শিশুর পারস্পরিক ক্রিয়ামূলক যত্ন

শিশুর যত্নকারী এবং শিশুর চারপাশের পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়া ঘটানোর জন্য শিশুকে যে যত্ন দিতে হয়, তাকেই পারস্পরিক ক্রিয়ামূলক যত্ন বলা হয়। শিশুকে পারস্পরিক ক্রিয়ামূলক যত্নের মাধ্যমে গড়ে তোলার গুরুত্ব অপরিসীম।
 পারস্পরিক ক্রিয়ামূলক যত্ন (Interactive care)
জন্ম থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত এই পারস্পরিক ক্রিয়ামূলক যত্ন দিতে হবে
• প্রতিদিন বারে বারে (Every day regularly)
• বয়স উপযোগী (Age specific)
• বিভিন্নভাবে যাতে শিশু তার পাঁচটি ইন্দ্রিয় ব্যবহারের সুযোগ পায় (Multiple ways)
•নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশে (Safe and Enabling Environment) এবং
• ছেলে ও মেয়ে শিশুকে সমানভাবে (Gender equity)
গর্ভকালে মা'কে এবং জন্মের পরে বয়স অনুযায়ী শিশুদের যে যে ধরণের পারস্পরিক ক্রিয়ামূলক যত্ন দেয়া যেতে পারে, তার একটি নমুনা তালিকা নীচে দেয়া হলো। এ ধরনের পারস্পরিক ক্রিয়ামূলক যত্নের মাধ্যমে শিশুকে লালন-পালন করলেই তার পরিপূর্ণ মানসিক বিকাশের ভিত্তি গড়ে তোলা সম্ভব।
গর্ভকালে
১ মাকে পুষ্টিকর ও বাড়তি খাবার, আয়োডিনযুক্ত খাবার, আয়রন ও ফলিক এসিড, টিটি টিকা দেয়া।
২ নিরাপদ প্রসব অথবা জরুরী প্রসূতি সেবার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
৩ মাকে হাসি খুশি ও চিন্তামুক্ত পরিবেশে রাখা, মাঝে মধ্যে বাড়ীর বাইরে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া।
৪ মাকে ভারী কাজ করা থেকে বিরত রাখা।
৫ ছেলে বা মেয়ে যে শিশুই জন্ম নিক না কেনো, তাকেই সাদরে গ্রহণ করা হবে এই বলে মাকে আশ্বস্ত করা।

জন্ম থেকে ছয় মাস
বুকের দুধ খাওয়ানো বা শিশুর অন্যান্য পরিচর্যা করার সময় তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলা এবং তার মতো করে বিভিন্ন শব্দ করা।
২ শিশুকে মৃদু স্বরে গুন গুন করে গান/ছড়া কবিতা শোনানো।
৩ দিনের কিছু কিছু সময় শিশুকে মৃদু শব্দে উদ্দীপ্ত করা। যেমন: মায়ের চুড়ির আওয়াজ, মৃদু আওয়াজের ঝুনঝুনি, আঙ্গুলের তুড়ি।
৪ শিশুর সাথে মুখ ঢেকে 'টুকি' বা লুকোচুরি খেলা করা।
৫ শিশুর হাত পা নেড়ে হালকা ব্যায়াম করানোর সময় তার সাথে আনন্দসূচক শব্দ করে কথা বলা।
৬ ঝুলন্ত কোনো খেলনা শিশুর নাগালের মধ্যে ঝুলিয়ে দেয়া যাতে সে ধরতে পারে অথবা পা দিয়ে ধাক্কা দিতে পারে।
সাত মাস থেকে দেড় বছর
১ শিশুকে আশেপাশের পরিবেশ সম্পর্কে জানানোর জন্য পরিচিত জিনিসগুলোর নাম বলা এবং তা দেখাতে বলা।
২ শিশুকে হাত পা ব্যবহার করে খেলতে দেয়া এবং তার সাথে খেলা।
৩ শিশুকে ছোট ছোট প্রশ্ন করা এবং প্রয়োজনে জবাব দেয়া।
৪ খাবারের সময় শিশুটিকে পরিবারের সবার সাথে নিয়ে খেতে বসা ও আনুসংগিক কথা বলা।

শিশুকে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের নামগুলো বারেবারে বলা ও বলতে উৎসাহিত করা।

শিশু কোন কিছু দেখে ভয় পেলে তার ভয় ভাঙ্গিয়ে দেয়া।

শিশুর দাঁত মাজা, হাত ধোয়া, নিজে নিজে পোষাক পরা ইত্যাদিকে নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত করতে সাহায্য করা।

