পাইরেসি ও ডিজিটাল পাইরেসি কি-বিভিন্ন রকমের পাইরেসি

ইন্টারনেটের এই যুগে, ডিজিটাল পাইরেসির বিভিন্ন রূপ রয়েছে যা কন্টেন্ট নির্মাতা এবং ভোক্তা উভয়ের জন্যই হুমকি সৃষ্টি করে। কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, লেখক, শিল্পীসহ সৃজনশীল কর্মীদের তাদের নিজেদের সৃষ্টকর্মকে সংরক্ষণ করার অধিকার দেওয়া কপিরাইট আইনের লক্ষ্য। পাইরেসি অনলাইন এবং অফলাইন উভয় ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। এই আর্টিকেলে সাধারণত অনলাইন জগতে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের পাইরেসি বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
কন্টেন্ট সূচিঃ- পাইরেসি বা সফটওয়্যার পাইরেসি-পাইরেসি প্রতিরোধের উপায়
পাইরেসি কি?
ডিজিটাল পাইরেসি কি?
ইন্টারনেট পাইরেসি কি?
ডিজিটাল কন্টেন্ট পাইরেসির প্রভাব
পাইরেসির প্রকারভেদ
মতামত
পাইরেসি কি?
পাইরেসি বলতে কপিরাইটযুক্ত বিষয়বস্তুর অননুমোদিত অনুলিপিকে বোঝায়। অর্থাৎ প্রকৃত মালিকের অনুমতি ব্যতিত কোন কিছুর হুবহু নকল, অনুলিপি বা কপি করাকে বোঝানো হয়। যেগুলো ‘গ্রে মার্কেটে’ উল্লেখযোগ্যভাবে কম দামে বিক্রি হয়। প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে বছরের পর বছর ধরে পাইরেসি আরও ব্যাপক হয়ে উঠেছে। সাধারণভাবে, একটি মুদ্রিত পুস্তকের কপিরাইট ভঙ্গ করে সেটি পুনর্মুদ্রণ করা যথেষ্ট কঠিন এবং ব্যয়বহুল। কিন্তু কম্পিউটারের বেলায় যেকোনো কিছুর ‘কপি’ বা ‘অবিকল অনুলিপি’ তৈরি করা খুবই সহজ কাজ। এই কাজ করার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ারও প্রয়োজন হয় না। সে জন্য কম্পিউটার সফটওয়্যার, কম্পিউটার ব্যবহার করে সৃজনশীল কর্ম যেমন- ছবি, এনিমেশন, সফটওয়্যার, গেম, ভিডিও ইত্যাদির বেলায় কপিরাইট সংরক্ষণ করার জন্য বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়ার হয়। কপিরাইট আইনের আওতাভুক্ত কোনো কপিরাইট হোল্ডারের অধিকার ক্ষুন্ন হলে তখনই কপিরাইট আইন বিঘ্নিত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। এই ধরনের ঘটনাকে সাধারণভাবে পাইরেসি বা সফটওয়্যার পাইরেসি বলা হয়।
ডিজিটাল পাইরেসি কি?
ডিজিটাল পাইরেসি হলো কপিরাইটযুক্ত ডিজিটাল সামগ্রী যেমন- সফ্টওয়্যার, ই-বুক, চলচ্চিত্র/সিনেমা, মিউজিক ভিডিও বা ই-লার্নিং সামগ্রীর অননুমোদিত ব্যবহার বা বিতরণ। এছাড়াও, অনলাইন পাইরেসিতে কেউ তাদের নিজের সুবিধার জন্য আপনার ব্র্যান্ডের বিট ব্যবহার করেও পাইরেসি করতে পারে। এই পরিস্থিতি ই-কমার্স ব্যবসার একটি দুর্ভাগ্যজনক পরিণতি হতে পারে। এক্ষেত্রে, পণ্য নির্মাতাদের চেয়ে যারা বিজনেস করেন তাদের বেশি ক্ষতি হয়ে থাকে। ডিজিটাল সামগ্রী পাইরেটেড হওয়ার কারণে ব্যবসায়রা তাদের লক্ষ লক্ষ বিক্রি হারিয়ে ফেলেছে এবং খ্যাতি ও সানাম হুমকির মুখে পড়েছে যা অবশ্যই উদ্বেগের কারণ। দুর্ভাগ্যবশত, ডিজিটাল পাইরেসির সুদূরপ্রসারী পরিণতি এখন ভোক্তা এবং সামাজিক কাঠামো পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে। পাইরেটেড পণ্যগুলো অবাধে প্রচারিত হওয়ার কারণে ক্রেতারা নিম্নমানের ও বিপজ্জনক সামগ্রীর সংস্পর্শে এসেছে। উপরন্তু মাকেটে পা্র্ইরেসি করা পণ্যের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হচ্ছে এবং ক্রিয়েটর বুদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা হারিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও, ক্রমবর্ধমান জটিল আইনি কাঠামো, নির্মাতাদের জন্য তাদের নিজস্ব কাজের স্বত্ব বা অধিকার পাওয়াকে খুব কঠিন এবং ব্যয়বহুল করে তুলছে, যার ফলে তারা তাদের পণ্যগুলোকে অনলাইন পাইরেসি থেকে রক্ষা করতে পারছেন না।
ইন্টারনেট পাইরেসি কি?
