমিক ম্যাপ অনুযায়ী বাংলাদেশকে তিনটি ভূমিকম্প জোনে ভাগ করা হয়েছে।
(১) উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল - রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট জেলা।
(২) মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল - দিনাজপুর জেলা চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ঢাকা, টাঙ্গাইল, বগুড়া।
(৩) ন্যূনতম ঝুঁকি অঞ্চল- দেশের দক্ষিণাঞ্চল।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন

২০১০ সালের জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তেহরানের পাশাপাশি ঢাকাকে ভূমিকম্পের ক্ষতির ঝুঁকিতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শহর হিসাবে স্থান দেওয়া হয়েছে। কিছু ঝুঁকি নিম্নে দেখানো হয়ঃ-
  • ২৪,০০০ ভবন ধসে যেতে পারে।
  • বৈদ্যুতিক, গ্যাস লাইনে আগুনের ঝুঁকি রয়েছে
  • একমাত্র চট্টগ্রাম মানমন্দিরে ত্রুটিপূর্ণ উপকরণ রয়েছে
  • পুরান ঢাকা, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল।

সাম্প্রতিক হুমকি

১৯৯৭ সালের ৮ মে, সিলেট জেলায় রিখটার স্কেলে ৫.৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিলো, ফলে কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো। একই বছর ২১ নভেম্বর, চট্টগ্রামে রিখটার স্কেলে ৫.৯ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে যার ফলে একটি পাঁচতলা নির্মাণাধীন ভবন সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ভবনের ভিতরে ২৩ জনের মৃত্যু হয়। ওই ভূমিকম্পের প্রভাবে শহরের আরও কয়েকটি ভবনে ফাটল দেখা দেয়। ১৯৯৯ সালের জুলাই মাসে মহেশ খালিতে রিখটার স্কেলে ৫.১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে ৬ জন প্রাণ হারায়। সেই সাথে স্থানীয় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং অনেক ঘরবাড়ির ক্ষতি করেছিল। ২০০১ সালের ডিসেম্বরে একটি মাঝারি ভূমিকম্পে ঢাকা শহর সহ সমগ্র উত্তরবঙ্গ কেঁপে উঠেছিল এবং ঢাকা শহরের কিছু ভবনে ফাটল সৃষ্টি করেছিল। এই সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের একটি সারণী নীচে দেওয়া হলঃ
সাল মাত্রা ক্ষয়-ক্ষতি অঞ্চল
১৯৯৭ ৫.৬ (রিক্টার স্কেল) কিছু ভবন সিলেট
১৯৯৭ ৫.৯ (রিক্টার স্কেল) ৫ তলা বিল্ডিং, ২৩ টি জীবন চট্টগ্রাম
১৯৯৯ ৫.১ (রিক্টার স্কেল) স্থানীয় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র, অনেক ঘর-বাড়ি, ৬ টি জীবন মহেশখালি
২০০১ মাঝারি ভূমিকম্প ঢাকার কয়েকটি ভবনে ফাটল ঢাকা সহ উত্তরবঙ্গ

ভূমিকম্প মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি

ভূমিকম্পের মতো বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের জনগণের প্রস্তুতি ও সচেতনতা প্রায় শূন্যের কোঠায়। এর কারণ হতে পারে সাম্প্রতিক অতীতে দেশটি এমন কোনো বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়নি। ভুকম্পীয় ম্যাপ অনুসারে, জনগণকে সচেতন করার জন্য তিনটি অঞ্চলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভুকম্পীয় ম্যাপ অনুযায়ী বাংলাদেশের অন্তত ৯ কোটি মানুষ ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বসবাস করছে। ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের সরকারের প্রস্তুতি এবং জনগণের সচেতনতাও খুবই নগণ্য।
আমাদের দেশের মানুষের কাছে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ কমবেশি পরিচিত। কিন্তু ভূমিকম্পের বিপর্যয় অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের থেকে একেবারেই আলাদা যার সম্পর্কে কোনো ধরনের পূর্বাভাস বা ভবিষ্যদ্বাণী করা এখনও অসম্ভব। তাই ভূমিকম্পের মতো যেকোনো বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষকে পর্যাপ্তভাবে সচেতন করা জরুরি।

সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ

ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকি দেখে, সরকার বাংলাদেশের ঘনবসতিপূর্ণ শহর বিশেষ করে ঢাকায় ব্যাপক প্রাণহানি ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য বিভিন্ন সময়ে পদক্ষেপ নিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরঃ

১৯৫৪ সালে আবহাওয়া বিভাগ চট্টগ্রামে ভূমিকম্প ও ভূ-চৌম্বকীয় পর্যবেক্ষণের সুবিধা সম্বলিত একটি ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে। এখন পর্যন্ত এটিই দেশের একমাত্র ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। আমাদের একটিমাত্র ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র যা এখন প্রায় অচল অবস্থায় রয়েছে তা সিসমিক জোনে অবস্থিত বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য পর্যাপ্ত নয়।

হাউস-বিল্ডিং কোড ১৯৯৩ঃ

সর্বোচ্চ হতাহতের সংখ্যা যাচাই করার জন্য সরকার ১৯৯৩ সালে হাউস-বিল্ডিং কোড আপডেট করে।উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ মাটির কাঠামো পর্যবেক্ষণ করে শহরের মানচিত্র তৈরির উপর গুরুত্ব প্রদান করে। উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষও মাটির কাঠামো নির্দেশ করে শহরের মানচিত্র তৈরির উপর জোর দিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এর যথাযথ বাস্তবায়ন এখনো সম্ভব হয়নি।

ব্যাপক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (CDMP):

সরকার ভূমিকম্প সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির উপর বিশেষ নজর দিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য ডিসেম্বর ২০০৮ সালে ব্যাপক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প নামে একটি পাঁচ বছরের প্রকল্প গ্রহণ করে। ইউএনডিপি United Nations Development Programme (UNDP) এবং ডিএফআইডি Department for International Development (DFID) এর যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে Ministry of Disaster Management and Relief (MDMR) দায়িত্ব দেওয়া হয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগঃ

পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ রয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ রয়েছে। কিন্তু বহুতল ভবন ধসের পরে উদ্ধার অভিযান চালানোর জন্য এই বিভাগ প্রায় অসহায়। তাই ভূমিকম্পের মতো আসন্ন বিপদ মোকাবেলায় এটিকে সক্রিয় ও সময় উপযোগী করে তুলতে হবে। প্রকৃতপক্ষে, সরকার ও জনগণের সচেতনতার অভাব এবং উন্নত দেশগুলোর পর্যাপ্ত সাহায্যের অভাবের কারণে ভূমিকম্পের দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি ও সচেতনতা যথেষ্ট নয়।

মন্তব্য

যেহেতু, ভবনগুলোর দুর্বল অবকাঠামো (ভূমিকম্প প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্যের অভাব), উচ্চ জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং দুর্বল জরুরী প্রতিক্রিয়া এবং পুনরুদ্ধারের ক্ষমতার কারণে জাতিসংঘ ঢাকাকে একটি দুর্বল এবং ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসাবে সতর্ক করেছে, সেহেতু, আমাদের আবারও এর জন্য প্রস্তুত এবং সচেতন হতে হবে। অতীত অভিজ্ঞতা যেমন, ২০০৪ সালের সুনামি , ২০০৫ সালের পাকিস্তান ও কাশ্মীরের ভয়াবহ ভূমিকম্প ভবিষ্যতে আমাদের সামনে আসন্ন বিশাল ভূমিকম্পের ইঙ্গিত দেয়। তাই, ভুমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য বাংলাদেশে আধুনিক ও সংবেদনশীল ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সুবিধা সজ্জিত সিসমোলজিক্যাল অবজারভেটরি নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url