শিশুকে হাঁটতে সাহায্য করা এবং কিছু ধরে হাঁটতে, দাঁড়াতে বা ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করা।
শিশুকে ছোট ছোট সমস্যার সমাধান করতে দেয়া যেমন: ছোট বাধা পেরিয়ে খেলনা উদ্ধার করা বা মায়ের কাছে যাওয়া।
দেড় বছর থেকে ৩ বছর
১ শিশুকে অন্য শিশুর সাথে খেলার সুযোগ করে দেয়া এবং নিজেও শিশুর সাথে খেলায় অংশ নেয়া।
২ নিরাপদ পরিবেশে কিছু বেয়ে উঠতে সাহায্য করা বা ছুটোছুটি করতে উৎসাহিত করা।
৩ ছবির বই নাড়াচাড়া করতে দেয়া এবং কাগজে বা মাটিতে আঁকাআঁকি করতে দেয়া।
৪ দৈনন্দিন ব্যবহার্য বস্তু যেমন-বল, হাতের চুড়ি, ফল, বই এসব ব্যবহার করে বিভিন্ন রং ও আকৃতি শেখানো।
৫ শিশু ভুল উচ্চারণ করলে বা শব্দ বললে তাকে সঠিক উচ্চারণ বা শব্দটি বলে দেয়া।
৬ শিশুকে গল্প ও ছড়ার মাধ্যমে নতুন নতুন শব্দ শেখানো।
৭ শিশুকে পরিবারের ছোট ছোট কাজ করতে উৎসাহিত করা এবং প্রশংসা করা।
৮ শিশুকে পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা দেয়া ও প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করা।
৯ শিশুকে প্রস্রাব পায়খানার জন্য নির্দিষ্ট স্থান ব্যবহার করতে শেখানো।
১০ শিশুকে যত্নকারীর তত্ত্বাবধানে নিজের হাতে খেতে দেয়া।
৩ বছর থেকে ৫ বছর
১ শিশুর পছন্দের গান, ছড়া কবিতা তার কাছে শুনতে চাওয়া বা গেয়ে শোনানো।
২ কথা বলা, গান গাওয়া, বই পড়া ইত্যাদির মাধ্যমে শিশুর ভাষা শেখাকে উৎসাহিত করা।
৩ কোনো কিছু পছন্দ করা অথবা দায়িত্ব নেবার জন্য শিশুকে সুযোগ করে দেয়া।
৪ শিশুর নিজেকে প্রকাশের সুযোগ করে দেয়া (যেমন: ছবি আঁকা, কাগজ, মাটি, পুরোনো কাপড় দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা)।
৫ শিশুকে অন্যদের সাথে সহযোগিতা করা, সাহায্য করা অথবা কোন কিছু ভাগ করে নেয়া, ইত্যাদি শেখার সুযোগ করে দেয়া।
৬ শিশুকে নিজে নিজে দাঁত মাজা, হাত ধোয়া, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, কাপড় পরতে ও খুলতে, বোতাম লাগাতে ও খুলতে উৎসাহিত করা।
৭ শিশুকে বড়দের সাথে কিভাবে আচরণ করতে হয় (যেমন: সালাম বা আদাব দেয়া, মেহমান এলে বসতে বলা) তা শেখানো এবং পালন করতে উৎসাহিত করা।
৮ শিশুকে ঘরের বাইরে অন্য শিশুর সাথে খেলার সুযোগ করে দেয়া।
শিশুর মানসিক বিকাশে আমাদের করণীয়
আমাদের দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য সরকারি পর্যায়ে বর্তমানে যে সকল কার্যক্রম চালু রয়েছে, তাতে দেখা যায় যে বিদ্যমান কর্মসূচীগুলো মূলতঃ শারীরিক বৃদ্ধি ও সুস্থতার চাহিদাই মেটাচ্ছে। কিন্তু আমরা আমাদের শিশুকে শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের সবগুলো বৈশিষ্ট্য নিয়ে যেভাবে দেখতে চাই, সে অনুযায়ী সবধরনের কর্মসূচী আমাদের নেই ফলে শিশুরা পরিপূর্নভাবে বিকশিত হবার সুযোগ পাচ্ছেনা। এই লক্ষ্যে বিদ্যমান কর্মসূচীগুলোকে আরো ফলপ্রসু করে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে এবং মানসিক বিকাশের প্রক্রিয়ায় সহায়তার লক্ষ্যে শিশুকে পারস্পরিক ক্রিয়ামূলক যত্ন নেবার জন্য পরিবার ও
সমাজের প্রত্যেককেই গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে। যেমন:
ক. নিজ নিজ পরিবার বা ব্যক্তিগতভাবে
• গর্ভবতী মায়ের জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণ সুষম খাবার ও পরিমিত বিশ্রামের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। মা যেন সবসময় হাসিখুশী ও চিন্তামুক্ত থাকেন, সেদিকে পরিবারের সকলকেই খেয়াল রাখতে হবে।
• শিশুকে প্রতিদিন কাজের ফাঁকে ফাঁকে গান, ছড়া, গল্প শোনানো, তার সাথে বিভিন্ন ধরনের আনন্দদায়ক খেলা করা অথবা নতুন বিষয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া।
দৈনন্দিন ছোট-খাট কাজে শিশুকে অংশগ্রহণে উৎসাহী করা।
• পরিবারের বাইরের লোকদের সাথে এবং অন্য শিশুদের সাথে মেশার সুযোগ করে দেয়া।
• বাড়ী পর্যায়ে শিশুবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা।
খ. পেশাগত ও সামাজিক ক্ষেত্রে
◆ প্রত্যেকে যেন অন্ততঃ একজন বাবা, মা অথবা শিশুর আপনজনকে শিশুর প্রথম জীবনের বিকাশের গুরুত্ব সম্পর্কে জানাতে পারেন তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নিতে উৎসাহী করা।
• শিশুর সেবাযত্ন ও লালন পালন উভয় কাজে পরিবারের পুরুষদের ও অন্যান্যদের অংশগ্রহণকে উৎসাহ দেয়া ও সমর্থন করা।
• কর্মজীবী বাবা-মায়ের শিশুদের জন্যে কর্মক্ষেত্রে শিশুদের খেলাধুলা ও যত্নের বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া।
• নিজের এলাকায় শিশুদের খেলাধুলার জন্যে একটি বিশেষ স্থানের ব্যবস্থা করা।
• নিজ এলাকায় ৪ থেকে ৬ বছর বয়সী সব শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্রে ভর্তি করানোর উদ্যোগ নেয়া।
◆ কমিউনিটি পর্যায়ে শিশু বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা।
• প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা শেষে শিশুদেরকে নিকটস্থ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করা।
শিশুর জন্য নিরাপদ ও বিপদজনক পরিবেশ এবং ক্ষতিকর বিষয়
ভূমিকা
শিশুর চারপাশে যারা থাকেন এবং শিশুর যত্ন নেন, তাদের নিয়ে গড়ে ওঠে শিশুর সামাজিক পরিবেশ।
যেমন: বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয় স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী। এমনকি বাড়ীর গৃহ পরিচারক/গৃহপরিচারিকারাও শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন।
এছাড়াও রয়েছে বস্তুগত পরিবেশ যেমন: শিশুর বিছানা-পত্র, ব্যবহারের বিভিন্ন জিনিসপত্র, কাপড়-চোপড়, খেলনা, দোলনা, গাছ-পালা, ইত্যাদি। চারপাশের এই বস্তুগত ও সামাজিক পরিবেশের সাথে শিশুর প্রতিনিয়তই পারস্পরিক ক্রিয়া ঘটছে এবং এই পারস্পরিক ক্রিয়াই শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশে প্রভাব ফেলে এবং শিশুটি বেড়ে ওঠে।
শিশুর চারপাশের এই সামাজিক ও বস্তুগত পরিবেশ যাতে শিশুর জন্যে নিরাপদ ও সহায়ক হয় এবং একই সাথে শিশুকে যাতে ক্ষতিকর পরিবেশ ও বিপদজনক বিষয়গুলো থেকে দুরে রাখা যায়, আমাদের সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকতে হবে।
নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ
আমরা চাই শিশুরা কৌতূহলী হোক এবং বিভিন্ন বিষয় কিভাবে ঘটছে তা শিখতে বা জানতে আগ্রহ প্রকাশ করুক। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ ঘটতে সহায়তা করা। যেমন:
◆ গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসবোত্তর মায়ের সঠিক যত্ন নেয়া।
◆ গর্ভবর্তী মা'কে ভারী কাজ থেকে বিরত রাখা ও মানসিক প্রশান্তিতে রাখা।
◆ নিরাপদ প্রসব ও জরুরী প্রসূতি সেবার জন্য পূর্বপ্রস্তুতি রাখা।
◆ বুকের দুধ খাওয়ানোর ব্যাপারে মা'কে সাহায্য করা।
শিশুর জন্মের পরপরই শাল দুধ, ছয় মাস পর্যন্ত বুকের দুধ ও পরবর্তীতে পরিপূরক খাবার দেয়া।
• সময়মতো প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও চিকিৎসা গ্রহণ যেমন: সাত রোগের টিকা দেয়া।
• অসুস্থ হলে সময়মতো চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
• পরিবারের সবার মাঝে পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকা।
শিশুর মতামত প্রকাশের সুযোগ করে দেয়া।
◆ শিশুর প্রতি পরিবারের সবার খেয়াল রাখা।
• অন্য শিশুদের সাথে মিশতে বা খেলতে দেয়া।
নিরাপদ পানি।
• স্বাস্থ্যসম্মত পরিচ্ছন্ন পরিবেশ।
• শিশুর জন্যে পর্যাপ্ত খেলাধুলা ও বিনোদনের ব্যবস্থা করা।
• শিশুর বয়স উপযোগী শেখার পরিবেশ সৃষ্টি করা।
• সৃজনশীল কর্মকান্ডের জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং
• ছেলে ও মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই একই রকম যত্ন নেয়া ও আচরণ করা।
ক্ষতিকর পরিবেশ ও বিপদজনক বিষয়
শিশুর সার্বিক বিকাশের জন্য নিরাপদ সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করার পাশাপাশি ক্ষতিকর পরিবেশ ও বিপদজনক বিভিন্ন কারণে যাতে শিশুর বিকাশ বাধাগ্রস্ত না হয়, সেটাও আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
যেমন:
• অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে ও গর্ভধারণ।
• অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মায়ের প্রসব।
• গর্ভকালীন ও প্রসবকালীন অসুস্থতায় হাতুড়ে ডাক্তার/কবিরাজ/ওঝার কাছে ঝাড়ফুঁক/চিকিৎসা।
• মেয়ে সন্তান প্রসবের জন্য মা'কে দায়ী করা।
শিশুকে সম্পূর্ণভাবে গৃহ-পরিচারক/পরিচারিকার ওপর নির্ভরশীল রাখা।
অন্য শিশুদের সাথে মিশতে বা খেলতে না দেয়া।
শিশুর উপস্থিতিতে ধুমপানসহ অন্যান্য কুঅভ্যাস।
• শিশুর উপস্থিতিতে পরিবারের সদস্যদের মাঝে মনোমালিন্য বা ঝগড়া করা।
• শিশুর বয়স উপযোগী কাজের বাইরে অতিরিক্ত কিছু করার জন্যে চাপ সৃষ্টি করা।
• শিশুকে বিদ্রুপ করা, ভৎর্সনা করা, মারধোর করা।
অন্যের সামনে শিশুর খারাপ দিকগুলোকে তুলে ধরা।
• শিশুর ভালো কাজের প্রশংসা না করা।
◆ শিশুকে অহেতুক ভয় দেখানো।
• শিশুর সামনে মিথ্যা কথা বলা, অন্যের সাথে দুর্ব্যবহার করা ও মিথ্যা আশ্বাস দেয়া।
• শিশুকে বিপদজনক দ্রব্যাদি যেমন: ওষুধপত্র, দা, বটি, চুলা, দাহ্যপদার্থ যেমন: কেরোসিন, পেট্রোল ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ যেমন: ডোবা, খাল, পুকুর ইত্যাদি থেকে সাবধানে রাখা।
তথ্যসুত্রঃ (পরিবার কল্যাণ সহকারী এবং পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সহায়িকা)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url