ইন্টারনেট পাইরেসি বলতে কনটেন্ট মালিকের অনুমতি ব্যতিত তাঁর ডিজিটাল কন্টেন্টের অননুমোদিত শেয়ারিং, ডিস্ট্রিবিউশন বা ডাউনলোড করাকে বোঝাযনো হয়। ইন্টারনেট পাইরেসির মধ্যে রয়েছে অবৈধভাবে সিনেমা, গান, ইমেজ, মিউজিক ভিডিও, সফ্টওয়্যার ডাউনলোড করা বা টরেন্ট, স্ট্রিমিং পরিষেবা বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কপিরাইটযুক্ত সামগ্রী শেয়ার করা। ইন্টারনেট পাইরেসির সাধারণ কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে-
যে ওয়েবসাইটগুলো ফ্রিতে বা অন্যান্য ফাইলের বিনিময়ে সফ্টওয়্যার ডাউনলোড করার সুবিধা প্রদান করে।
ইন্টারনেট নিলাম প্ল্যাটফর্ম যারা নকল বা অননুমোদিত সফ্টওয়্যার অফার করে।
পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কগুলো যারা কপিরাইটযুক্ত প্রোগ্রাম মালিকের অনুমতি ছাড়া শেয়ার করে।
অনলাইন পাইরেসির কারণে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এবং কপিরাইট হোল্ডাররা আর্থিক ক্ষতি এবং আইনি সমস্যায় পড়েন।
বিভিন্ন রকমের পাইরেসি
অনলাইন জগতে ডিজিটাল পণ্যের পাইরেসি অনেক ভাবেই হয়ে থাকে। যেগুলো কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও ব্যবহারকারী উভয়ের জন্যই হুমকি। নিম্নে বিভিন্ন রকমের পাইরেসি বর্ণনা করা হয়েছে।
সফটওয়্যার পাইরেসি
সফ্টওয়্যার পাইরেসি বলতে স্বত্বাধিকারী কতৃক লাইস্নেস বা অনুমতি ছাড়াই সফটওয়্যারের অবৈধ অনুলিপি, বিতরণ বা সফ্টওয়্যারের একটি অংশের ব্যবহার করাকে বোঝায়। সফ্টওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনগুলোর অবৈধ ডাউনলোড, শেয়ার করা বা বিক্রি করাও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।সফ্টওয়্যার পাইরেসি শুধুমাত্র সফ্টওয়্যার ডেভেলপারদেরকেই প্রভাবিত করে না, পাইরেটেড সফ্টওয়্যার ব্যবহারকারীদের ম্যালওয়্যার এবং সাইবার হুমকির মতো সম্ভাব্য ঝুঁকির সম্মুখীন করে।
মিউজিক এবং মুভি পাইরেসি
মিউজিক এবং মুভির ক্ষেত্রে পাইরেসি ব্যাপক হারে হয়ে থাকে। Pirates-রা মিউজিক এবং মুভির অননুমোদিত কপি তৈরি করে এবং সেগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে বিতরণ করে, যা শিল্পী ও চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জীবিকাকে প্রভাবিত করে। টিকিট ছাড়াই একটি কনসার্ট হোস্ট করা বা আপনার বাড়ির উঠোনে একটি ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র প্রদর্শন করার মতো, যার মাধ্যমে নির্মাতাদের কষ্টার্জিত আয় থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়। ডিজিটাল যুগে, অনলাইন পাইরেসির বিভিন্ন রূপ কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এবং কপিরাইট হোল্ডারদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এর মুখোমুখি হওয়াকে তুলে ধরে। পাইরেসি মোকাবেলা করে মেধা মেধাস্বত্ব রক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন, আইন প্রয়োগকারী এজেন্সি এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
স্ট্রিমিং পাইরেসি
যখন কোন ব্যবহারকারী মালিকের অনুমতি ছাড়া অননুমোদিত চ্যানেল, যেমন অননুমোদিত স্ট্রিমিং ওয়েবসাইট বা ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে কপিরাইটযুক্ত সামগ্রী দেখেন তখন তাকে স্ট্রিমিং পাইরেসি বলা হয়। টিকেট ছাড়াই সিনেমা হলে লুকিয়ে সিনেমা দেখা এবং বিনামূল্যের সর্বশেষ রিলিজ হওয় ভিডিও দেখার মতো। এই ওয়েবসাইটগুলো প্রায়শই সিনেমা, টিভি শো এবং ক্রীড়া ইভেন্টগুলোর পাইরেটেড কপি হোস্ট করে থাকে।
সোশ্যাল মিডিয়া পাইরেসি
ফেসবুক এবং টুইটারের মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোও পাইরেসি থেকে মুক্ত নয়।Pirates-রা মালিকের সম্মতি ছাড়াই কপিরাইটযুক্ত সামগ্রী যেমন- ডিজিটাল পণ্য, গান, মিউজিক ভিডিও, সিনেমা শেয়ার করে থাকে। আপনি নিজের অজান্তেই চুরি করা কন্টেন্ট শেয়ার করে নিজের প্রোফাইলে রাখেন যা সকলের কাছে অ্যাক্সেসযোগ্য হয়ে যায়।
গেম পাইরেসি
গেম পাইরেসি বলতে গেম ডেভেলপার এবং প্রকাশকদের অনুমতি ছাড়াই ভিডিও গেমের অবৈধ বিতরণ এবং ডাউনলোড করাকে বোঝায়। Pirates-রা গেমের কপি প্রোটকশন ক্রাক করে নকল গেম তৈরি করে বিনামূল্যে ডাউনলোড করা সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। গেম পাইরেসি গেমিং শিল্পের জন্য উল্লেখযোগ্য আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায় এবং বড় বড় গেমিং ষ্টুডিও এবং ডেভেলপার উভয়ই গেম পাইরেসি দ্বারা প্রভাবিত হয়।
মোবাইল অ্যাপ পাইরেসি
Unofficial app Stores or Cracked versions-এর মাধ্যমে পেইড অ্যাপ বা গেমকে বিনামূল্যে বিতরণ করাকে মোবাইল অ্যাপ পাইরেসি বলে। Pirates-রা লাইসেন্সিং বিধিনিষেধ সংশোধন বা অপসারণ করে ব্যবহারকারীদের বিনামূল্যে প্রিমিয়াম ফিচারগুলোতে অ্যাক্সেস করার সুযোগ করে দেয়। এই ধরনের ইন্টারনেট পাইরেসি অ্যাপ ডেভেলপারদের প্রভাবিত করে এবং তাদের তৈরি মোবাইল অ্যাপ বা গেম থেকে উপার্জন করার ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করে।
ই-বুক পাইরেসি
ডিজিটাল বই এর অননুমোদিত বিতরণ এবং শেয়ার করাকে ই-বুক পাইরেসি বলে। লেখক বা প্রকাশকদের সম্মতি ছাড়াই ই-বুকগুলোর অবৈধ ডাউনলোড এবং বিতরণ করাও ই-বুক পাইরেসির অন্তর্ভুক্ত। ওয়েবসাইট বা ফোরামের মাধ্যমে পাইরেটেড ইবুকগুলোর বিতরণ/শেয়ার করা, লেখক এবং প্রকাশকদের বিক্রয় এবং রয়্যালটিকে প্রভাবিত করে।
টরেন্টিং
টরেন্টিং এর মাধ্যমে বিষেশায়িত সফ্টওয়্যার এবং টরেন্ট ফাইল ব্যবহার করে মুভি, মিউজিক, সফ্টওয়্যারের মতো বড় বড় ফাইল শেয়ার ও ডাউনলোড করতে ব্যবহার করা হয়। এই কাজ করার জন্য ব্যবহারকারীরা একটি ডিসেন্ট্রালাইজড (বিকেন্দ্রীকৃত) নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। ফলে এটিকে ট্রেস বা নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়।
লাইভ স্ট্রিমিং পাইরেসি
স্বত্বাধিকারীরর অনুমতি বা লাইসেন্স না পেয়ে লাইভ ক্রীড়া ইভেন্ট, কনসার্ট বা অন্যান্য কপিরাইটযুক্ত সামগ্রী সম্প্রচার করাকে লাইভ স্ট্রিমিং পাইরেসি বলে। Pirates-রা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এই ইভেন্টগুলোর স্ট্রিম করে, ব্যবহারকারীদেরকে বৈধ অর্থপ্রদানের পরিষেবা থেকে সরিয়ে দেয়। লাইভ স্ট্রিমিং পাইরেসি শুধুমাত্র কন্টেন ক্রিয়েটরদেরই প্রভাবিত করে না, অফিসিয়াল ব্রডকাষ্ট এর রাজস্বও ক্ষতিগ্রস্ত করে।
সাইবার লকারস
ফাইল-হোস্টিং সেবা প্রদানকারী প্লাটফর্ম গুলোর মাধ্যমে পাইরেসি হলে তাকে সাইবার লকারস পাইরেসি বলে। সাইবার লকারস সেবা প্রদানকারী প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহারকারীদের সার্বজনিন ভাবে ফাইল আপলোড এবং শেয়ার করার সুযোগ দিয়ে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মগুলোকে প্রায়ই অনুমতি ছাড়া কপিরাইটযুক্ত কন্টেন্ট/পণ্য শেয়ার করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ব্যবহারকারীরা এই সাইবারলকারগুলো থেকে চলচ্চিত্র, গান, মিউজিক ভিডিও এবং সফ্টওয়্যার সহ বিভিন্ন ফাইলগুলোতে অ্যাক্সেস এবং ডাউনলোড করতে পারে। এর ফলে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও স্বত্বাধিকারীরা ক্ষতির মুখে পড়েন।
ক্লাউড পাইরেসি
Cloud-based Platforms and Services এর মাধ্যমে কপিরাইটযুক্ত কন্টেন্ট এর Unauthorised Distribution and Storage কে বোঝানো হয়। কিছু অসাধু ব্যবহারকারী Google Drive or Dropbox ক্লাউড স্টোরেজ গুলোতে প্রকৃত লাইসেন্সিং বা অনুমতি ছাড়াই কপিরাইটযুক্ত ফাইলগুলো আপলোড করে অন্যদের সাথে ডাউনলোড লিঙ্ক শেয়ার করে ফাইল ডাউনলোড করতে সহায়তা করে। ক্লাউড পাইরেসি ক্লাউডে কপিরাইট লঙ্ঘন ট্র্যাকিং এবং প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।
P2P (পিয়ার-টু-পিয়ার) ফাইল শেয়ারিং
P2P ফাইল শেয়ারিং হলো ইন্টারনেট পাইরেসির জন্য ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি। এটি একটি (Decentralised) বিকেন্দ্রীকৃত নেটওয়ার্ক যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী সরাসরি ডিজিটাল ফাইল শেয়ার করতে পারে। BitTorrent-এর মতো জনপ্রিয় P2P প্ল্যাটফর্মগুলো কেন্দ্রীয় সার্ভার ছাড়াই ব্যবহারকারীদেরকে কপিরাইটযুক্ত কন্টেন্ট, পণ্য সহ, ফাইল শেয়ার করার সক্ষমতা দিয়ে থাকে। যদিও পৃথিবীর অনেক দেশেই P2P প্রযুক্তি বৈধ, কিন্তু অনেক ব্যবহারকারী কপিরাইটযুক্ত কন্টেন্ট যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই শেয়ার করার জন্য P2P প্রযুক্তি ব্যবহার করেন, যা পাইরেসির অন্তর্ভুক্ত।
ডার্ক ওয়েব পাইরেসি
ডার্ক ওয়েব পাইরেটেড কন্টেন্টের ব্যবসা সহ বিভিন্ন অবৈধ কার্যকলাপের জন্য একটি গোপন মার্কেটপ্লেস হিসেবে কাজ করে। ডিজিটাল পণ্য, সিনেমা এবং সফ্টওয়্যার থেকে শুরু করে সংবেদনশীল ডেটা এবং জাল পাসপোর্ট বিনিময় করার জন্য পাইরেটসরা ডার্ক ওয়েবে একত্রিত হয়। ডার্ক ওয়েব এমন একটি ডিজিটাল আন্ডারওয়ার্ল্ড যেখানে পাইরেটসরা অবাধে বিচরণ করে এবং আইন প্রয়োগকারীর এজেন্সির চোখ থেকে আড়াল থাকে।
মতামত
অনলাইন পাইরেসি, Content Creators and Brand Owners-কে বিভন্নি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করে। ফ্রি কন্টেন্ট ও নকল পণ্যের প্রলোভনসহ বিভিন্ন ধরনের অনলাইন পাইরেসি শুধুমাত্র ক্রিয়েটরদের আর্থিক ক্ষতিই করে না বরং ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকিও বাড়ায়। এই অবৈধ কার্যকলাপ গুলো লাইসেন্স চুক্তি এবং কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করে। তাই, ব্যবহারকারীদেরকে নিজেদের তথ্য, কন্টেন্ট সুরক্ষিত রাখা এবং সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সচেতন ও সাবধান হওয়া উচিৎ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url